পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১২০

۹وه ক্ষণিক বেদনায়, ক্ষণিক ভাবনায়, ক্ষণিক লোচকের বিচার করিয়া দেখিবার বিষয় । , কর্থীয় বিশ্বমানবের মৰিশাল মনোলোকের কালিদাসের উপমা ভাল বা ভাষা সরস বা আকাশ আচ্ছন্ন করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছে— কুমারসম্ভবের তৃতীয়সর্গের বর্ণনা স্বন্দর বা একএকজন কবির কল্পনা একএকটি আকর্ষণ- অভিজ্ঞানশকুন্তলের চতুর্থসর্গে করুণরস কেন্দ্রের মত হইয় তাহদেরই মধ্যে একএক প্রচুর আছে, এ আলোচনা যথেষ্ট নহে। দলকে কল্পনাস্থত্রে এক করিয়া মানুষের মনের কিন্তু কালিদাসের সমস্ত কীব্যে মানবহৃদয়ের কাছে মুস্পষ্ট করিয়া তোলে। তাঁহাতেই একটা বিশেষ রূপ বাধা পড়িয়াছে। র্তাহার আমাদের আনন্দ হয়। আনন্দ কেন হয় ? কল্পনা একটা বিশেষ কেন্দ্রস্বরূপ হইল্প - হয় তাহার কারণ এই, আপনাকে আপনি আকর্ষণ-বিকর্ষণ-গ্ৰহণ-বর্জনের নিয়মে মানুষের দেখিবার একটা চেষ্টা সমস্ত মানবমনের মধ্যে মনোলোকে কোন অব্যক্তকে একটা বিশেষ কেবলি কাজ করিতেছে—এইজন্ত যেখানেই সৌন্দর্য্যে ব্যক্ত করিয়া তুলিল, সমালোচকের সেকোনো-একটা ঐক্যের মধ্যে নিজের কোনো- তাহাই বিচাৰ্য্য। কালিদাস জগতে জন্মগ্রহণ একটা বিকাশকে দেখিতে পায়, সেখানেই করিয়া, দেখিয়াছেন, ভাবিয়াছেন, সহিয়াছেন, তাহার এই নিয়তচেষ্টা সার্থক হইয় তাহাকে কল্পনা ও রচনা করিয়াছেন–র্তাহার এই আনন্দ দিতে থাকে । কেবল সাহিত্য কেন, ভাবনা-বেদনা-কল্পনাময় জীবন মানবের দৰ্শন-ইতিহাসও এইরূপ। দর্শনশাস্ত্রের অনস্ত রূপের একটি বিশেষ রূপকেই বাণীর দ্বারা সমস্ত প্রশ্ন ও সমস্ত চিন্তা অব্যক্তভাবে সমস্ত আমাদের কাছে ব্যক্ত করিয়ছে ; সেইটি মানুষের মনে ছড়াহয় আছে—দাশনিকের • কি ? যদি আমরা প্রত্যেকেই অসাধারণ প্রতিভা তাহদের মধ্যে কোনো-একটা দলকে কবি হইতাম, তবে আমরা প্রত্যেকেই আপনার কোনো-একটা ঐক্য দিবামাত্র তাহার একটা হৃদয়কে এমন কৰুিৱা মূৰ্ত্তিমান করিতাম, রূপ, একটা মীমাংস মামাদের কাছে ব্যক্ত যাহাতে একটি অপূৰ্ব্বত্ব দেখা দিত এবং হইয় উঠে—আমরা নিজেদের মনের চিন্তার এইরূপে অন্তহীন বিচিত্রই অন্তহীন এককে একটা বিশেষমূৰ্ত্তি দেখিতে পাই । ইতিহাস প্রকাশ করিতে থাকিত। কিন্তু আমাদের সে লোকের মুখে মুখে জনশ্রুতি-আকারে ছড়াইয়া ক্ষমতা নাই। আমরা ভাঙাচোরা করিয়া কথা থাকে—ঐতিহাসিকের প্রতিভা তাহাদিগকে বলি—আমরা নিজেকে ঠিকমত জানিই নাএকটি স্বত্রের চারিদিকে বাধিয়া তুলিবামাত্র যেটাকে আমরা সত্য বলিয়া প্রচার করি, সেটা এতকালের অব্যক্ত ইতিহাসের ব্যক্তমূৰ্ত্তি হয় ত আমাদের প্রকৃতিগত সত্য নহে, তাৰ আমাদের কাছে ধরা দেয়। হয় ত দশের মতের অভ্যস্ত আবৃত্তিমাত্ৰ-- **ণ কবির কল্পনায় মানুষের হৃদয়ের এইজন্ত আমি আমার সমস্ত জীবনটা দিয়া কি কোন বিশেষ রূপ ঘনীভূত হইয় আপন অনন্ত দেখিলাম, কি বুৰিলাম, কি পাইলা, বৈচিত্র্যের একটা অপরূপ প্রকাশ সৌন্মধ্যের তাহ সমগ্র করিম, মুস্পষ্ট করিয়া দেখাইতেই BB BBDD BBBS BBB BBBBBS BBBS BBB BB BB BBBB BB