তৃতীয় সংখ্যা । ] স্থানান্তরে পুতিলেও, তাহার উপরকার ডালপালা, কাটিয়া দেওয়া আবশুক । কারণ, নূতন মাটিতে বসাইবামাত্র শিকড়গুলা সেই মাটি হইতে পূর্ণমাত্রায় খাদ্য সংগ্ৰহ করিতে পারে না,-নূতন মাটির সহিত সম্বন্ধস্থাপন করিতে তাহার কিছুদিন সময় লাগে । কোন নুতন স্থানে গেলে গুছাইয়া বসিতে আমাদের যেমন দু’চারদিন কাটিয়া যায়, ইছাদেরও द्ि সেই প্রকার গুছাইয়া লইতে একটু সময় লাগে । সুতরাং এই গুছাইয়া লইবার সময়ে শিকড়গুলার নিকট হইতে থাস্তের আশা করা বৃথা, কাজেই সম্পূর্ণশিকড়-সমেত গাছ বাগানে বসাইলেও, তাহার ডালপালা ছাটিয়া দেওয়া আবর্তক। তাহ না করিলে সেগুলাকে যাচাইয়া রাখা অসম্ভব হইয়া পড়িবে, এবং প্রচুর খাস্কের অভাবে মূলগাছটাকেও মৃত্যুব পথে টানিয়া আন श्द् ।। এদেশের লেt:ক গাছ অতি সাবধানে ছাটিয়া থাকে। এ সম্বন্ধে খুঁটিনাটি অনেক নিয়ম আছেTশমামরা এখানে তাহার মধ্যে কয়েই টিমাত্রের আলোচনা করিব। প্রথমত কোন ডাল কাটিতে হইলে, গাছের কোন-একটা অস্কুরের ( চোখের ) নিকটে কাটিতে হয় । ১ম চিত্রের মত একটা ডাল কাটিতে হইলে “ক”এর নিকটে কাটা উচিত। দুইটা অঙ্কুরের মাঝামাঝি কাটিলে, কাটা-স্থানের ক্ষতটা শুকাইতে অনেকসময় লাগে। কিন্তু ১ম চিত্র। চোখের নিকটে (অর্থাৎ“ক”এর মত)কাটিলে বৃক্ষের আকারবিধান । • এর মত হইবে । $83. কাটার দাগটা দুইএক বৎসরের মধ্যে এমন মিলাইয়া যায় যে, তাহার আর কোন চিদুই থাকে না । দ্বিতীয় مہء صچ• fEtga “গ” “খ” ছবিগুলি হইতে, দুইটা অন্ধুরের মধ্যে, কাটিলে কি দোষ হয়, বুঝা যাইবে । একট ডাল “ক”এর মত কাটিলে, এক বৎসর পরে “গ” 하 普ー | ক ম কিন্তু “খ” এর মত কাটিলে “ঘ”এর মন্ত হইবে । এই ২য় চিত্র । দুইটার মধ্যে কোনটি ভাল, বুঝা শক্ত নয়। , বড় গাছের ডাল কাটিতে হইলে ৩য় চিত্রের "ছ"এর মত কাটা উচিত। “চ”এর মত কাটা কোনোক্রমে ভুল নয়। "ছ"এর মত কাটিলে কাটা-স্থান কিপ্রকার ভাল হইতে আরম্ভ করে, "জ" দেখিলেই বুঝা যাইবে। ছোট ডাল কাটিতে হইলে গাছকাটা কঁচি কিংবা ভাল ছুরি ব্যবহার করা ভাল, বড় ডাল কাটিতে করাৎ ব্যবহার করা উচিত। কোন খোজখাজ না রাখিয়া কাটাই ভাল, এবং কাটার উপর মোম বা শাদা-রঙ, মঙ্গাইবার রীতি আছে, নিতান্ত ছোট-রকমের কাটা হইলে অবশ্য এ সকল আবশ্বক হয় না । এই ত গেল কাটার কথা। এখন দেখা যাউক, কোন ডালগুলা কাটা উচিত। কার",
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।