পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8e दछनन्।मि । [ ৭ম বর্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩১৪ না। ছেমা আমাকে কৃষ্ণ সাজাইয়া টুলের থাকারি দিয়া উঠিয়া বসিতেন, তার ড্যাব উপর উঠাইয়া দিয়া যাত্রা করিত, কিন্তু ভাল জমিত না—আমাদের মন থাকিত ক্ষেত্রমণিৰ বইয়ের দিকে। একদিন হেমা আমাকে বলিল, “ৰাত স্নকুমারী, ক্ষেত্রমণির পিছন থেকে চুপি চুপি দেখে আর ত বইখানার নাম কি।” আমি ধীরে ধীরে যাইতে যাইতে শুনিলাম ক্ষেত্রমণি পড়িতেছে, ‘দাদা আর কি আর কি, প্রাণপতি কোলে লয়ে জলে ভেসেছি”— আমি পিছনে গিয়াছি জানিয়া ক্ষেত্রমণি ফস করিয়া বইটা বন্ধ করিল— মলাটের উপরে দেখিলাম লেখা আছে “ভগবদগীতা।” আমাদের বাড়ীতে একখানা ভগবদগীতা ছিল, পরদিন সংগ্ৰহ করিয়া, লইয়া স্কুলে গেলাম এবং অতিশয় গৰ্ব্বভরে হেমাকে দিলাম। আমাদের বইখানা নূতন চকৃচকে ওদের খানা ছেড়া—আজ হেম সুর করিয়া ‘দাদা আর কি আর কি পড়িয়া সকলের তা লাগাইয়া দিবে, এই আনন্দে পণ্ডিত মহাশয়ের জলযোগের সময় প্রতীক্ষা করিয়া রহিয়াছি ;—অনেক কষ্টে সময় আসিল, কিন্তু পড়িতে গিয়া শুধু যে সমস্ত বইখানার মধ্যে দাদা আর কি, আর কি? পাওয়া গেল না তা নয়, এক বর্ণও আমরা পড়িতে বা বুঝিতে পারিলাম না। হেম৷ বলিল, “একি এনেছ, এযে সংস্কৰ্ত ! এখন বুঝিতে পারি, ক্ষেত্রমণি মুর করিয়া ‘মনসার ভাসান পীড়ত—কিন্তু আমার বেশ মনে আছে সেই বইয়ের মলাটে ভগবদগীতা নাম আমি পড়িয়াছিলাম—বোধ হয় স্থখান ৰই একজে ৰাধান ছিল। . • , ৰিমুনি ভাঙিলে পণ্ডিত মহাশয় গল ড্যাব লাল চক্ষু আরও ২৪ বার ঢুলিয়া পড়িত, করেক বার ফোস ফোস করিয়া জোরে নিশ্বাস বহিরা যাইত, তারপর তিনি সজাগ হইয়া ঠোঙ্গাগুদ্ধ খাবার লং য়া খাইতেন ; তারপর জল, পান ও আর এক ছিলিম তামাক খাইয়া আমাদের লইয়া নীচে नॉभिब्र श्रानिएउन । श्राभब्रा #िफ़ि निब्र নামিতে নামিতে শুনিতে পাইতাম ঝড়ের মত হড় মুড় দুড় দুড় করিয়া ছাত্রেরা স্কুলম্বরে প্রবেশ করিতেছে । কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা ছিল, ছেলেরা ও পণ্ডিতমহাশয় জলযোগের জন্ত আধঘণ্টা মাত্র ছুটি পাইবেন । পণ্ডিত মহাশর ছাত্রদের আধঘণ্টা সময় জলযোগের জন্ত ছুটি দিয়া নিজে জলযোগ করিতে যাইতেন, কিন্তু দেড়ঘণ্টার কম কোনদিনই স্কুলঘরে আসিতে পারিতেন না । সেই দেড়ঘণ্টা ছাত্রের এমন কোলাহল করিত, এমন ছুটাছুটি করিত যে তাহদের আনন্দধ্বনি উপর হইতে শুনিয়! আমার হিংস হইত— আমিও কেন নীচে থাকিতে পাই না— প্রতিদিন একঘেয়ে যাত্রাখেলায় মন তৃপ্তি মানিত না । নীচে’ আসিয়া পণ্ডিত মহাশয় লালমোহন প্যারীমোহনকে পাচ মিনিটের জন্ত ছুটি দিতেন—এটা কিন্তু তাহীদের উপরি লাভ কারণ পূর্ণ বলিত, পণ্ডিত মহাশয় উপরে উঠিলেই অন্ত ছেলেদের মত লালমোহন প্যারীমোহন লাফালাফি ছুটাছুটি করিত এবং খড়মের শব্দ পাইলেই আবার যে যাহার শাস্তির স্থানে দাড়াইত। পাচমিনিট ছুটির পর ফিরিয়া জাগিয়া তাছায়া বসিতে পাইত। তখন