পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হারামণির অন্বেষণ । উপক্রমূপিকা । প্রাণ-চার তৈা আর-কিছু না—কেবল সে খাইয়া-পরিয় কথঞ্চিৎপ্রকারে বৰ্ত্তিয়া থাকিতে পারিলেই বঁাচে । মনের আকিঞ্চন আরবেশী—মন চায় আনন্দে বৰ্ত্তিয়া থাকিতে। জ্ঞান হাত বাড়ায় আরো উচ্চে— आन চায় অক্ষয়ধনে ধনী হইয়া নিত্যকালু আনন্দে বৰ্ত্তিয়া থাকিতে, অর্থাৎ আনন্দে বষ্টিয়া থাকা’র ব্যাপারটাকে আপনার কর্তৃত্বের মুঠার মধ্যে আনিতে। জ্ঞাম যাহা চায়, তাহা সে পাইবে কেমন করিয়া । জ্ঞান যে আত্মবিস্তৃত। এক একবার বিহীতের দ্যাস যখলু তাহার স্মৃতি গা ঝাড়া দিয়া উঠিতেছে, তখন সে মাথা তুলিতেছে—তাহার পরক্ষণেই ਕੱਲশির! আত্মাকে হারাইয়া জ্ঞান দুৰ্ব্বিপাকে পড়িয়াছে বড়ই বিষম ! মণিহারী ফণীর দ্যায় অধীর হইয়া উঠিতেছে যখন-ভখ হারামণি জিরা - বেড়াইতেছে যেখানে দেখানে । চেষ্টা ছাড়িতেছে না .কিছুতেই। এক, বারকার রোগী যেমন আরবারকার রোঝা হয়, আন তেমনি—একবার প্রাণ হইয়া কাদিয়া *डर, मकवान भन रहेब अत्र ड्रनिप्ङइ, একবার বুদ্ধি হইয়া উত্তরপ্রদান করিতেছে। বুদ্ধির কথা—একবার মন বুঝিতেছে, প্রাণ কিতেছে না ; একবার প্রাণ বুঝিতেছে মন কিতেছে না ; একএকবার আবার এমনও হইতেছে যে, বুদ্ধি নিজের কথা নিজে বুঝিতেছে কি না, সন্দেহ। নানা শ্রেণীর নানা কথার ঘ্যানঘ্যাননিতে তিতিবিরক্ত হইয়া আমি জ্ঞানকে বলিলাম—“তোমার আপনার সঙ্গে আপনার এরূপ বোঝাপড়া চলিতে থাকিধে কতদিন ?” ভ্রললাট কুঞ্চিত করিয়া জ্ঞান তাহার উত্তর দিলেন এই যে, “হারামণি পাওয়া না যাইবে যতদিন ।” প্রশ্নোত্তর। মূল জিজ্ঞান্ত দুইটি—(১) কি আছে এবং (২) কি চাই। ইহার সোজা উত্তর এই যে, আছে गउँ-ठाइ মঙ্গল । প্রশ্ন। এ যে একটি কথা তুমি বলিতেছ *ঙ্গাছে সত্য-তোমার এই গোড়া’র কথাটির ভাবাৰ্থ আঁমি এইরূপ বুঝিতেছি • যে, যাহা আছে, তাহাই স্কত্য। তবেই হইতেছে যে, সবই সতা—সত্য ছাড়ন্ত্ৰতার পদার্থ নাই। - কিন্তু মঙ্গল চাহিতে গেলে মঙ্গল বলিয়া একটা পৃথক বস্তু থাকা চাই, মার, তা ছাড়া—চাহিবার একজন কর্তৃ, থাকা চাই। সত্য ছাড়া দ্বিতীয় পদার্থ যখন নাই—তখন যাহা আছে তাহাতেই সন্তই না থাকিয়া •তুদ্ব্যতীত চাহিবার বস্তুই বা পাইতেছ “শোখা হইতে—চুহিবার কাই বা পাইতেছ কোথা হইতে ? .