পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্তিত্ব প্রাণিত হইল। নিরুক্তরচনার বহুপুৰ্ব্বে গদ্য ( অমিতাক্ষর) এবং পদ্য (মিতাক্ষর) গ্রন্থ লিখিত না হইলে এই দৃষ্টান্ত কদাচ প্রদত্ত হইতে পারিত না । গ্রন্থ-উৎপত্তির সমালোচনায় কোন ইউরোপীয় পণ্ডিতের লেখায় নিরুক্ত এবং বৃহদেবতার এই উল্লেখ উদ্ধৃত দেখি নাই । লিপি-আবিষ্কারের কত পরে যে কোনপ্রকার ফলকে বা কিয়ংকালস্থায়ী পত্রে ঐ লিপি রক্ষিত হইতে পারিয়া, উহার অক্ষর ( অক্ষয় বা স্থায়ী ) নাম হইয়াছিল, তাঙ্গ ভাবিয়া দেখা উচিত। অক্ষরনাম প্রাপ্ত হইয়াও যে অনেক পরে স্থায়ী পত্রে লিপি সুরক্ষিত হইয়া গ্রন্থের স্বষ্টি হইয়াছিল, তাঙ্গ বুঝাষ্টয়া বলিতে হইবে না। তবুও নাকি খৃঃ পূঃ ৮০০ বৎসরে আমাদের পিতৃপুরুষের বিদেশ হইতে লিপির আমদানি করিয়াছিলেন। এ সকল কেবল গায়ের জোরেব কথা । গ্নে সময়ে অধ্যায়ে অধ্যায়ে ব্রাহ্মণ রচিত.-- মগুলে' মণ্ডলে বেদ বিভক্ত হইতেছিল, তখন যে গ্ৰন্থরচনা অজ্ঞাত ছিল, এ কথা সহস্ৰ চেষ্টা করিয়া ও বুঝিয়া উঠিতে পারি না । বেদ মুখস্থ করিত, এখনো করে ; কেবল সেই প্রমাণের উপর যে কেমন করিয়া লিপি এবং জ্ঞানালোক না পাইলে কদাচ বুঝিতে পার যায় না । • বৰ্ব্বরেরাও ঠারোঠারে কথা কহিতে জানে এবং নানাপ্রকৃণর মনের ভাব কেবলমাত্র ইঙ্গিতে প্রকাশ করিয়া থাকে। বৈদিকসভ্যতায় যখন চিত্রৰিষ্ঠার স্বম্পষ্ট নিদর্শন আছে,বহুবিধ সামাজিক সঙ্গ্যতার অক্ষয় প্রমাণ রহিয়াছে,তখন বঙ্গদর্শন । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ যে ভাবসম্পদে ধনী এবং চিত্রবিদ্যার নিপুণ আর্যেরা লিপি আবিষ্কর করিতে পারেন নাই, এ কথা বুদ্ধির অগম্য। নিজের নিতান্ত বৰ্ব্বর অবস্থায় পরের কাছে লিপি প্রথা এবং বর্ণমালা শিখিয়াছিলেন বলিয়া ইংরেজের মনে করেন যে, লিপি-আবিষ্কার অতি দুরূহ ব্যাপার। বৈদিকসভ্যতাসম্পন্ন আর্য্যদিগের নিকটে ও উহ! ছুরূহ ব্যাপার ছিল কি ? ষ্টান, নীচ এবং পদদলিত জাতির ইতিহাস এইরূপেই রচিত হয় । বর্ণমালা বা ০ অক্ষর গুলির যখন প্রথম আবিষ্কার হয়, তখন কোন ভাবট কি প্রকারে চিত্রে প্রকাশিত হইয় কোন অক্ষরের কি প্রকারের রূপ হইয়াছিল, তাহা আমরা ভাবিয়া উঠিতে পারি না। একটি ছোট শিশু যে কেমন করিয়া একটি কাঠিকে ঘোড়া বলিয়া কল্পনা করিয়া লয়, তাহ আবার শিশু রাশিচক্রের যে সকল মূৰ্ত্তির কল্পনা আছে, সেই মূৰ্ত্তিগুলির সঠিত নক্ষত্রমালার কোন মিল দেখিতে পা ওয়া যায় নু। যে কল্পনায় সেই মূৰ্ত্তি কল্পিত হঠয়ছিল, আমির আর তাঙ্গ লাভ করিন্থে পরিব না । গতবর্ষের চৈত্রম মেঃ পঙ্গদর্শনে অক্ষরের উৎপত্ত্বির যে ছবি প্রদত্ত হইয়াছে, তাহা না দিলেই ভাল হইত। যে নাগরী এবং বঙ্গীয় অক্ষরের সঠিত শরীরের ভিন্ন ভিন্ন অংশের চিত্রের মিল দেখান হুইয়াছে, ঐ অক্ষরগুলির পূর্ববৰ্ত্তী আরও প্রায় ৪৫ রকমের অক্ষর প্রচলিত ছিল। ঐ অক্ষরগুলি ত নবমশতাব্দীর পূর্ববর্তী নহে। খৃষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর “ক’ নবম শতাব্দীর নাগরী “್ಲಿश्रफ्रब्रम्न छनक बच्ने, क्रुि ८५ िब्र क्षम ন হইলে বুঝিতে পরিব না ।