দ্বাদশ সংখ্যা । ] , প্রমাণ। পরোপকার ও অহিংসার প্রামাণ্য আত্মতুষ্টির উপর নির্ভর করে অর্থাৎ “পরোপকার এবং অহিংসা ধৰ্ম্ম” এ কথায় আমাদের আত্মতুষ্টি হয় বলিয়াই আমরা পরোপকার এবং অহিংসাকে ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মনির্ণয়ে উপায় বলিয়া মনে করি। হিন্দুশাস্ত্রের দিকে এবং ইদানীন্তন হিন্দুসমাজে যাহারা প্রকৃত ধায়িক বলিয়া পরিচিত, তাহাদের দিকে দৃষ্ট কুরিলে দেখু যাইবে যে, ধৰ্ম্মের নিষেধায়ক ( পরহিংসা করি ও না ) অংশই এদেশে বহুল প্রচারিত হইয়াছে। পরের উপকার কর, সমাজের কল্যাণকর প্রভৃতি বিধির তত চল নাই। পরের জন্ত, সমাজের জন্ত চিন্তা করাটা দেন বে-আদবী বলিয়া গণ্য। ধাৰ্ম্মিকের বলেন—“আমাদের জ্ঞান কতটুকু ? আমাদের শক্তি কতটুকু ? অমরা নিজেই পাপিষ্ঠ। আমরা পরের জন্ত কি বরিব ? বিশেষত সমাজের কিসে উপবর্ণর হয়, বিসে অপকার হয়, তাহাই বা কিরূপে ঠিক করিব ? আর কেবল হিন্দুসমাজ বা ভারতবর্ষ ধরিলে চলিবে কেন ? সমগ্র মানবসমাজের বিসে উপকার, কিসে অপকার, তাহ নিরূপণ করা আরও দুরূহ। তার পর, কেবলমাত্র মানবসমাজের উপকারই ত শাস্ত্ৰবিহিত লক্ষ্য নহে। আমাদের শাস্ত্ৰে সৰ্ব্বভূত্তের হিতের কথা বলা হইয়াছে। আমাদের শাস্ত্রানুসারে* যাহাতে আব্রহ্ম স্তৰ পৰ্যন্ত–ব্রহ্মা হইতে তৃণ পর্যন্ত— মুকুলের কুশল হয়, তাহাই ধৰ্ম্ম। কিন্তু কিসে প্ৰব্ৰহ্মাদিস্থাবরান্ত জগতের মঙ্গল হয়, তাহা কে বলিয়া দিবে ? অতএব এস, আমরা সৰ্ব্বভূ৩হিতে রক্ত মহর্ষিদের প্রণীত শাস্ত্রের আদেশ পালন করি, ঈশ্বরে ভক্তি করি এবং কাহারও ধৰ্ম্ম, সমাজ ও স্বাধীনচিন্ত । 6 هون হিংসা করিব না বলিয়া প্রতিজ্ঞা করি। স্বাধীনচিন্তাদ্বারা ধৰ্ম্মনিরূপণ, সৰ্ব্বভূতের হিতনিরূপণ অসম্ভব।” যাহারা সৰ্ব্বাস্তঃকরণে এই কথা বলেন, তাহারা ধৰ্ম্মবিষয়ে যে অনেকটা অগ্রসর হইয়াছেন, তাহ নিঃসন্দেহ। তাহারা মুখে এরূপ বলিলেও তাহদের জীবন সৰ্ব্বদা পরোপকারে ব্যয়িত রোগীৰ পরিচর্য্যা, বিপন্নের উদ্ধার বা .শিল্পবাণিজ্যের উন্নহিচষ্টং-এ হয়। স্বদেশের l বিবরে ইহারা নে কোন সমাজের আদর্শ হইন্ধন্ত, পারেন। ইহারা মানবসমাজের উন্নতিকেই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ বলিদ মনে করেন না। ইহার অত্যন্ত ঈশ্বরপরায়ণ । বিস্তার: সৰ্ব্বভুতস্য বিঞ্চে বিশ্বমিদং জগৎ । দ্রষ্টব্যমাত্মবৎ তন্মাদভেদেন বুিচক্ষণৈঃ ॥ 6", יצוג "והיאf এই শাস্ত্রানুসারে ইহারা সৰ্ব্বভূতে আত্মদৃষ্টি করেন। তাই ইহারা সৰ্ব্বভূতহিতে রত। সামান্য বীটের জন্তও ইহাদের প্রাণ র্কাদে। কিন্তু এইরূপ অতিমামুষিক আদর্শবর্তমান সমাজ চলিতে পারে না। সাধারণ লোকে সৰ্ব্বভূতহিতের কথা বুঝে না । বরং তাহাদিগকে মানবসমাজের হিতের কথা বলিলে বেশী কাজ ইতে পারে। সাধারণে এই সকল মহাত্মার জীবনে কেবল স্বার্থই দেখিতে পায়, মনে করে, “ইহারা কেবল নিজেকে লইয়াই ব্যস্তু।” বস্তুত হিমালয়ের "গুহার অবস্থান, করিয়া পরমার্থচিন্তন যাহাঁদের জীবনের আদর্শ বলিয়া মনে হয়, তাহার যে সৰ্ব্বভূতহিতের জন্ত জীবন ধারণ করেন, ইহা সমাজ বুঝিবে কিরূপে s. ফলে, আমাদের সমাজের সাধাকু আধুপরী হইয়া দাড়াইয়াছে। স্কুাপনার ইন্দ্ৰিয়সংযম
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।