পঞ্চম সংখ্যা। ] . বিশ্বের পরিণাম। - اهده নিৰ্ম্মাণে সক্ষম হইবেন কি না, সে বিষয়ে ঘোর সন্দেহ আছে। কাজেই ম্যাক্সওয়েলসাহেবের প্রতিবাদসত্ত্বেও বিশ্বের ভয়াবহ পরিণামের জাশঙ্কা অক্ষুণ্ণই রহিয়া গিয়াছিল। ইউৰেনিয়ম্ ও রেডিয়ম্ প্রভৃতি কয়েকটি ধাতুর বিয়োগ ও তেজোনির্গমন ( Radioactivity) আবিষ্কার হওয়ার পর, পদার্থ তত্ত্বের উপর যে এক নূতন আলোক আসিয়া পড়িয়াছে, তাহার কথা পাঠক অবগুই শুনিয়াছেন। এই সকল আবিষ্কার হইতে জানা গেছে, পদার্থমাত্রেই বিয়োগধর্ম ও তেজোনির্গমনক্ষম। অর্থাৎ হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, লৌহ, তাম, সীসক প্রভৃতিকে যে আমরা মূল জড়পদার্থ বলিয়া আসিতেছিলাম, তাহারা মূলপদার্থ নয়। সকলেই ইলেক্টন Electron)নামক এক অতিসূক্ষ্ম পদার্থ ত্যাগ করিয়া বিয়োগ প্রাপ্ত হইতেছে, এবং যে শক্তিতে ইলেক্ট্রনগুলি জোট, বাধিয়া নানা পদার্থের উৎপত্তি করিয়াছিল, তাহাও বিয়োগকালে তাপাকারে প্রকাশ হইয় পড়িতেছে। এই ব্যাপারে বৈজ্ঞানিকদিগের মনে আর এক নূতন আশঙ্কার সঞ্চার হইয়াছে। সকলে ভাবিতেছেন, বুঝি দূর ভবিষ্যতে সমগ্র বিশ্বট জড়ের মূল উপাদান সেই ইলেক্টনে পরিণত হইয়৷ १ींभू ! এই আশঙ্কার সঞ্চায় হইলে বৈজ্ঞানিকগণের মনে হইয়াছিল, গুরুভারবিশিষ্ট পদার্থ যেমন শক্তিত্যাগ করিয়া ইলেই নে বিযুক্ত হইয়া পড়িতেছে, সেইপ্রকায় ঐ ৰিচ্ছিন্ন ইলেইনভণি সেই পরিত্যক্ত শক্তি আছয়ণ করির **न *ीबॉर्ष ठे९न्ब्र कब्रिहङ *ारब्र न कि ? ****ॉन जांमड एऐबाहिण, 4क्र गच्यछि বিয়ােগজাত ইলেই হইতে পার্থের পুনর্গঠনের সম্ভাবনী দেখা গিয়াছে। • পাঠক অবশুই জানেন, রশ্মিনিৰ্ব্বাচন*(Spectroscope )-tetru sfă Rবৰ্ত্তী নক্ষত্ৰজগতেরও খবর আমরা ঘরে বসিয়া জানিতে পুরি। জ্যোতিষ্কগুলির প্রাকৃতিক অবস্থা কিপ্রকার এবং তাঁহাতে কোন কোন পদার্থ প্ৰজলিত হইতেছে, ঐ যন্ত্রদ্বারা তাহা স্পষ্ট ধরা পড়ে। অনেক নীহারিকাময় C&Jffs* ( Nebulac of meteorites ) পর্যবেক্ষণ করিয়া দেখা গিয়াছে, সেগুলির • জটিল উপাদান তাপসাহায্যে বিযুক্ত হইয়। পড়িলে, যন্ত্রে কতকগুলি সরল পদার্থের লক্ষণ প্রকাশ হইয়া পড়ে এবং কালক্রমে তাঁহাই শীতল হইয়া পড়িলে নানা জটিলপদার্থের চিন্থ দেখা যায় । সুতরাং এখানে কতকগুলি মৌলিক-জড়পদার্থ একবার বিযুক্ত হইয়া সেই 'বিয়োগজাত পদার্থ হইতে যে আবার নান মৌলিকপদার্থের উৎপত্তি করে, এ কথা স্বীকার করিতেই হয়। এই ব্যাপার ছাড়া সুবিখ্যাত *Assafot It!o-( Sir William Ramsay -সাহেব কয়েকটি পরীক্ষায় মৌলিকপদার্থকে স্পষ্ট পদার্থাগুরে পরিবর্তিত হইতে দেখিয়াছেন । এখন প্রশ্ন হইতে পারে, তবে কি সত্যই বিশ্বের উপাদানের বিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে তাহাদেবু পুনর্গঠন চলিতেছে। সত্য হইলে বলিতে হয়,—বিশ্বস্তু পদার্থ সমোঞ্চ হইয়া আর কৃষ্টিনাশ করিতে পারিবে না। কিন্তু প্রশ্নটির স্পষ্ট উত্তর কোন বৈজ্ঞানিকই অস্থাপি দিতে পারেন নাই । জ্যোতিষ্কপর্যবেক্ষণ ও অধ্যাপক র্যাজের পরীক্ষায় পদার্থের পুনর্গঠনের আভাগ
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/২২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।