দ্বিতীয় সংখ্যা। ] নেশনের অক্স, আর তত্ত্ববিদ্যাপ্রস্থত ধৰ্ম্মই হইতেছে বর্ণাশ্রমসমাজের অস্ত্র। পেটুিয়টজমের সৃষ্টিকর্তা হইয়াও—পেট য়ুটিজমের গুরু হইয়াও গ্রীস এবং গ্রীকৃজাতি কোনকালে ধ্বংসপ্রাপ্ত হইয়াছে, কতকাল হইল বিলুপ্ত হইয় গিয়াছে, হিন্দু এবং-হিন্দুসমাজ আজিও বর্তমান রহিয়াছে। বর্ণাশ্রমসমাজ যে শুধু বর্তমান আছে, তাহাই নহে ;• কৰ্ম্মযোগ, জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ আছে বলিয়া বর্ণাশ্রমী, ধৰ্ম্মের সাহায্যে “মায়াতীত শুদ্ধসত্তাকে প্রত্যক্ষ করিবার আশ” আজি ও করিতে পারে। তবু, ধৰ্ম্মকে ছাড়িয়া, পেটিয়টিজম বা স্বদেশীকে ধরিয়া, বর্ণাশ্রমসমাজ নষ্ট করিয়া রাজনৈতিক নেশন গড়িতে প্রবন্ধলেখক পরামর্শ দিতেছেন, ইহ। কেমন করিয়া মনে করিব ? 尊 সত্যসত্যই বঙ্গদর্শনের প্রবন্ধটি বুঝিতে পারিতেছি না। ইহাতে অতি তীব্ৰ, মৰ্ম্মভেদ কিন্তু অতি প্রচ্ছন্ন ব্যঙ্গ ঙ্গাছে বলিয়াই মনে হইতেছে । দ্বিতীয় প্রবন্ধের প্রতীক্ষায় ব্যগ্র হইয়া রহিব । এবার যেন সন্দেহের দোলায় আর দুলিতে না হয় । দুইএকটি অবাস্তুর কথা আছে, এই"যোগে ওধাইয়া রাখি । “গ্ৰীক ও হিন্দু উভয়েই একই বিশাল আর্য্যবংশের বিভিন্ন শাখা।” “বৰ্ত্তমান হিন্দুজাতি যে আর্য্য-অনার্য্য বহুজাতির মিশ্রণে উৎপন্ন হইয়াৰ্ছে, ইহা এখন একরূপ সকলেই স্বীকার করেন।” “হিন্দু আৰ্য্য ভারতবর্ষে আপনার উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছে,”— এ সব মেচ্ছমত, বর্ণাশ্রমী কোনও পণ্ডিকুর এমন মত আছে বলিয়া আমার জানা নাই। ফিরিঙ্গীমতের পরীক্ষাও আমি কখনও করি fraster ! ټول নাই। জানিতে ইচ্ছা করি যে, বুদর্শনের• প্রবন্ধলেখক ঐ মেচ্ছসিদ্ধান্তগুলিকে বিন, পরীক্ষায় সুসিদ্ধান্ত বলিয়া ধরিয়া লইয়াছেন – না কি, ষে যে প্রমাণের উপর ঐ সকল সিদ্ধাস্ত প্রতিষ্ঠিত, প্রবন্ধলেখক সেই সকল প্রমাণের পরীক্ষা নিজে করিয়াছেন এবুং তাহাঁর পরে ঐ সিদ্ধান্তে নিজে ও উপনীত হইয়াছেন ? “গ্রীকৃ ও হিন্দু উভয়েই একই বিশাল আর্য্যবংশের বিভিন্ন শাখা” হইলেও এমন হষ্টতে পারে নাকি যে, ভারতভূমির বর্ণাশ্রমী অনাদিকাল হইতেই ভারতভুমেই আছেন, অন্তস্থান হইতে আসিয়া উপনিবেশস্থাপন করেন নাই ; এবং এই বর্ণাশ্রমীদের ভিতর কতকগুলি লোক ধৰ্ম্মভ্রষ্ট হওয়াতে ভারতবর্ষ হইতে বহিষ্কৃত হইয়াছিল এবং গ্রীস প্রভৃতি নানাদেশে গিয়া বাস করিয়াছিল ? o প্রবন্ধলেখক লিখিয়াছেন যে,“মূলে সম্ভবত গুণকৰ্ম্মবিভাগের উপরেই এই বর্ণবিভাগ ও’ বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, ক্রমে তাছা কুলগত হইয়া পড়িয়াছে।” এ কথার অর্থ কি ? প্রবন্ধলেখক “সম্ভবত”শব্দের প্রয়োগ কুরিয়া একটা সামান্ত কল্পনা করিয়াছেন মাত্র, নিশ্চয় করিয়া কিছু বলেন নাই; তথাপি এমন সম্ভাবনার কল্পনা তিনি কেন করেন, তাহা বুঝিতে পারিতেছি না। আগে গুশের বিকাশ,—কৰ্ম্মের পরিচয়, তাহার পর বর্ণের নিরূপণ এবং বর্ণশ্রমধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠা, এমন ত হইতেই পারেন। একটা উদাহরণ দেখুন ৮—ব্রাহ্মণের আশ্রমধৰ্ম্মের মধ্যে ব্রহ্মচৰ্য্যই প্রথম আশ্রম। আটবৎসর বয়সে ব্রহ্মচর্য্যের আরম্ভ হইতে পারে ; তৎপুৰ্ব্ব হইতেই ব্রহ্মচারীর আশ্ৰমুগ্ধ নিদিষ্ট আছে, আবার তাহারও পূর্কে, এমনকি,ব্ৰহ্ম
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।