পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*○ অধিকার করিবার যোগ্যপাত্র । তিনি যেরূপ যত্ন ও পরিশ্রমে কবির জীবনের ক্ষুদ্রাদপি ক্ষুদ্র ঘটনা পৰ্য্যস্ত সংগ্ৰহ করিয়াছেন, তাহাতে তাহাকে এই স্মৃতিসভাব সহকারী সভাপতির পদে বরণ করিয়া সম্মানিত করা আমাদিগের কর্তব্য । 副 মাইকেল মধুসূদন দত্ত-র্যাঙ্গার স্মরণার্থ আজ আমরা এই সমাধিক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়াছি --বাঙালীজাতির একটি অমূল্যবত্ন । যে সময়ে বাঙলাসাহিত্য কতকগুলি সংস্কৃত 3 ,So - سنگ --

ইংরেজী গ্রন্থের অতুবাদমধ্যে বদ্ধ ছিল, সেঃ সময়ে মহাত্মা মধুসূদন তাহার অসামান্য- “ প্রতিভাবলে, প্রাচ্য ও প্রতীচ্য সাহিত্যের সংমিশ্রণে যে নুতন কাব্যসাহিত্যের হুষ্টি করিয়াছিলেন, তাঙ্গর সুমধুর রসাস্বাদনে বাঙালী চিরদিন আনন্দ অনুভব করিবে । মাইকেল কেবল যে বাঙলাভাষার অধিবৃক্ষর, ছন্দের প্রবর্তন করিয়া যশস্বী হুইয়াছিলেন, তাহা নহে। তিনি অমিত্রীক্ষর ছন্দ লিথিপীর পূৰ্ব্বে বাঙলার নাট্যসাহিত্যে নবযুগের অবতারণা করেন । যে সময়ে এদেশে যে ६झेএকখানি নাটক প্রকাশিত হইয়াছিল, তাহার কোনখানি সংস্কৃতনাটকের প্রাণশূন্য অনুবাদ, কোনখানি বা নীরস সমাজচিত্র ব্যতীত আর কিছুই নহে। নাটকে যে সকল রসের সমাবেশ থাকার প্রয়োজন, তাহাতে তাহার কোন লক্ষণই দেখা যাইত না । মাইকেল বেলগেছিয়ার বাগানে অভিনয়ের জন্য শৰ্ম্মিষ্ঠানটিক লিখিয় ও তৎপরে পদ্মাবতী,কৃষ্ণকুমারী প্রভূতি নাটক প্রণয়ন করিয়া নাটকরচনার নূতন পদ্ধতি দেখাইয়া দিলেন। তাহার পর হইতেই বাঙলার নাট্যসাহিত্যের বিশেষ বঙ্গদর্শন । [ ৭ম বর্ষ, শ্রাবণ, ১৩১৪ ঐবৃদ্ধি হয়। নাটক রচনার সহিত নাট্যশালার উন্নতিতেও তাছার সবিশেষ যত্ন ছিল। কলিকাতায় যখন প্রকাশা রঙ্গশালা প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন তিনি তাহার অধ্যক্ষের অনুরোধে. একখানি নাটক লেখেন-—সে সময়ে তিনি রোগশয়াtয় শয়ান, কিন্তু, সে অবস্থাতেও কিরূপে রঙ্গালয়ের উন্নতি হইতে পারে, সে বিষয় তাহাদিগকে পরামর্শ দিতেন। মধুস্থােন কিরূপ স্বদেশপ্রেমিক ছিলেন, ত{চার গ্রন্থগুলি হইতে আমরা তাহার যথেষ্ট পরিচয় পাই । তিনি হিন্দুধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া খৃষ্টান হইয়াছিলেন, —সে সময়ে যাহারা খৃষ্টান হইতেন, তাংলিগের অনেকেই স্বদেশ ও স্বজাতিকে ঘুণর চক্ষে দেখিতেন । কিন্তু মধুসূদন স্বদেশকে কিরূপ ভালবাসিতেন, তাহা তাহার যুরোপযাত্রাকালীন কবিতাটি পাঠ করিলে বিশেষরূপে উপলব্ধি হয় । তিনি খৃষ্টান ছিলেন, কিন্তু ফ্রান্সে অবস্থিতিকালে সাfশ্বনমাসে দুর্গোৎসবের কথা স্মরণ করিয়া কিরূপ আক্ষেপ করিয়াছিলেন, তাহ। তাহার কবিতাপাঠকদিগের অবিদিত নাই। এইরূপ স্বদেশ ও স্বজাতি প্রেম যাহার হৃদয়ে পর্তমান, তিনি যে-ধৰ্ম্মাবলম্বী হউন না কেন, তিনিই আমাদিগের ভক্তিভাজন। হিন্দু হউন, মুসলমান হউন, ব্রাহ্ম হউন, খৃষ্টান হউল বা শিখ-পারসীক হউন, স্বদেশহিতৈষী স্বদেশপ্রেমিক ভারতবাসিমাত্রেই আমাদিগের শ্রদ্ধার পাত্র। এইরূপ অসাম্প্রদায়িকভাবে ভারতবাসিমান্ত্রকেই আদর . করিতে নী শিখিলে আমাদিগের জাতীয়জীবন সংগঠিত হইবে না। ধৰ্ম্মাস্তুর গ্রহণ করিয়াও যে স্বদেশ ও স্বজাতিকে ভালবাসা যায়, যাইবেগ