দ্বাদশ সংখ্যা । ] ●धांtनलिक-जभिडि। good সম্বন্ধই দাড়াইয়াছে। এই স্বার্থদ্বন্দ্বের নিষ্পত্তি করিতে চাহিলে, ইংরেজের মন জোগাইয়া চলিলে কেবল চলিবে না। তাহার নিকট ভিক্ষণ বা করুণ-ক্ৰন্দনে কোনো লাভ হইবে না। ভালোয়ভালোয় যদি এই বিরোপের নিষ্পত্তি করিতে হয়, তবে আমাদিগকে আত্মস্থ ও আত্মপ্রতিষ্ঠ হইতে হইবে। প্রজাশক্তিকে জাগ্রত ও সংহত করিয়া, সেই সংহত প্রজাশক্তিকে ইংরেজের সম্মুখে ধরিয়া, তাহর প্রাণে আতঙ্কের সঞ্চার করিতে হইবে। এ ভিন্ন এ সমস্তার মীমাংসা অসম্ভব। প্রজাশক্তিকে জাগ্রত করিলেই মে ইংরেজের সঙ্গে শক্রতা করিতে যাইব, এমনও নহে। ইহাতে বাস্তবিক দেশের শান্তিভঙ্গ হইবে না, বরং আরো স্থায়িভাবে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিতই হইবে। কারণ, অপরাজয় শক্তির উপরেই অচলা শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, দুৰ্ব্বলতার উপরে নয়। । প্রজাশক্তি যেখানে স্বযুপ্ত, রাজশক্তি সেখানে স্বতই অত্যাচারী হইয়া ক্রমে অরাজকতা আনয়ন করে। প্রজার বিদ্রোহে কোনো দেশে প্রকৃত অরাজকতা উপস্থিত হয় না, রাজার অত্যাচার-অবিচারে প্রজা যেখানে একই সঙ্গে নিৰ্ব্বৰ্য্য ও অশক্ত ও অসংযত হইয় পড়ে, সেইখানেই প্রকৃত অরাজকতা উপস্থিত হয়। রাজ্যের শান্তির জন্য, রাজার মঙ্গলের জন্য, প্রজার আত্মজীবনের চরিতার্থতাসম্পাদনের জন্য, সৰ্ব্বত্রই প্রজাশক্তিকে জাগ্রত কুরির সতত সজাগ রাখিতে হয়। আমাদিগকেও তাঁহাই করিতে হইবে। , এখন আমাদের সন্ধবিধ রাজনৈতিক চেষ্টাকে এই লক্ষ্যমুখে পরিচালিত করিতে হইবে। জাতীয় - মহাসমিতিই হউক, আর প্রাদেশিক সমিতিই হউক, এ সকলকেই এখন আন্দোলনের কাজটা কথঞ্চিৎ কমাইয়া, সংগঠনের কার্য্যে নিযুক্ত হইতে হইবে। বস্তৃতার মাত্রা কমাইয়া, এখন বিচারে প্রবৃত্ত হইতে হইবে। এতকাল আমরা ইংরেজের মুখ চাহিয়া এসকল সভাসমিতি করিয়াছি। সরকারের * কানে তুলিবার আশায় কথা কহিয়াছি। দেশের লোক বুঝিবে কি না বুঝিবে,—তাহারা শোনে । কি না শোনুে, এ ভাবনা কখনো জাগে নাই এখন এই ভাবনাই ভাল করিয়া জাগাইতে হইবে। এখন আর ইংরেজকে আমাদের দুঃখক্লেশ জ্ঞাপন করিবার জন্য ব্যগ্র হইলে চলিবে না। দেশের লোকের প্রাণে তাহদের দুর্গতির জ্ঞান উজ্জ্বল করা আবশ্যক। এখন ইংরেজের উপরে লোকের আস্থা জন্মাইয়া, আর ফল নাই, তাহাদের নিজেদের উপরে প্রগাঢ় বিশ্বাস জন্মাইতে হইবে। এ শক্তি কেবল কথায় জাগিবে না, যদিও এ বিষয়ে প্রচুর উপদেশের প্রয়োজন আছে। • এ বিশ্বাস কেবল আন্দোলনে জন্মিবে না । যদিও উপযুক্তরূপে আন্দোলন-আলোচনাদি পরিচালিত হইলে, ব্রিটিশশাসনের দোষপ্রদর্শন ও ব্রিটিশ প্রভুশক্তিকে লোকচক্ষেহীন করিয়া,— আমরা যে বিদেশী মোহের দ্বারা একান্ত অভিভূত হইয়া এরূপভাবে আপনাদিগের শক্তিসামর্থের প্রতি অনুষ্ঠাবান হইয়া পড়িয়াছি,সে মোহঘোর অনেকপরিমাণে কমিয়া য়াইবার সম্ভাবনা আছে। গত ত্রিশবৎসরের রাজনৈতিক আন্দোলন এ কাজ অনেকটা করিয়াছে। এ ঔষধ এখনে আরো প্রয়োগ করিতে বইকে o সত্য, কিন্তু পূৰ্ব্বেকার অনুপানে আৰু ফলেদ । हहेब नीं । .
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।