স্বাদশ সংখ্যা। ] ঘৰ্ম্ম, সমাজ ও স্বাধীনচিস্তা । «ሕዋ ধৰ্ম্মকে আত্মার গুণ বলিয়া ধর, যদি ধৰ্ম্মকে মানসিক বা আধ্যাত্মিক উন্নতির নামান্তর মনে কর, যদি ভাবশুদ্ধিবিহীন কৰ্ম্মকে ধৰ্ম্ম বলিতে সঙ্কুচিত হও, তবে নিশ্চয়ই ধর্মের এরূপ লক্ষণ করিবে, যাহাতে মানবের আধ্যাত্মিক জীবনের প্রতি চোখ পড়ে। এইজন্য বঙ্গের সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থকার বঙ্কিমচন্দ্র হিন্দুয়ানি শিখাইতে যাইয়াও, ধৰ্ম্মের হিন্দুকুত লক্ষণ ছাড়িয়া দিয়া, বিদেশীমাল বাঙালীকে খাটুি স্বদেশী বলিয়া উপহার • দিবার প্রয়াস পাইয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন— “মঙ্গুষ্যের কতগুলি শক্তি [ বৃত্তি ] আছে।...সেইগুলির অনুশীলন, প্রকরণ ও চরিতার্থতার মনুষ্যত্ব । তাঁহাই মানুষের ধর্শ্ব। এই অমুশীলনের সীমা পরস্পরের সহিত বৃত্তিগুলির সামঞ্জস্ত। এই সমস্ত বৃত্তির উপযুক্ত अत्रू*ौलन हईएल छेहांब्री সকলেই श्रेवब्रभूची श्ब्र । cमझे অবস্থাই ভক্তি •••” & এখানে বাহ ক্রিয়াকলাপের নামগন্ধ নাই, কেবল কতগুলি আস্তর বিষয় লইয়া ধৰ্ম্মের লক্ষণ করা হইয়াছে। অবশু আস্তর ভাবগুলি বাহবিষয়ের অবলম্বন না করিয়া অভিব্যক্ত হইতে পারে না । তাই বৃত্তিসকলের অনুশীলনে বাহ ক্রিয়াকলাপ আসিয়া পড়ে। হইতে পারে-চতুরাশ্রম, পঞ্চমহাযজ্ঞ, দশবিধসংস্কার প্রভৃতি আত্মবিকাশের—মানবীয় বৃত্তিসমূহের অনুশীলনের প্রকৃষ্ট উপায়। কিন্তু এগুলি উপেয় নহে। ইহাদের দ্বারা ধৰ্ম্মলাভ হয় সত্য, কিন্তু ইহারা ধৰ্ম্ম নহে। ইহার ধর্মের দ্বেষ্ট, আত্মা নহে। ধৰ্ম্মের লক্ষণ করিতে *গয়া ধৰ্ম্মের আত্মস্বরূপ আন্তর ভাবগুলিকে— চিত্তশুদ্ধিকে—বৃত্তির অনুশীলনকে ছাড়িয়া দিলে পরিণামে যে ধর্মের ঐ নিৰ্জ্জীবদেহকে-ঐ বুঝিবে, তাহাতে বিচিত্র কি ? তাই আজ হিন্দু সন্তান ভাবশুদ্ধি অর্থাৎ ঈশ্বরে ভক্তি, সত্যনিষ্ঠ, দয়া, দ্যায়পরায়ণতা প্রভৃতিকে ধৰ্ম্মের মাত্মা বলিয়া বুঝে না ; যাহ ধৰ্ম্মের স্থলশরীরমাত্র —যাহার অবলম্বনে প্রাচীনকালে ভক্তি, স্বার্থত্যাগ, স্বদেশপ্রীতি প্রভৃতি প্রকটত হইত বলিয়াই যাহা ধৰ্ম্ম-আখ্যা লাভ করিয়াছে—সেই সকল বাহ “ ক্রিয়াকলাপ-যাগষজ্ঞ –পূজাআচ্চ - ব্রতলিয়মই—আজ ধৰ্ম্মনামের একমাত্র অধিকারী। তাই লেগাক্ষি বলিলেন— “যাগাদিরেব ধৰ্ম্মঃ ।” তাই আমরা অনুষ্ঠানপ্রধান-ক্রিয়াকলাপবহুল -হইয় পড়িয়াছি। তাই আমাদের খাটি ধৰ্ম্মের প্রতি দৃষ্টি নাই। বেদবিহিত যাগাদিই ধৰ্ম্ম, তদিতর ধৰ্ম্ম নহে, এই বিশ্বাসের আর একটি বিষময় ফল নিয়ে প্রদর্শিত হইতেছে । মানুষের অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাহার ধৰ্ম্মও একটু বদলাইয়া যায়। যাহা বৈদিকযুগে ধৰ্ম্ম ছিল, তাহ সাৰ্বযুগে স্থানভ্রষ্ট হইল ; আবার স্মার্তযুগের কৰ্ম্ম • গুলি তান্ত্রিক কৰ্ম্মদ্বারা বিতাড়িত হইল। ইহাই স্বাভাবিক নিয়ম । মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্রের প্রথমোল্লাসে ভারতীয় ধৰ্ম্মের এই ইতিহাসটুকু অতিবিশদরূপে বর্ণিত আছে। যথা— ইজাদ্যোবাচ । ভগবদ সৰ্ব্বভূতেশ ফুৰি বর। কৃপাবতী ভগবত ব্ৰক্ষান্তর্ঘামির্শ পুর ॥ ১৮ প্রকাশিতাশ্চতুৰ্ধৰtঃ সৰ্ব্বধর্শ্বেীপবৃদ্বিতাঃ । বর্ণাশ্রমানিম বত্র চৈত্র প্রতিষ্ঠিত ২৯। তদ্ভূক্তযোগযজ্ঞলৈ "ভিজুৰি মানবা। . . বােনদিন গণনা থাপনা কুক্ত লখ । কৃত্তে ব্যতীতে জেতায়াং দৃষ্ট ধর্থব্যতিক্রম। " বেদোক্তকভিন্ন ভ্যাম শক্তীঃ ৰেষ্টসাধনে ॥ ওs +
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।