খাদশ সংখ্যা । ] সাহিত্যপরিষদ। 鲍鸟y সেই একটি বিশেষকার্য্যের ফললাভ করিবার জষ্ঠ নহে ;—সকল কার্য্যেই ফললাভের অধিকার পাইবার জন্ত । কারণ, সফলতাই সফলতার ভিত্তি। একটাতে কৃতকাৰ্য্য হইলেই অন্তটাতে কৃতকাৰ্য্য হইবার দাবী পাকা হইতে থাকে—এই কথা মনে রাখিয়া দেশের কাজগুলিকে সফল করিবার দায় আমাদের প্রত্যেককে আপনার বলিয়া গ্রহণ করিতে হইবে। র্যাহার টাকা আছে তিনি নিশ্চিন্ত চুইয়া টাকা ভোগ করবেন না, যাহার বুদ্ধি আছে তিনি কেবল অন্ত্যের প্রয়াসকে বিচার করিয়া দিনযাপন করিবেন না ; দেশের কাজগুলিকে সফল করিবার জন্য যেখানেই আমাদের সকলের চেষ্ট মিলিত হইতে থাকিবে, সেখানেই আমাদের স্বদেশ সর্ত্য হইয়া উঠিবে। দেশজিনিষটা ত কাহাকেও নিষ্ট্রের শক্তিতে উপার্জন করিয়া আনিতে হয় নাই। আমরা যে পৃথিবীতে এত জায়গা থাকিতে এই বাংলাদেশেই জন্মিতেছি ও মরিতেছি, সে ত আমাদের নিজগুণে নহে, এবং বাংলাদেশেরও বিশেষ পুণ্যপ্রভাবে, এমনও বলিতে পারি না। দেশ পশুপক্ষিকীটপতঙ্গেরও আছে--কিন্তু স্বদেশকে নিজে মৃষ্টি করিতে হয়। সেইজন্যই স্বদেশে কেহ হাত দিতে আসিলে স্বদেশীরাত্রেই উৎকণ্ঠত হইয়া উঠে, কেননা,সেটা যে বহুকাল হইতে তাহাদের নিজের গড়— সেখানে যে তাহাদের বহুযুগের আহরিত মধু সমস্ত সঞ্চিত হইয় আছে। যে সকল দেশের লোক তাইদের নিজের শরীরমনবাক্যের সমস্ত .চেষ্টার দ্বারা জ্ঞানে-প্ৰেমে-কর্মে স্বদেশকে আপুনি গড়িয়া তুলিতেছে, দেশের অন্নবস্ত্র • স্বাস্থ্যজ্ঞানের সমস্ত অভাব আপনি পূরণ করিয়া তুলিতেছে, দেশকে তাহান্নাই স্বদেশ বলিতে পারে, এবং স্বদেশজিনিষটা যে কি, তাহাদিগকে বক্তৃতা করিয়া বুঝাইতেও হয় নী ;—মৌমাছিকে আপন চাকের মৰ্য্যাদা বুঝাইবার জন্ত বড়-বড় পুথির দোহাই পাড়া সম্পূর্ণ অনাবশ্যক। আমরা দেশের কোনো সত্যকৰ্ম্মে নিজের হাত না লাগাইয়াও আজ ২৫৩০ বৎসর ইংরেজি ও বাংলায়, গদ্যে ও পদ্যে স্বদেশের গৌরব ঘোষণা করিয়া, আসিতেছি । কিন্তু এই স্বদেশের স্বট যে কোথায়, এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়া গোলড্ষ্টকর, ম্যাক্স মূলর, মুম্বরের প্রত্নতত্ত্ব খুজিয়া হয়রান হইতে হইয়াছে। শাগুিল্যমুনির আশ্রমের জায়গাটার যদি আজ হঠাৎ আবিষ্কার হয়, তবে আমি শাভিলাগোত্রের দোহাই দিয়া সেট দখল করিতে গেলে আইনের পেয়াদ ত মানিবে না। পাঁচসাতহাজার বৎসর পূৰ্ব্বের উপর স্বদেশের স্বকীয়ত্বের বরাত দিয়া গৌরব করিতে বসিলে কেবল গলাভাঙাই সার হয়। স্বকীয়ত্বকে অবিচ্ছিন্ন নিজের চেষ্টায় বৃক্ষ করিতে হয় । আজ আমাদের পক্ষে স্বদেশ কোথায় ? সমস্ত দেশের মধ্যে যেখানেই আমরা নিজের শক্তিতে দেশবাসীদের জন্ত কিছু-একটা গড়িয়া তুলিতে পরিষ্কাছি, কেবলমাত্র সেইখানেই আমাদের স্বদেশ। এম্নি করিয়া যাহা-কিছু গড়িয়া তুলিতে পাব্লিব, তাহাতেই আমাদের স্বদেশের বিস্তার ঘটতে থাকিবে –সেই স্বদেশের উপর আমাদের সমস্ত প্রাণের দাবী জন্মিতে থাকিবে-আলু যাহা দয়া করিয়া দিবে, ঔtহাতেও নহে এবং বহুহাজারবৎসর পূৰ্ব্বে যে দলিল পাক হইয়াছিল, তাহাতেও না। 鬆
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।