43. ধদশী Ιεί τζξαπέι শাসনতন্ত্রের ক্ষমাগুণে! যখনি সেই ক্ষমাগুণের লেশমাত্র বৈলক্ষ্য দেখি, যখনি মানবধৰ্ম্মবশত স্পৰ্দ্ধার বিরুদ্ধে ক্ষমতাশালীর আক্রোশ আইনের বেড়ার কোনো-একটা অংশ একটুমাত্ৰ আলুগা করিয়া ফেলে, অমনি আমর বিক্ষিত ও উৎকণ্ঠিত হইয়া উঠি এবং তৎক্ষণাৎ প্রমাণ করিয়া দিই যে, পরের ধৈৰ্য্যের প্রতি বিশ্বাসস্থাপন করিয়াই আমরা পরকে উদ্বেজিত করিতেছিলাম। আমাদের স্পৰ্দ্ধা যদি যথার্থ অপরপক্ষের স্বাভাবিক রোষ এবং শাসনের কাঠিন্ত আমরা স্বীকার করিয়া লইতাম, তবে উদ্যতমুষ্টি দেখিবামাত্র তৎক্ষণাৎ আমরা মিণ্টেমর্লির দোহাই পাড়িতে ও আদালতের আন্ধার কাড়িতে ছুটতাম না। এ কথা মানিতেই হয় যে, স্বভাবের নিয়মে ম্পদ্ধার বিরুদ্ধে ক্রোধ উৎপন্ন হইয়া থাকে এবং সক্ষমের ক্রোধ কোনো-না-কোনো উপায়ে হিংসার আকার ধারণ করে। যদি , আমরা ইংরেজকে বলি,“তোমাকে জবা করিবার জন্তই আমরা দেশের ভাল করিতেছি” এবং তার পরে ইংরেজ রক্তচক্ষুহইবামাত্র বলি, “বাঃ, আমরা দেশের ভাল করিতেছি, তোমরা রাগ করিতেছ কেন”, তবে গাম্ভীৰ্য্যরক্ষা করা কঠিন হয়। “ জক্ট করিতে পারার একটা মুথ আছে, সন্দেহ নাই—কিন্তু দেশের ভাল করিতে প্লারার মুখ যদি তচ্ছার চেয়ে বড় হয়, তবে তাহার খাতির রাখিতে হয়। আমরা বয়কটু, গি করিতে গিয়া ভাল করিবার সুখ খৰ্ব্ব করিতে হয়। দেশীকাপড় চালানো ইংরেজের বিরুদ্ধে আমাদের একটা লড়াই, এ কথা । বলিলেই যাহা আমাদের চিরন্তন মঙ্গলের পবিত্র ব্যাপার, তাহাকে মল্লবেশ পরাইয়া পোলিটিকাল আখড়ায় টানিয়া আনিতে হয় ; ইংরেজ তখন এই উদ্যোগকে কেবল যে নিজের দেশের তাতীর লোকসান বলিয়া দেখে, তাহা নয়, এই হারজিতের ব্যাপারকে একুটা পোলিটিকাল সংগ্রাম বলিয়া গণ্য করে। ইহাতে ফল হয় এই যে, নিজের দুৰ্ব্বল প্রবৃত্তি চরিতার্থ করিবার উদ্দেশে আমরা স্বদেশের হিতকে ইচ্ছাপূৰ্ব্বক বিপদের মুখে ফেলিয়া দিই। আমাদের দেশে ত অস্তরে-বাহিরে, নিজের চরিত্রে ও পরের প্রতিকূলতায় বিঘ্ন ভুরিভুরি আছে, তাহার পরে আস্ফালন করিয়া নূতন বিস্তুকে হাক দিয়া ডাকিয়া আনিব, এত-বড় অনাবশ্বক শক্তিক্ষয়ের উপযুক্ত সঞ্চয় যে আমাদের কোথায় আছে, তাহার সন্ধান ত আমি জানি না । বড়-বড় স্বাধীনজাতিকেও বিবেচনা করিয়া চলিতে হয়— স্তব্ধ হইয়া থাকিতে হয়। স্বজাতির মঙ্গলসম্বন্ধে যাহাদের দায়িত্ববোধ আছে, তাহারা তেজস্ব হইলেও অনেক লাঙ্গুলমৰ্দ্দন বিনম্রফণায় নিঃশব্দে স্বীকার করে—ইংলণ্ড, ফ্রান্স, জৰ্ম্মণিতে ইহার অনেক দৃষ্টান্ত দেখা গেছে। জাপান চীনের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হইয়াও ੇ চক্রান্তে লড়াইয়ের ফল যখন ভোগ করতে পারে করিাই কোপড় চালাইতে প্রবৃত্ত হইয়াছি, নাই, তখন চুপ করিয়া ছিল—আজ রাশিয়াকে .এ কথা বলিবামাত্র দেশীকাপড় চালানো বিমসােলই উঠে, মুতরাং জস্ব করিবার স্বধ পরান্ত পরিাও বন্ধুদের মধ্যস্থতায় যখন রক্তপাতের পুরামুল্য আদায় করিতে পারিল
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।