· ķén hanıÍ & সাহিত্যাঃি। فذ؛ ছিলেন, সেও কেবল প্রজারঞ্জনের অক্ষরোধে । নিজের সমুদয় সহজপ্রবৃত্তিকে শাস্ত্রমতে কঠিন শাসন করিয়া সমাজরক্ষার আদর্শ দেখাইয়াছিলেন। আমাদের স্থিতিপ্রধান সভ্যতার পক্ষেপদে যে ত্যাগ, ক্ষম ও আত্মনিগ্রহের প্রয়োজন হয়, রামের চরিত্রে তাহাই ফুটিয়া উঠিয়া রামায়ণ হিন্দুসমাজের মহাকাব্য হইয়া উঠিয়াছে । , আদিকবি যখন রামায়ণ লিথিয়াছিলেন, তখন যদি-চ রামের চরিতে অতিপ্রাকৃত মিশিয়াছিল, তৰু তিনি মানুষেরই আদশরূপে চিত্রিত হইয়াছিলেন । 翁 কিন্তু অতিপ্রাক্কতকে একজায়গায় স্থান । দিলে তাহাকে আর ঠেকাইয়া রাখা যায় ন, সে ক্রমেই বাড়িয়া চলে। এমনি করিয়া ‘রাম ক্রমে দেবতার পদবী অধিকার করিলেন। তখন রামায়ণের মূল-ক্ষরটার মধ্যে আর একটা পরিবর্তন প্রবেশ করিল। কৃত্তিবাসের • রামায়ণে তাহার পরিচয় পাওয়া যাইবে । রামকে দেবতা বলিলেই তিনি যে সকল কঠিন কাজ করিয়াছিলেন, তাহার দুঃসাধ্যতা চলিয়া যায়। স্বতরাং রামের চরিত্রকে মহীয়া করিবার জন্য সেইগুলির বর্ণনাই মার যথেষ্ট হয় না। তখন যে ভাবের দিক দিয়া দেখিলে দেবচরিত্র মানুষের কাছে প্রিয় হয়, কাব্যে সেই ভাবটাই প্রবল হইয় উঠে। লেই ভাবটি ভক্তবৎসলতা। কৃত্তিবাসের মাম ভক্তবৎসল স্নাম । তিনি অধম-পাপী **णदकरें ऊंकांब्र क८ब्रन । ठिनि सङ्कচগুলিকে মিত্র বলিয়া আলিঙ্গন করেন। বলেম পন্ত বানরদিগকে তিনি প্রেমের দ্বার १ड क्रबन । छद्ध इछ्षांप्नब्र बौदनएक ভক্তিতে আর্দ্র করিয়া তাহার জন্ম সার্থক করিয়াছেন। বিভীষণ তাহার ভক্ত। রাবণও শক্ৰভাবে তাহার কাছ হইতে বিনাশ পাইয়া উদ্ধার হইয়া গেল। এ রামায়ণে ভক্তিরই লীগ | . 鬱 莺 ! ভারতবর্ষে এক সময়ে জনসাধারণের মধ্যে এই একটা ঢেউ উঠিয়াছিল। ঈশ্বরের অধিকার যে কেবল জ্ঞানীদিগেরই নহে, এবং_ তাহাকে পাইতে হইলে যে তন্ত্রমন্ত্র ও বিশেষ বিধির প্রয়োজন করে না, কেবল সরল ভক্তির দ্বারাই আপামর চণ্ডাল সকলেই ভগবানুকে লাভ করিতে পারে, এই কথাটা হঠাৎ যেন একটা নুতন আবিষ্কারের মত আসিয়া ভারতের জনসাধারণের দুঃসহ হীনতাভার মোচন করিয়া iদয়াছিল । সেই বৃহৎ আনন্দ দেশ ব্যাপ্ত করিয়৷ যখন ভার্সিয়া উঠিয়ছিল, তখন যে সাহিত্যের প্রাষ্ট্রভাব হইয়াছিল, তাহ জনসাধারণের এই নুতন গৌরবলাভের fi কালকেতু, ধনপতি, চাধসদাগর প্রভৃতি সাধারণলোকেই তাহার নায়ক ;—ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয় নহে, মানিজ্ঞানী সাধক নহে, সমাজে যাহার নাচে পড়িয়া আছে, দেবতা যে তাহাদেরও দেবতা, ইহাই সাহিত্য নানাভাবে প্রচার করিতেছিল। কৃত্তিবাসের রামায়ণেও এই ভাবটি ধরা দিয়াছে। ভগবান যে শাস্ত্রজ্ঞানহীন অনাচারী বানরদেরও বন্ধু, কাঠবিড়ালার অতি সামান্ত সেবাও যে তাহার কাছে অগ্রাহ হর না, পাপিষ্ঠ রাক্ষসকেও যে তিনি যথোচিত শাস্তির দ্বারা পরাভূত করিয়া উদ্ধার করেন, এই ভাবটিই কৃত্তিবাসে প্রবল হইয়া ভারতবর্ষে রামায়ণকথার দ্বারাকে গঙ্গার শাখা ভাগীরথীর না আর একটা বিশেষ পথে ইয়া গেছে।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।