66 bo বঙ্গদর্শন। ৬ষ্ঠ বর্ষ, কান্তন। উদ্রেক করিয়াছে। চারিদিক্ হইতেই দেখা যায়, ঐ গোলাপী মিনারটি মাথা তুলিয়া রহিস্থাছে ; এই সাৰ্ব্বভৌম ধ্বংসদৃশ্বের মধ্যে, উহ যেন সাক্ষিরপে দণ্ডায়মান। অস্পষ্ট-অনির্দেশু চৌমাথা-রাস্তার উপর, কতকগুলা দেয়ালের গায়ে এখনো কতকগুলা গবাক্ষ রহিয়াছে ; এখনো কতকগুলা বারাও ” বাহির হইয়া রহিয়াছে ; পূৰ্ব্বে সেখান হইতে সুন্দরীরা বেগুনি পরিচ্ছদে আচ্ছাদিত গজবৃন্দের গমনাগমন, সারিবন্দি বৃহৎ ছত্রের উৎসব-ঠাটু, অশ্বারোহী যোদ্ধবর্গের রণযাত্র, গৌরবান্বিত প্রাচীনকালের জনতা এই সমস্ত নিরীক্ষণ করিত।”আহ !লুপ্ত রাজপথের কোণে-কোণে অবস্থিত এই সব নহবৰ্দ্ধখানার কি বিষণ্ণ মুখশ্ৰী ! শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। রাইবনীদুর্গ। একবিংশ পরিচ্ছেদ । শিবা প্রসন্ন দাস মহাশয়কে নিতান্ত বিপন্ন অবস্থায় রাখিয়া আমরা অবাস্তর হস্তান্ত কথায় কালক্ষেপ, করিতেছি। এখন তাহার অমুসরণ করিবার সমর উপস্থিত। অশ্বগৃষ্ঠ হইতে জলে লাফাইয়া পড়িয়া দাসমহাশয় সেই বিশ্বস্ত জীবের স্কন্ধে আদরে হাত বুলাইলেন এবং তাহাকে তীব্রাভিমুখে ছুটিয়া পলাইতে ইতি করিলেন। দেখিতে দেখিতে সে ভাস্করপতিতের সঙ্গে সঙ্গে রাইবনীর পারে উত্তীর্ণ হইল। তখন শিবা প্রসন্ন আকস্মিক বস্তাঃাবনে অভু্যস্ত সস্তরণপটুর ভার নিয়েৰে পরিধেয়বস্থাদি সংযত করিয়া লইলেন এবং আপনার উত্তরীয়খও প্রবাহমুখে নিমজ্জনোমুখ মুর্জিত ভক্তের কটিদেশে বন্ধন করিরা তাঁহাকে পৃষ্ঠোপরি গুলির ইনে পলকে পলকে স্বর্ণরেখ মায়াবিনী রা ক্ষুসীর মত বিপুল বারিদেহ ফেনপুঞ্জে বিস্তাৱিত করিতে করিতে উদ্ধাম গত্তিতে ছুটয় চলিয়াছে। ক্ষীণ চন্দ্রালোক তাহার ফেনিল আয়তবক্ষে সহস্র ইন্দ্ৰধনু বিচ্ছুরিত করিয়া ভীষণে স্বন্দরে অপুৰ্ব্ব স্বযমার
- স্বষ্টি করিয়াছিল। ভক্ত শিবা প্ৰসন্ন প্রকৃতির
সে মূৰ্ত্তিতে ভগবানের অপার লীলা অনুভব করিয়া চক্ষু মুদ্রিত করিলেন। দেখিতে দেখিতে র্তাইনর রাজঘাটের নিকটবর্তী হইলেন। তথায় ময়ুরভঞ্জরাজের অতিথিশালায় বিস্তর লোক সমবেত হইয়াছিল এবং মশালের আলোকসহায়ে বগুt প্রবাহতাড়িত,—নিমজ্জিত এবং নিমজ্জনোমুখ,—s • জীবমাত্রের উদ্ধারসাধনে নিযুক্ত ছিল। পরম * বৈষ্ণব রাজা চক্রাধিপভঞ্জ সুবর্ণরেখার - তীরবর্তী গ্রামসমূহের এইরূপ দৈৱৰিপ • ' অনেকবার প্রত্যক্ষ করিয়া বখাপাধ্য জীৰক্লেশ