હર ৰাহুল্য। সুরেন্দ্রনাথও তাহার জীবনের দীর্ঘকাল রাজপথের শুষ্কন্ধালুকায় অশ্রু ও ঘৰ্ম্ম সেচন করিয়া তাহাকে উর্বর করিবার চেষ্টা করিয়া আসিয়াছেন, তাহাও জানি । ইহাও দেখিয়াছি, মৎস্তবিরল জলে যাহারা ছিপ ফেলিয়া প্রত্যহ বসিয়া থাকে, অবশেষে তাহদের, মাছ পাওয়া নয়, ঐ আশা করিয়া থাকাই, একটা নেশা হইয়া যায়, ইহাকে নিঃস্বার্থ নিষ্ফলতার নেশা বলা যাইতে পারে, মানবস্বভাবে ইহারও একটা স্থান আছে। কিন্তু এজন্ত সুরেন্দ্রনাথকে আমি দোষ দিতে পারি না, ইহা আমাদের ভাগ্যেরই দোষ । সুরেন্দ্রনাথ তাহার দেশের প্রতিনিধি ; দেশের অভিপ্রায় অনুসারেই তিনি দেশকে চালনা করিয়াছেন । দেশের যদি মোহ ভাঙিত, দেশের আকাঙ্ক্ষা যদি মুচিকার দিকে না চুটিয়া জলাশয়ের দিকেই ছুটিত, তবে তিনিও নিশ্চয় তাহাকে সেই দিকে বহন করিয়া লইয়া যাইতেন, তাহার বিরুদ্ধপথে • চলিতে পারিতেন না । . তবে নায়ক হইবার সার্থকতা কি, ঐ প্রশ্ন উঠিতে পারে। নায়কের কৰ্ত্তব্য চালনা করা,—ভমের পথেই হউকৃ, আর ভ্রমসংশোধনের পথেই হউকৃ। অভ্রান্ত তত্ত্বদর্শীর জন্য দেশকে অপেক্ষা করিয়া বসি থাকিতে বঃ কোনো কাজের কথা নহে। দেশকে চলিতে হইবে ; কারণ, চল স্বাস্থ্যকর,–বলকর । এত দিন আমরা যে পোলিটিকাল অ্যাজিটেশনের পথে চনিছি, তাছাত্ত্বে অন্ত ফললাভ যতই সামান্ত হউক, নিশ্চয়ই বললাভ করিয়াছি— নিশ্চই ইহাতে আমাদের চিত্ত সজাগ হইয়াছে, আমাদের কুড়ম্বমোচন হইয়াছে। কখনই উপদেশের রচন্দ্রমের মূল উৎপাটত হয় না, बर्बाचन। ( si so, teré তাহা বারংবার অঙ্কুরিত হইয়া উঠিতে থাকে। ভোগের দ্বারাই কৰ্ম্মক্ষয় হয়, তেমনি ভ্রম করিতে দিলেই যথার্থভাবে ভ্রমের সংশোধন হইতে পারে, নহিলে তাহার জড় মরিতে পারে না। ভুলু করাকে আমি ভয় করি না, ভুলের । আশঙ্কায় নিশ্চেষ্ট হইয়া থাকাকেই আমি ভয় করি। দেশের বিধাতা দেশকে বারংবার অপথে ফেলিয়াই তাহাকে • পথ চিনাইয়া দেন—গুরুমহাশয় পাঠশালায় বসিয়া তাহাকে পথ চিনাইতে পারেন না। রাজপথে ছুটাছুটি করিয়া যতটা ফুল পাওয়াযায়, সেই সময়টা নিজের মাঠ চষিয়া অনেক বেশি লাভের সম্ভাবনা, এই কথাট। সম্পূর্ণ বুঝিবার জন্য বহুদিনের বিফলতা গুরুর মত কাজ করে। সেই গুরুর শিক্ষা যখন হৃদয়ঙ্গম হইবে, তখন যাহার পথে ছুটিয়াছিল, তাহারাই মাঠে চলিবে— আর যাহার ঘরে পড়িয় থাকে, তাহার বাটেরও নয় মাঠেরও নয়, তাহার অবিচলিত প্রাজ্ঞতার ভড়ং করিলেও, সকল আশার,-- সকল সদগতির বাহিরে । অতএব দেশকে চলিতে হইবে। চলিলেই তাহার'সকল শক্তি আপনি জাগিবে, আপনি থেলিবে । কিন্তু রীতিমত চলিতে গেলে চালক চাই । পথের সমস্ত বিঘ্ন অতিক্রম করিবার জন্ত বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদিগকে দল বাধিতে হইবে, স্বতন্ত্র পাথেয়গুলিকে একত্র করিতে হইবে, একজনের বাধ্যত স্বীকাক্ট করিয়া দৃঢ় নিয়মের অধীনে নিজেদের মতবিভিন্নতাকে যথাসম্ভব সংযত করিতে হইবে,=ীভূব আমাদের সার্থকতা-অন্বেষণের এই মহাৰাত্রা দীর্ঘকাল কেবল ছুটাছুটি-দৌড়াদৌড়ি, ডাকা -ডাকির্ষাকাহাকিতেই নষ্ট হইতে খাক্টিৰে P
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।