পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( సీ8 মানববুদ্ধির অগোচর। প্রত্যক্ষ এবং অমুমান দ্বারা ধর্মের নির্ণয় হয় না । ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মনির্ণয়ে শাস্ত্রই একমাত্র প্রমাণ ।” ‘তক্ষ্মীচ্ছন্ত্রিং প্রমাণস্তে কাৰ্য্যাকাৰ্য্যব্যবস্থিতে ।” 'ीउ ४७l९8 ‘প্রত্যক্ষেণামুমানেন যন্ত পায়ে ন বোধ্যতে। এতং বিন্দন্তি বেদেন তস্মীদ্বেদস্ত বেদত ॥" ঋগ্বেদের ভাষ্যের উপক্রমণিকাধুত বচন । প্রত্যক্ষামুমানানধিগতবস্তুতস্বাম্বাধীন শাস্তুধৰ্ম্মঃ ।” a ন্যায় বাৰ্ত্তিক । এইরূপে স্বাধীনচিন্তা এবং আমাদের শাস্ত্রসম্বন্ধীয় ধারণা ঠিক বিপরীত। আজকাল অনেকে বলেন যে, আমরা কেবল মমু, জৈমিনি ও ব্যাসকে ছাড়িয়া কান্ত, ( Kant ), মিল ( Mill ) এবং স্পেনসারকে ( Spencer ) ধরিয়াছি মাত্র, কিন্তু এখনও আমরা প্রকৃত স্বাধীনচিন্তায় উপনীত হইতে পারি নাই। এ কথা সম্পূর্ণ ঠিক নহে। আমরা কান্ত বা মিলের উক্তিকে উহাদের উক্তি বলিয়াই বিশ্বাস করি না। কান্ত বা মিল যাহা বলিয়া গিয়াছেন, তাহ আমাদের ' ভাল লাগে, তাহাতে আমাদের আত্মতুষ্টি হয়, এইজন্তই কান্ত বা মিলের উক্তিতে আমাদের আস্থ , সকলেই সৰ্ব্বশেষে নিজের উপর নির্ভর করে। কান্ত, বা মিল বলিয়াছেন, কেবল এইজন্যই কোন কথা সত্য বলিয়া গৃহীত হয় না। আমরা কান্ত এবং মিল কেও পরীক্ষা করি এবং তাছাদের যে যে অংশ যুক্তিযুক্ত বলিয়া মনে হয়, তাহাই গ্রহণ করি। একাদশীতে উপবাস করি, কেন না, তাহা শাস্ত্রে বিহিত হইয়াছে। “হিতবাদ” বা - Doctrine οι Utility wifi, ç<şa #1, उँश बन्नेसम्र्ब्सन । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, চৈত্র। ভাল লাগে, —উহাতে “আত্মতুষ্টি” হয়। তবে মিল বা কান্ত কোন কথা বলিলে, তাহ সহজে উড়াইয়া দিই না। উহার স্ব স্ব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ( Export )। বিশেষজ্ঞের সাক্ষ্য বলিয়া উহাদের বাক্যে সমধিক মনোযোগ দিই। কিন্তু যদি উহাদের সিদ্ধান্ত বিশেষ মনোযোগের , সহিত বুঝিয়াও যুক্তিযুক্ত মনে না করি, তবে শত কান্ত বা শত মিলও আমাদিগকে ঐ ঐ সিদ্ধান্তে আস্থাবান করিতে পারেন না। ভারতীয় ঋষিরা এইরূপে “আধ্যাধিৰ বিষয়ে” Expert , বা বিশেষজ্ঞ ছিলেন। র্তাহারা পরলোক, স্বল্পদেহ প্রভৃতি সম্বন্ধে যে সকল সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন, তাহ বিশেষ মনোযোগের সহিত বুঝিতে হইবে। একবারে না হউক, দশবারে না হউক্, ইতবার চেষ্টা করিয়া দেখিব, তাহাদের লিখিত আপাতদুবোধ কথাগুলির মধ্যে কোন সত্য আছে কি না । ইহাই স্বাধীনচিস্তার লক্ষণ । এইরূপে ধৰ্ম্ম এবং স্বাধীনচিস্তা, এই শব্দদুইটি বর্তমান প্রবন্ধে কিরূপ অর্থে ব্যবহৃত হইবে; মোটামুটি তাহার একটা আভাস দিয়া আমরা “ধৰ্ম্ম, সমাজ ও স্বাধীনচিন্তা” সম্বন্ধে আলোচনায় প্রবৃত্ত হইলাম । আমাদের দার্শনিকেরা বলেন, “চোদনালক্ষণোর্থে ধৰ্ম্মঃ” ( পুৰ্ব্বমীমাংসাশ্বত্র ১১১ ), “বেদৈকপ্রতিপাদ্যোর্থে ধৰ্ম্মঃ” (শূলপাণি— প্রায়শ্চিত্তবিবেক ), অর্থাৎ যাহার অনুষ্ঠান বেদে উপদিষ্ট হইয়াছে অথচ যাহার অনুষ্ঠানে, মানুষের অভু্যদয় বা উন্নতি হয়, তাহারই নাম ধৰ্ম্ম। বেদে যাহা যাহ উপদিষ্ট হইয়াছে, - তাহা সকলই ধৰ্ম্ম নহে। বেদে উপটুি খেন: * যাগ প্রভৃতিত্বে মানুষের প্রকৃত উন্নতি হয়ন—