विउँौग्न ज१था । ] י ן b{-2}\a هوا কর্তৃক আসামের নানাস্থানে চা’র আবাদ আরম্ভ হইল। আজ যে চা রিলাতে চারি পেনিতে ১পেীও বিক্রয় হইতেছে, প্রথমে তাঁহারই भूता ०•श्रो७ हिन। इशक्षाडब त्रिज्ञ মানবজাতি এমন অনেক সামগ্রী ব্যবহার করিয়া আসিতেছে, যাহার সম্যক্ কারণ নির্দেশ করিতে আজ এই বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের দিলেও আমরা অক্ষম। এই সমস্ত দ্রব্যাদির মধ্যে উদ্ভিজ্জপ্তানীয় একটি। যে সকল স্থানের জল অস্বাস্থ্যকর, তথায় শীতল জলের পরিবর্তে জল গরম কুরিয়া ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের পক্ষে হিতকর, এই অভিজ্ঞতার ফলে অনেকস্থানেই এইরূপ পানীয়ের প্রচলন দেখা যায়। ইউরোপে মধ্যযুগে যখন লোকের মন কুসংস্কারে পূর্ণ ছিল, তখন ধোনস্থানে কোনরূপ মহামারী উপস্থিত হইলেই লোকে সন্দেহ করিত যে, কুপসমূহে কেহ বিষ প্রক্ষেপ করিয়াছে। সেই সংস্কারের বশবৰ্ত্তা হইয়া ইহুদীদের প্রতি কতই-না অত্যাচার হইয়াছে। কুপের জল সত্যসত্যই বিষাক্ত হইত, কিন্তু তখন কেহই জানিত না যে, সে বিষ উপর হইতে প্রক্ষিপ্ত হয় নাই,-কুপের মধ্যেই রোগ âîęta ( microbcs) atāi জন্মিয়াছে, অথবা কূপের নিম্নস্তর হইতে অপরিষ্কৃত জল আসিয়া পড়িয়াছে। কিন্তু এ কথা আমরা আজ কঁয়বৎসরমাত্র শিখিয়াছি। আজ আমরা শিখিয়াছি, জল গরম করিলে রোগের জীবাণুগুলি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, সেইজন্ত গরমঞ্জল স্বাস্থ্যকর। এই সত্য মানবজাতি বহুপূৰ্ব্বেই জানিত, কিন্তু তখন ইহার কারুণনির্দেশ করিতে পারিত না। তিব্বত, তরাই, কাশ্মীর, নেপাল প্রভৃতি প্রদেশে বহুদিন হইতেই চা’র প্রচলন আছে। অনেক বৌদ্ধ: মঠে অতিথির প্রথম অভ্যর্থনায় একপেয়ালা গরম চা প্রদত্ত হয়। রুশিয়াপ্রদেশে অনেক রেলওয়ে-ষ্টেশনে পিপা করিয়া তৈয়ারি চা রাখা হয়—তাহাকে সামোভার (Sąmover ) কহে—যাত্রীরা যথেচ্ছ পান করে। কিন্তু তাহ নামে-মাত্র চা, অতি সামান্ত চা দ্বারা প্রস্তুত হয়। জলের দোষনিবারণকল্পেই যে উদ্ভিজ্জপানীয় ব্যবহৃত হয়, তাহা নহে—কারণ গরমজল ব্যবহার করিলেই তু সে উদ্দেশু সাধিত হইতে পারে। কিন্তু গরমজল আস্বাদহীন ; ইহাকে স্বস্বাছ করিবার জন্ত নানাপ্রকার দ্রব্য সিদ্ধ করার ব্যবস্থা হইয়াছে। সেই সকলের মধ্যে চ সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিয়াছে। ইহার প্রধান কারণ চা উত্তেজক। এস্কুলে খাদ্যদ্রৱ্য ও উত্তেজকপদার্থের প্রভেদ ভাৱ । করিয়া বুঝা উচিত। যেমন ষ্টীম্এঞ্জিনের পক্ষেকয়লা, দেহ্যন্ত্রের পক্ষে খাদ্য সেইরূপ। খাদ্যের দ্বারা দেহের বলাধান ও পরিপোষণ হয়, উত্তেজকপদার্থদ্বারা শরীরের পুষ্টিসাধন আদেী" হয় না। তবে উত্তেজকপদার্থের গুণ এই যে, যে বল শরীরে সঞ্চিত আছে, মনুষ্য কার্যকালে তাহ সমগ্র প্রকাশ করিতে সমর্থ হয়। হঠাৎ কোন বিষয়ে বল বা সাহস আবশুক ছইলে, উত্তেজকপদার্থ তাহাতে..সহায়তা করে—যতটুকু বল আছে, অথচ সাধারণত প্রকাশ পায় না, উত্তেজকপদার্থ সেইটুকু প্রকাশ করিবার শক্তি দেয় মাত্র, নুতন বল দেয় না। কিন্তু যেমন জমার অতিরিক্ত খরচ করিলে শীঘ্রই দেউলিয়া হইতে হয়, সেইরূপ উত্তেজকপদার্থের অপরিমিত • ব্যবহারে শরীরের ঘোর অমঙ্গল ঘটে এবং অচিরেই
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।