ఆs शत्र+ । [७र्छ बरु, छार्छ । 'মনুরাগেরই পরিচয় প্রবন্ধমধ্যে পাওয়া যায়। তরঙ্গ সমাজপ্রাচীরকে কখনো উল্লঙ্ঘন তাহা হইলে, রাজনীতির আলোচনার পরামর্শের অর্থ কি ? সমাজদ্রোহী রাজনীতিখোরদের উপর ব্যঙ্গকটাক্ষ নহে ত ? প্রবন্ধলেখক লিখিয়াছেন যে, “গ্রীকের সমাজতত্ত্ব, গ্রীকের রাজনীতি, গ্রীকের ললিতকলা প্রভৃতি যেমন মানবীয় সাধনার অমূলারত্ন, সেইরূপ হিন্দুর তত্ত্ববিদ্যা ও ব্রহ্মজ্ঞানও জগতে আর এক অমূল্য বস্তু। এই উভয়বিধ সাধনায়ই লক্ষ্য এক,-সেই অদ্বৈত, অথও, সচ্চিদানন্দ পুরুষ। ব্যাবহারিক জগতে হিন্দু ভেদকে প্রতিষ্ঠিত করিয় তাহারষ্ট উপরে ব্ৰহ্মসাধনের . পূৰ্ববৃত্ত আচার-অনুষ্ঠানাদি প্রবর্তিত করিয়াছিল । সাধনার নিম্নস্তরে বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত করিয়া, ভেদকে হিন্দু স্বীকার করিয়াছে। মুলে সম্ভবত গুণকৰ্ম্মবিভাগের উপরেই এই বর্ণবিভাগ ও বর্ণাশ্রমধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, ক্রমে তাঙ্গ কুলগত হইয়া পড়িয়াছে । সমাজশাসন, সমাজরক্ষা , ও সামাজিক উন্নতিবিধানের জন্য যুরোপে পেটিয়টিজম যে কাৰ্য্য করিয়াছে, আমাদের মধ্যে সে কাৰ্য্য এতাবতকাল মোটামুটি বর্ণবিভাগ ও আশ্রমধৰ্ম্মের দ্বারাই সাধিত হইয়া আসিতেছে। মুসলমান শাসিয়া যখন ভারতে প্রতিষ্ঠিত্ব হইল, তখনও এই বর্ণাশ্রমনিবন্ধনই নুতন রাজশক্তি ও রাজনীতি বিধৰ্ম্মী ও মেচ্ছাচারী হইয়াও হিন্দুর চিরাগত ভাব ও আদর্শকে অভিভূত কবিতে পারে নাই।” . এবন্ধলেশ্বকের অভিপ্রায় বুৰ যাইতেছে ধে “সমাজু নি:শব্দে আপনার নিয়মে আপনাকে নিয়ন্ত্রিত করিলে, আপনার আদর্শ আপনি স্বল্পহরণ করিয়া চলিলে, শাসনের করিতে পারে না ।” প্রবন্ধলেখকের অভিপ্রায় বুঝিতেছি যে, “অদ্বৈত, অখণ্ড, ' সচ্চিদানন্দ পুরুষই মানুষের “সাধনার লক্ষ্য”। আর্য্যসাধন দুইপ্রকার,—দুইই অমুল্য রত্ন’ । ইহার এক সাধন-ধৰ্ম্মমূলক সমাজবন্ধন অর্থাৎ বর্ণাচার সমাজবন্ধন ; অপর সাধনা-পেটিয়টিজম্মুলক নেশন্বন্ধন । “গ্রীকৃ ও হিন্দু উভয়েই একই বিশাল আর্য্যংশের বিভিন্ন শাখা । গ্রীকের পেট য় টিজমের আদিগুরু ছিলেন । গ্রীসে জড়বিজ্ঞান প্রাচীনকালেই বিশেষভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছিল। হিন্দু জড়কে অগ্রাহ ও উপেক্ষা করিয়া, জড়বিজ্ঞানের যাহ-কিছু অবশুম্ভাবী বিকাশ এদেশে হুষ্টয়াছিল, তাহা ও রক্ষা করিতে পারে নাই।" কিন্তু “হিন্দু অন্যদিকে শুদ্ধ, অথগু, নিৰ্ব্বিশেষ, নিরাকার, নিগুণ চৈতন্তবস্তুকে লাভ করিবার জন্য লালায়িত হইয়া, জগতের সকল সম্বন্ধ, সকল বিশেষত্ব, সকল বিচিত্রতাকে ঔপধিক, মায়িক ও পারমার্থিক দৃষ্টিতে অলীক বলিয়া উড়াইয়া দিয়াছে এবং সেই মায়াতীত শুদ্ধসত্ত্বকে প্রত্যক্ষ করিবার আশায় কৰ্ম্মযোগ, জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগাদির প্রতিষ্ঠা করিয়াছে।” বুঝিতেছি যে, নেশনের লক্ষ্য যাঙ্গ হইবে হউক, নেশন কখনও *উপলকে ছাড়াইয়া উঠিতে পারে নাই ; জড়পদার্থকে ছাড়াষ্টয়া উঠিবার চেষ্টাও করে নাই। এখনও "আমাদের সমাজ আছে”, এবং এই সমাজ “মীয়াতীত যুদ্ধসত্তাকে প্রত্যক্ষ করিবার আশায় কৰ্ম্মযোগ, জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগাদির প্রতিষ্ঠা করিয়াছে।”. রাজনীতিপ্রস্থত পেটি টিজম • इश्लश
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।