একাদশ সংখ্যা। রাজতপস্বিনী। to $
- উইল গিরিধর রায়ের লেখা, একটিমাত্র অক্ষর তাহাতে লিখিত হইয়াছিল।” আমি বলিলাম, “তাহাতে ডাক্তার সারকোরসাহেবের দস্তখত আছে। সে সব কথা আমাদের আত্মীয় বহরমপুরের বৈকুণ্ঠবাবুর কাছে শুনিয়াছি, সাহেব তাহার কাছে গল্প করিয়াছিলেন। গিরিধর রায় মহাশয়ের কাছে শুনিয়াছিলাম, বোয়ালিয়ার জোড়ী-বাংলোর রাজা পরলোকগমনের কিছুমাত্র পূৰ্ব্বে তাহাকে উইল লিখিতে আদেশু করেন এবং বারংবার ‘বলেন, দেখিও, ধৰ্ম্ম ভাবিয়া কাজ করিও । শেষে স্বাক্ষর করিবার সময় রাজার হাত এতই ফুৰ্ব্বল হইয়া পড়িল যে, J-অক্ষরটি ছাড়া আর কিছুই লিখিতে পারিলেন না। বাকীট লিখিবার জন্ত তিনি ডাক্তন্নুর সারকোরকে অনুরোধ করিলেন। ডাক্তার তুহো পালন করিতে উষ্ঠত হইলে রারমহাশয় মই আপত্তি করিয়া বসিলেন, এবং বলিলেন, সাহেব, আপনি সাক্ষিস্বরূপ দস্তখৎ করুন। তাহাই হইল। ডাক্তারসাহেব এখনও সৰ্ব্বদা আপনার সংবাদ লষ্টয়া থাকেন।” এই কথাপ্রসঙ্গে মাতাকে আমি সুধাইলাম, সে সময়ে ষ্টtহার বয়ঃক্রম ১৪১৫ হইবে ? মা বলিলেন, “অত হইবে না। দেওয়ান তখন কলিকাতায় কি মুর্শিদাবাদে ছিলেন।”
দত্তকপুত্রের কথায় মহারাণী বলিতেছিলেন যে, “৪৫ বৎসর হইল, একজন মুসলমান প্রজা এই বলিয়া নালিশ করে যে, তাহার ਾਂ। চালাইবার অধিকার নাই। হাইকোর্ট বিচার করেন, আছে। দেখাদেখি * ভূরে একজন প্রজ ঐক্কপ করিয়াছিল। • উইলসম্বন্ধে অনেকে গোলে পড়ে, আমার সে সব কিছু হয় নাই। আমি যখন ইচ্ছ, তখনই পোষ্যপুত্ৰ লইতে পারিতাম । গোত্র লইয়। তর্কবশত কোকার যাগের কিছু দেরি হইয়াছিল।” স্বগোত্র বলিয়া কয়জনের দত্তক অসিদ্ধ হইয়াছে, সে গল্প করিলেন । বলিলেন, পিতামাত টাকা লইলেও তাহা হয়, কিন্তু তা প্রমাণ করা সহজ নহে। টাকা লওয়ার কথায়, বলিলেন যে, “ধৰ্ম্মেও বটে, লৌকিকতাতেও বটে, উহা বড় পাপ।” পোষ্যপুত্রের চরিত্র নিজের আদর্শে গঠিত না হওয়ায় মহারাণী ইদানীং বড় মনঃকষ্টে থাকিতেন। র্তাহার সুশিক্ষাবিধানের জন্য যত্ন এবং চেষ্টার কোন ক্রটি হয় নাই। কুমারের বয়স যখন ৮৯বৎসর মাত্র, তখনই মাতা বিদ্যাসাগরমহাশয়কে একজন সুশিক্ষক নিৰ্ব্বাচন করিয়া পাঠাইতে অনুরোধ করিয়াছিলেন এবং তদনুসারে সংস্কৃতকলেজের বি-এ-উপাধিধারী রাধারমণ সেন মূহাশয় কলিকাতা হইতে প্রেরিত হন । ইনি আমাদের স্বগ্রামবাসী আত্মীয় এবং ভূতপূৰ্ব্ব কাশ্মীররাজবৈদ্য হারাধন সেন মহাশয়ের মধ্যমপুত্র ছিলেন । কবিরাজমহাশয়ের সহিত বিদ্যাসাগxমহাশয়ের সম্প্রীতি ছিল এবং শেষোক্ত উপযুক্ত • বন্ধুপুত্রস্বয়কে— স্বনামখ্যাত কবিরাজ ব্রজেন্দ্রকুমার এবং রাধারমণবাবুকে-পুত্রবৎ স্নেহ করিতেন । তাহাজের জোড়াসাঁকে রতন সরকারের গাউন ট্রন্থ বাসায় পণ্ডিতপ্রবরকে অনেকসময় দেখা বাইত ৷ এক দিনের গল্প বলি। রাধারমণবাবুর ৪৫ বৎসুরের এক পুত্র একদিন মধ্যাহ্লে বাসার প্রাঙ্গণে খেল করিতেছে, এমন সময়ে বিদ্যাসাগরমহাশয় অমিয়