প্তদশ সংখ্যা । ] ब्रांखडciचिनौ । đề) বৃন্ধটি কথার ছলে মহারাণীর অভিপ্রায় বুৰিতে অনায়ালে মাকে ফেলির সালে আজ পাঞ্জাব, আসিয়াছিল, মা তাহা উপলব্ধি করিয়া স্পষ্ট- কাল বোম্বে বেড়াইতে যাইবেন। আরো অনেক কথায় নিষেধ করিলেন। ইহাতে সে কিঞ্চিৎ আপত্তি তিনি তুলিয়াছিলেন, কিন্তু কুমার হাতেরাগিয়া গেল। বলিল, “বারোয়ারি কোথায় পায়ে ধরিয়া নিরস্ত করিয়াছেন। এই সুব কথা না হয় ?” তার পর কত উদাহরণ দিল। হইতেছে, এমনসময় কুমার স্বয়ং আসিয়া আমরা মার কাছে বসিয়া ছিলাম, বুড়ার উপস্থিত। আমার এবং সান্যালমহাশয়ের ধৃষ্টতায় ভারি বিরক্তিবোধ হইতেছিল। সে ,দিকে তাকাইয়া মা বলিলেন, “কোকনের আপন মনে বকিয়া বকিয়া শেষে চলিয়া গেল। যাহা দোষ, তাহ বলি। এখানে যেমন, মা তখন অবগুণ্ঠনমোচন করিয়া তাহার পিছু সেখানে সেইরূপ মাঝে-মাঝে পলাইলেই পিছু লোক পাঠাইলেন এবং বলিয়া দিলেন, আমি নিরুপায়।” কুমার বললেন, তিনি যে কথা হইয়াছে, তা কুমারকে যেন বলা না স্বীকার করিতেছেন যে, পলাইবেন না। যাহা হয়। পরে আমাদিগকে বলিলেন, “কেনই বা হউক, এই যাত্রা পরে স্থগিদ হইল। বলিলাম !” o আর একবার কুমার জেন্দ্র ধরিলেন,একাকী আর একদিন এই ব্রাহ্মণটি আসিয়া মার তিনি অযোধ্যা যাইবেন। মহারাণী অত্যন্ত কাছে জানাইল, কোন লাকের পিতৃশ্ৰাদ্ধে দুঃখিত হইয়া আমাদিগকে বলিলেন, গেলে কিছু সাহায্যের প্রয়োজন। মা, আমার দ্বারা যে উহাকে ফিরিয়া পাইঘ, সে আশা নাই। বলাইলেন, কোকনকে জানান হউক, তিনি শরীর শোধরাইবার জন্য মুঙ্গের, বৈদ্যনাথ সে সব কিছুতে আর হাত না দেন। ব্রাহ্মণ প্রভৃতি স্থানে গেলে ত হয়। অথবা "পদ্মার তথাপি ছাড়ে না, জেদ করিতে লাগিল। ধারে যে সব স্বাস্থ্যকর স্থান আছে, সেখানে কিন্তু মহারাণী শুনিলেন না । সে চলিয়া বেড়াইলেও চলিত যাহার কুমারের গেলে আমায় বলিলেন, “কোকা হুকুম দিয়াছে, “ সহগামী হইবে, তাহাদের কথা উল্লেখ করিয়া দুইটাকার বেশী অল্পর দান হইবে না।” বলিলেন, তারা ত সৰ্ব্বনাশ করিবে। পরে দুৰ্বদেশভ্রমণের ইচ্ছা হইলে কুমার ইদানীং কহিলেন, তিনি বলিয়াছেন, রাজবাটীতে তিনি মহারাণীমাতাকে . সঙ্গে যাইবার জন্য জেদ থাকিতে পারিবেন না। য়াহু হউক, ব্রাহ্মণধরিতেন, তাহার ইচ্ছা-অনিচ্ছ বিবেচনা পণ্ডিতেরা এ যাত্রায় প্রতিবন্ধক হইলেন। করিতেন না। একদিন প্রাতে মার কাছে পরদিন প্রাতঃকালে মহারাণীমাতাকে দর্শন শুনিলাম, গতরত্রে কুমার প্রস্তাব করিয়াছেন করিতে গেলাম। অনেকে সেখানে উপস্থিত . যে, মাকে প্রবৃন্দাবন যাইতে হইবে, তিনিও ছিলেন। কুমীরের অযোধ্যাগমনের প্রস্তাৰ সদলবলে যাইবেন। তীর্থবাসের জন্য মহারাণী- লইয়া বড় গোল উঠিয়াছে। যাহারা ইহাতে মাতা সৰ্ব্বদাই প্রস্তুত, কিন্তু সেভাবে যাইতে র্তাহাকে প্রবৃত্ত, করাইয়াছে, তাছাদের উপর ,জামে ইচ্ছুক ছিলেন না। তিনি কুমারকে মাতার বিরক্তির সীমা নাই। কুমার নিবৃত্ত বলিয়াছিলেন, তার যেরূপ ভ্যাস হইয়াছে, হইতে চান না, কিন্তু কোন কোন ব্রাহ্মণপণ্ডিত
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।