दत्रन*न । [ ৭ম বধ, কীর্তিক, ১৩১৪ ভাষিল সাগ্রহ-নয়নকমলে ঝরিল শিশিরবিন্দুসারি ;–মুগ্ধ দোহে কথাবিষ্ট—আমরাও স্থির চেয়ে আছি-সহসা শুনিছ কণ্ঠ—“পাঠালেন মোরে স্বলোচনা-দিদি বিশেষবারতা-বিজ্ঞাপন-তরে তব ঠাই।” চমকিল চন্দ্রা–মোরাও হেরিস্থ ফিরি 'স্বলোচনা-ভগ্নী বেলা দাড়ায়েছে ওষ্ঠাধর দারি . নিজরার্তা বিজ্ঞাপিতে। -ত্রয়োদশী সে স্বতন্ত্রী খাম আলুলিত-কৃষ্ণকেশী দীপ্তনেত্ৰা মন-অভিরাম প্রফুল্লকমলকাস্তি পাটলবসনপরিধান মূৰ্ত্তিমতী মধুরমা-নিপুণ তুলিবামুখে টানা চিত্রপটে চিত্রথানি যথা—বিম্বিত নয়নে তা’র চিন্তারাশি--স্বচ্ছজলে জ্যোতিগ্রহীমণ্ডিত উদার যেমনি অনন্ত উৰ্দ্ধ । দ্বারপ্রাস্তে দাড়া’ল এমনি সুহাসিনী। বিঘ্নিত চীৎকারে চন্দ্রা কহিল তখনি— “বেলা ! তুই ! শুনেছিস কথা ? করেছিস সৰ্ব্বনাশ ?” *আর্য্যে! আর্য্যে! ক্ষম মোরে—না ছিল তা’ চিত্তে অভিলাষ— অতর্কিতে শুনেছি সকলি । কিন্তু নহিক পামরা— ভেৰো না মৃত্যুর গ্রাসে সঁপিব হৃদয়ে বস্ত্র ধরি' এ অতিথি মহাজনে ৷” “তোরে নাহি অবিশ্বাস-বিন্ধু— শৈশবসঙ্গিনী তোর দিদিরে ভালই জানি কিন্তু,— জানি তা’র ঈর্ষাভরা মন—তাই করি সাবধান – করিস নে গুপ্ত ব্যক্ত। এ তপস্তাগৃহে বহ্রিদান করিস নে যেন । মোদের সমুচ্চ শির হবে নত— খর-খড়গ-জিহবা মেলি মৃত্যু আসি রাক্ষসের মত মুহুর্তে গ্রাসিবে তিনজনে —আর এ মনোমন্দির— প্রত্যেক ইষ্টকস্তরে আছে যাহে হৃদয়রুধির আমা সবাকার-নিমেষে টুটিবে ঘোর ঘৃণাময় কীৰ্ত্তিহীন অনাদরমাৰো ।” “মাতঃ, করিয়ো না ভয়— এ গুপ্ত করিলে ব্যক্ত ভানুমতী যদি হ’তে পাই, তবুও তা না করিব কৰু।”—“বল বাছ, বল তাই—
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।