,ыз«АкҮ ج حية لن UTTAR PARA --- • JAKRISHNAlif বঙ্গদর্শন। تے میt*"محصبیعحتعمصمت باہمیت ۔ یہ নাট্যকলা ও রসতত্ত্ব। ജബപ്പബ് বাংলাদেশের বর্ধমান নাট্যকলার আদর্শ যে সম্যক্ উদার, কিংবা তাহার অবস্থা যে পূর্ব উন্নত,—এমন কথা বলিতে পারি না । বঙ্গরঙ্গালয়ের দোষ বিস্তর,—ইহা শতবার স্বীকার করি। এ দোষক্ষালনে আমার স্বার্থ নাই, তজ্জন্ত কোনো ব্যগ্রতাও নাই। কিন্তু এর জন্য দায়ী কে,—এ প্রশ্নের বিশেষ আলোচনা আবশ্যক। আবশ্যক এইজন্য যে, আমরা নাট্যকলা · বা রঙ্গালয়কে বর্জন বা উপেক্ষা করিয়া বৰ্ত্তমান সময়ে যে আমাদের জাতীয় জীবনকে সৰ্ব্বতেভাবে গড়িয়া তুলিতে পারিব, ইহা একেবারেই অসম্ভব। সভ্যসমাজে নাট্যকলা ও রঙ্গমঞ্চের শক্তি প্রভূত। এ শক্তিকে শিক্ষা-সাধনাচরিত্র-প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত করা সম্ভব, কিন্তু বৈরিতা করিয়া নিৰ্ম্মল করা সাধ্যায়ত্ত নহে। কারণ, নাট্যকলা ও রঙ্গালয় মানবপ্রকৃতির একটা অতি স্বাভাধিক ও গভীর অভাব পূর্ণ করিয়া থাকে। নিকৃষ্টলোকে অপরুষ্ট আমোদপ্রমোদের লেভে নাট্যাভিনয় দেখিতে যায়, নাট্যকলা ও রঙ্গালয়কে বর্জন করেন কেবল র্তাহার, যাঠারা মানবের স্বাভাবিক স্ফৰ্ত্তি ও জীবনের সুখসম্ভোগকে সতত পাপসংস্পৃষ্ট ও ধৰ্ম্মবিরোধী বলিয়া মনে করেন । আমাদের দেশে, বর্তমানে, আর এক কারণেও একদল লোকে রঙ্গালয়কে বিষবৎ বর্জন করিয়া থাকেন,—এ আপত্তির বিচার অন্যত্র. রা যাইবে। য়ুরোপে র্যাহারা নাট্যকলা ও রঙ্গালয়ের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিয়াছিলেন, তাহাদের নিকট আমোদপ্রমোদ ও ভোগবিলাসমাত্রেই পাপহেতু বলিয়া অনুভূত হইত। আমাদের দেশে সন্ন্যাসের একান্ত প্রভা: বের সময়েও, জীবের স্বাভাবিক ' ভোগবিলাসেচ্ছ কদাপি একান্ত ধৰ্ম্মবিগর্হিত বলিয়া বিবেচিত হয় নাই। বর্ণ ও আশ্রমভেদনিবন্ধন বিভিন্ন শ্রেণী ও আশ্রমীর আদর্শ, সাধন, বিধিনিষেধাদি বিভিন্ন ছিল সত্য ; কিন্তু জীবের আনন্দ যে হীন বা হেয় বস্তু, এ ভাব কখনো প্রকাশ পায় নাই । • * 孵 শ্ৰেষ্ঠজন রসতত্ত্বের সন্ধানে রঙ্গালয়ে গমন - জীব আনন, চায়—ইহা জীবপ্রকৃতিরই করেন। কিন্তু উভয় শ্রেণীই প্রকৃতির আড়নারনাট্যকলার অনুশীলন ও রঙ্গক্স আস্বাদন ধৰ্ম্ম। কারণ জানন্দেই স্ত্রীবের উৎপত্তি, আনলেই তাহার স্থিতি, আনলে তাহার লয় ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।