☾ᎿᏉ অবশুপ্রতিপাল্য কতকগুলি কর্তব্য আছে, সে সম্বন্ধে আমাদের কোনো স্বাধীনতা নাই ; সে কর্তব্যপালনে হঠকারিতা বা অনিচ্ছা প্রকাশ করিলে, রাজদ্রোহিতাপরাধ হয় । সে অপরাধ করিতে প্রস্তুত নহি । সুতরাং অবশুপ্রতিপালা যে সকল রাষ্ট্রীয় কর্তব্য আছে, তাহ যথাবিধি ও যথাশক্তি পালন করিতেই হইবে। কিন্তু এতদ্ব্যতীত এমন অনেক বিষয় আছে, যাহাতে রাজা আমাদের সাহায্য প্রার্থনা করেন। এও প্রজার কর্তব্য বটে, কিন্তু এ কর্তব্যপালনে রাজপ্রসাদলাভ হইলেও, অবহেলায় প্রত্যবায় নাই। আমরা বঙ্গবিভাগের বিধান গ্রাহ করি না, ইংরেজের এই স্বেচ্ছাচারের দ্বারা আমরা পূৰ্ব্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গকে পরস্পর হইতে পৃথক হইতে দিব না,—এ সঙ্কল্প যদি রক্ষা করিতে হয়, তবে এই সকল অবাস্তর কর্তব্যপালনে আমরা পুৰ্ব্বের ন্যায় সম্মিলিত হইয়া কাৰ্য্য করিব, নতুবা এ সকল কাজ একেবারেই করিব না,—এ পণ করিতে হইবে। এইজন্ত পূৰ্ব্ববঙ্গে ও পশ্চিমবঙ্গে যে সকল রাজনৈতিক সভাসমিতি আছে, তৎসমুদায়কে একই কেন্দ্রসমিতির অধীনে স্থাপন করিতে হইবে। কলিকাতার ভারতসভা” বা বঙ্গীয়ভূম্যধিকারিসভা এবং ঢাকার জমিদারসভা, বরিশালের প্রজাসভা, মৈমনসিংএর জনসভা, এই সকল সভাসমিতিকে এক কর্তৃত্বাধীনে আসিতে হইবে। ইংরেজগবমেণ্ট যদি পশ্চিম- . বঙ্গের শাসনসম্বন্ধীয় কোনো বিষয়ে ভারতসভা বা ভূম্যধিকারিসভার মতামৃত জিজ্ঞাসা করেন, কিংবা ঢাকার বা মৈমনসিংএর কোনো প্রজাপ্রতিনিধিসতাঁর সহিত যদি পূৰ্ব্ববঙ্গের শাসনসম্পৰ্কীয় কোনো বিষয়ে পরামর্শকরিতে চাহেন, ৰঙ্গদর্শন । [ ७é ब६, tष्ज । ইহারা সাক্ষাৎভাবে কোনো উত্তর দান করিবেন না ; কিন্তু কেন্দ্রসমিতিকে যুক্তবঙ্গের সৰ্ব্ববিধ কাৰ্য্য করিবার ভার অর্পণ করিয়াছেন বলিয়া, গবমেণ্টকে ঐ কেন্দ্রসমিতির নিকট পরামর্শ লইতে বলিবেন । গবমেণ্ট হয় ত এইরূপ কোনো সমিতির অধিকার গ্রাহ করিতে চাহিবেন না ; তাহাতে আমাদেরই বা ক্ষতি কি ? কথা শুনিতে চান তাহারা, পরামর্শ আবশ্বক র্তাহীদের—মামাদের পূরমশ লইতে হক্টলে আমাদের মতে, আমাদের প্রণালী-অনুযায়ী . লইবেন, না গ্রহণ করেন, তথাস্থ । - আমাদের পরামর্শ ইংরেজ কেমন শোনে, আমাদের মতামতের খাতির ইংরেজ কতট৷ করে, তা এই বঙ্গভঙ্গসম্বন্ধীয় ব্যাপারে সবিশেষ জানিয়াছি। সুতরাং ইংরেজ আমাদের কথা শুনিতে পাইল কি না পাষ্টল, তাহাতে আর এগন কিছুই আসে-যায় না । শোনে, তারই ভাল। না শোনে, সে-ই অন্ধকার থাকিবে —তার জন্ত দায়ী ও সে নিজে । প্রাদেশিক-সমিতিকে এইজন্ত যুক্তবঙ্গের সৰ্ব্ববিধ রাষ্টীয়কার্য্যের একমাত্র মুখপাত্ররূপে প্রতিষ্ঠিত করিতে হুইবে । এই সমিতির স্থায়ী কম্মিসভার দ্বারাই উভয় বঙ্গের গবমেন্টের সঙ্গে আমাদের যাগ-কিছু কাজ, সকলষ্ট করিতে হইবে । গবমেণ্টও ইহার ক্ষপিকার অস্বীকাব করিতে পরিবে বলিয়া লোধ হয় না । এইরূপভাবে, প্রাদেশিক-সমিতিকে গড়িয়া তুলিলে, নবযুগের এই নবীনশক্তির প্রস্ট্রি ইহা অক্ষয়কীৰ্ত্তি লাভ করিবে। আর যদি এখনো ইহা পুৰ্ব্বপথেই পরিক্রম করে, ইহার শক্তিহানি ও আগুবিলোপ অনিবাৰ্য্য দুই পৰ্থ সমিতির সম্মুখে বিস্তৃত হইয়া আছে –এক
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।