পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Եթ নেতার আমদানি হয় এবং লোকে প্রাণের গরজে বিচার করিবার সময় পায় না,-নেতা লইয়া টানাটানি-কাড়াকড়ি করিতে থাকে। ইহাতে করিয়া অনেক মিথ্যার,—অনেক কৃত্রিমতার স্বষ্টি হয়, কিন্তু ইহার মধ্যে আসল সত্যটুকু এই যে, আমাদের নিতান্তই নেতা চাই—নহিলে আমাদের আশা-উদ্যম-আকাজ সমস্ত ব্যর্থ হইয়া যাইতেছে। যাহা হউক, একদিন যখন নেতাকে ডাকি নাই,কেবল বক্তৃতাসভার সভাপতিকে খুজিয়াছিলাম, সেদিন গেছে ; তার পরে একদিন যখন “নেতা নেতা” করিয়া উন্মত্ত হইয়া উঠিয়াছিলাম, সেদিনও আজ নাই ; অতএব আজ অপেক্ষাকৃত স্থিরচিত্তে আমাদের একজন দেশনায়ক বরণ করিয়া লইবার প্রস্তাব পুনৰ্ব্বার সর্বসমক্ষে উথাপন করিবার. সময় হইয়াছে বলিয়া অনুভব করিতেছি । এ সম্বন্ধে আজ কেবল যে আমাদের বোধশক্তি পরিষ্কার হইয়াছে, তাহা নহে, আমাদের ক্ষেত্র প্রস্তুত হইয়াছে এবং দেশের হৃদয় নানা আন্দোলনের ও নানা পরিভ্রমণের পরেও অবশেষে র্যাহাকে নেতা বলিয়া স্বীকার করিতে চাহে, তাহার পরিচয় অদ্য যেন পরিস্ফুটতর হইয়া উঠিয়াছে। আমি জানি, এই সভাস্থলে, দেশনায়ক বলিয়া আঁমি যাহার নাম লইতে উদ্যত হইয়াছি, তাহার নাম আজ কেবল বাংলাদেশে নহে, ভারতবর্ক্সের সর্বত্র ধ্বনিত হইয়া উঠিয়াছে। আমি জানি, মাজ বঙ্গলক্ষ্মী যদি স্বয়ম্বর হইতেন: তবে তঁহারই কণ্ঠে বরমাল্য পড়িত। ব্রাহ্মণের ধৈর্য্য ও ক্ষত্রিয়ের তেজ शैशाल.आईडू মিলিত, যিনি সরস্বতীর बजाईन। [ ७é वर्ष, tजाछे । নিকট হইতে বাণী পাইয়াছেন এবং র্যাহার অক্লান্ত কৰ্ম্মপটুতা স্বয়ং বিশ্বলক্ষ্মীর দান— আজ বাংলাদেশের ছর্যোগের দিনে র্যাহারা : নেতা বলিয়া খ্যাত, সকলের উপরে র্যাহার মস্তক অভ্ৰভেদী গিরিশিখরের মত বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জের মধ্যে জগিয়া উঠিয়াছে, সেই স্বরেন্দ্রনাথকে সকলে মিলিয়া প্রকাষ্ঠভাবে দেশনায়করূপে বরণ করিয়া লষ্টধর জন্য আমি সমস্ত বঙ্গবাসীকে আজি আহবান করিতেছি । সুরেন্দ্রনাথ তাঙ্কার নবীেবনের জ্যোতিঃপ্রদীপ্ত প্রভাতে দেশহিতের জাহাজে হাল ধরিয়া যেদিন যারা আরম্ভ করিয়াছিলেন, সেদিন ইংরেজিশিক্ষাগ্রস্ত যুবকগণ একটিমাত্র বন্দরকেই আপনাদের গম্যস্থান বলিয়া স্থির করিয়াছিলেন—সেই বন্দরের নাম রাজপ্রসাদ । সেখানে আছে সবই—লোকে যাহকিছু কামনা করিতে পারে, অন্নবস্থ-পদমান সমস্তই রাজভাণ্ডারে বোঝাক্ট করা রহিয়াছে। আমরা ফর্দ ধরিয়া-ধরিয়া উচ্চস্বরে চাহিতে আরম্ভ করিলাম - ডাঙা হইতে উত্তর আসিল, “এস না,তোমরা নামিয়া আসিয়া লইয়া যাও।” কিন্তু আমাদের নামিবার ঘাট নাই ; আর-আীল সমস্ত বড়-বড় জাহাজে পথ আটক করিয়া নোঙর ফেলিয়া বসিয়া আছে, তাহার একইঞ্চি নড়িতে চায় না। এদিকে ফর্দ আগুড়াইতে আওড়াইতে আমাদের গলা ভাঙিয়া গেল—দিন অবসান হইল আসিল। কখনো বা রাগ করিয়া যাহা মুগ্ধ আসে তাহাই বলি, কখনো বা চোপের জলে কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া আসে। কেহ নিষেধও করে না, কেহ পৰ্থও ছাড়ে না ; বাধাও নাই, সুবিধাও নাই। আর আর সকলে দিব্য কেনাবেচা