wob, কিছুই নহে ; সে সোসাদৃশু একপ্রকার অপ্রতিমের প্রতিমা বা জ্যোতিমণ্ডলের গাত্রছায়া। প্রকৃত কথা এই যে, সত্য যে কিরূপ শুদ্ধ-বুদ্ধ-মুক্ত-পবিত্ৰ-মধুময়-ভাবে আপনার প্রতি আপনি চান, আর সেই অনিরুদ্ধ জ্ঞানের চাওয়ার মধ্য দিয়া অতলম্পর্শ গভীর প্রাণের চাওয়া যে কিরূপ অপরিসীম ধীরগভীর এবং অটল শক্তিপ্রভাবে—মহাসংযম এবং মহা-উদ্যম দুয়ের অনিৰ্ব্বচনীয় যোগ বাদে নিখিল ব্যোম উদ্দীপিত করিয়া, ভূভূর্বস্বঃ হইয়া দশদিকে ফাটিয়া পড়িতেছে, তাহ (আমরা ডো কীটাণুকীট) মহোচ্চ দিব্যধামবাসী মুনিঋষি এবং দেবতাদিগেরও ধ্যানের অতীত । প্রশ্ন। তা তো বুঝিলাম। কিন্তু তাহাতে আমার জিজ্ঞাসা থামিতেছে ন—বরং বৃদ্ধিই পাইতেছে । আমি চাই জানিতে চাওয়া এবং পাওয়া একত্র বাস করিবে কেমন, করিয়া ? বাঘে-গোরুতে একঘাটে জল পি’বে কেমন করিয়া ? আমি তো এইরূপ বুঝি যে, যতক্ষণ পাওয়া না হয়, ততক্ষণই প্রাণের’ ভিতর হইতে চাওয়া বাহির হইতে থাকে ; পাওয়া হইলেই চুওয়া ঘুচিয়া যায়। তবে যদি বলে ষ্ট্রে মত কোনো-সময়ে বা আপনাকে পান, কোনো-সময়ে বা আপনাকে চা’ন ;
- go 蔓
বঙ্গদর্শন । ৭ম বর্ষ, বৈশাখ, ১৩১৪ সেটা বটে একটা ভাবিয়া দেখিবার বিষয় । তাই কি তোমার অভিপ্রায় ? তুমি কি বলিতে চাও, সত্যের প্রকাশ সাময়িক প্রকাশ ? আবার তাও বলি, অপ্রকাশের অবস্থায় চাওয়া কতদূর সম্ভবে-সেটাও একটা ভাবিবার বিষয়—বিশেষত প্রতিদিনই যখন দেখিতেছি যে, রাত্রিকালের প্রগাঢ় নিদ্রাবস্থায়,অপ্রকাঙ্গ, যে-সময়ে সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা হয়, সে সময়ে চাওয়া ধুইয়া-পুছিয়া মন হইতে এমি সাফ সরিয়া পালায় যে, তাহার চিকুমাত্রও অবশিষ্ট থাকে না । বলিতে কি—আমার জিজ্ঞাসা রক্তবীজের সহোদর-–মরিতে চাহে না কিছুতেই ! এক বীরের নিপাত হুইল তো আমি তার জায়গায় তিন বীর আসিয়া তাল ঠুকিয়া দণ্ডায়মান ! তার সাক্ষী :– «.. নবোখিত ভিন প্রশ্ন । (১). চাওয়া-পাওয়ার কিরূপ সম্ভবে ? (২) সত্যের প্রকাশ সাময়িক প্রকাশ, না চিরপ্রকাশ ? (৩) প্রকাশ এবং অপ্রকাশের সহিত চাওয়া-পাওয়া’র কিরূপ সম্বন্ধ ? উত্তর । , তোমার তিন প্রশ্নের উত্তর আমি যথাক্রমে দিব-মাসখানেক ধৈর্য্য ধরিয়া থাকে। একত্র-বাস ঐদ্বিজেন্দ্রনাথ *ांकूब्र ।