चांनञ नरथा। ] ধৰ্ম্ম, সমাজ ও স্বাধীনচিন্ত । శివ(t তাই উহা দ্বারা শক্রবধ প্রভৃতি সাংসারিক উদ্দেশু সফল হইলেও উহার ধৰ্ম্ম নহে, উহারা অনৰ্থজনক, উহারা অর্থ নহে । যাহাতে অভু্যদয়, শ্রেয় বা মঙ্গল হয়, তাহাই অর্থ। “কোহর্থে যোহভু্যদয়ায়” (শবরভাষ্য)। কিন্তু যাহাতে যাহাতে অর্থ, অভু্যদয় বা সুখ হয়, অর্থাৎ যাহা যাহা প্রয়োজনসিদ্ধির জন্ত অনুষ্ঠিত হয়, তাহ সমস্তই ধৰ্ম্ম নহে। বেদৈকপ্রতিপাদ্য’ না হইলে উহাদিগকে ধৰ্ম্ম বলে না। যেমন ভোজন' লৌকিক প্রয়োজন ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্ত ভোজনের অনুষ্ঠান। উহা ‘বেদৈকপ্রতিপাদ্য' নহে। অতএব উহা ধৰ্ম্ম নহে । বস্তুত এই মতে, কি ধৰ্ম্ম, কি অধৰ্ম্ম, তাহ জানিবার জন্ত বেদই একমাত্র মূল উপায় । তার পর বেদবিরোধী স্মৃতি (পুরাণ ও স্মৃতি , শিষ্টাচার এবং আত্মতুষ্টি । বেদঃ স্মৃতিঃ সদাচারঃ স্বস্ত চ প্রিয়মাত্মনঃ। এতচ্চতুবিধং প্রাহু: সাক্ষাদ্ধৰ্ম্মস্ত লক্ষণম্। ( अळू २: >२ . শ্রুতি বা স্মৃতিতে যে বিষয় উপদিষ্ট হয় নাই, এইরূপ বিষয়ে, কি ধৰ্ম্ম,কি অধৰ্ম্ম, জানিতে হইলে শিষ্ট ব্রাহ্মণের আশ্রয়গ্ৰহণ করিতে হইবে। র্তাহারা ধাহাকে ধৰ্ম্ম বলিয়া নির্দেশ করিবেন, তাহাই ধৰ্ম্ম । এখানেও পরের উপর ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মনির্ণয়ের ভার স্তস্ত হইল। , অনায়াতেষু ধর্ক্সেৰু কথং স্তাদিতি চেভেবেৎ । , , , শিষ্ট ব্রাহ্মণ ক্ৰয়ু: স ধৰ্ম্মঃ স্তাদশঙ্কিত: । v, মনু ১২।১৯৮ ধৰ্ম্মের এইরূপ ধারণা হিন্দুর মজ্জাগত। যাহা শাস্ত্রে আছে তাহ ধৰ্ম্ম, যাহা নাই তাহ ধৰ্ম্ম নহে। শাস্ত্রে অবিচলিত শ্রদ্ধা না থাকিলে এ-লক্ষণাক্রান্ত ধৰ্ম্ম মামুষের কোন প্রয়োজনে আইসে না এবং ধৰ্ম্মসম্বন্ধে এইরূপ ধারণা বদ্ধমূল হইয়া গেলে ক্রমে সমাজ স্বাধীনচিন্ত৷ হারাইয়া ফেলে। তখন শাস্ত্রের ব্যাখ্য, এবং কথার কাটাকাটিই দর্শনশাস্ত্রের মূলবিষয় হইয়া দাড়ায়। ধৰ্ম্মাৎ পরতরং ন হি—ধৰ্ম্ম হইতে শ্ৰেষ্ঠ পদার্থ আর নাই। ইংরেজিতে বলে, “তুমি কাহার সংসর্গে কালকাটাও, বল, আমি তোমার কিরূপ স্বভাব, তাহ বলিয়া দিতেছি।” অর্থাৎ সংসর্গ দেখিয়া মানুষের স্বভাবনির্ণয় হয়। আমরা বলিতে পারি, “তুমি কোন ধৰ্ম্মে আস্থাবান, কোন কোনু বিষয়ে তোমার যথার্থ বিশ্বাস আছে, বল, আমি তোমার যথাসৰ্ব্বস্ব বলিয়া দিতেছি।” বস্তুত ধৰ্ম্মই মনুষ্যজীবনের সৰ্ব্বাপেক্ষ বড় জিনিষ । ইহা যদি সঙ্কীর্ণ, স্বার্থপর, পরাধীন হয়, তবে সেই মানুষ বা - সেই সমাজ কখনই উদার, প্রেমিক বা স্বাধীন হইতে পারে না । ধৰ্ম্মে যদি মানবের চিন্তাস্রোতের স্বৈরসঞ্চারে বাধা দিয়া উহাকে শাস্ত্রের গণ্ডিতে প্রবাহিত হইতে বলে, তবেই বুঝিবে, ' ঐ-ধৰ্ম্মাবলম্বী লোকেরা ক্রমে জ্ঞানালোক হারাইয়া, অজ্ঞানরূপ অন্ধতামিস্রে ডুবিয়া যাইবে এবং বিষয় ছাড়িয়া কথা লইয়া মারা মারি করিবে । so a পূৰ্ব্বে যাহা বলা হইয়াছে, তদনুসারে হিন্দুর দশবিধ সংস্কার, সন্ধ্যাহিক, বারমাসের তের পাৰ্ব্বণ, দোলদুর্গোৎসব, কুলীিপূজা, লক্ষ্মীপূজা, যমবুড়ীর ব্রত, र्डिनंख्छांटबंब उड-ननई शै। এইরূপ সংখ্যাতীত ক্রিয়াকলাপই ধৰ্ম্ম। তাই স্বপ্রসিদ্ধ লেগাক্ষিভাস্কর বলিলেন-- “অখ কে ধৰ্ম্মঃ কিং তস্য লক্ষণম্ ইতি চেঙ্গুচ্যতে বাগাদিয়েব ধৰ্ম্মঃ ।” B • ,
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।