পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፀዓb” জালিতেছিলেন, তিনিই আবার ব্যবস্থাসঙ্গত আইনের বশীভূত হইলেন। ইহাপেক্ষ ভ্ৰমাত্মক বুদ্ধি আর কি হইতে পারে ? পুৰ্ব্বেই বলিয়াছি, গিয়োবার্টি কল্পনার দাস ছিলেন এবং সেই. কল্পনাবলেই দেখিলেন, যে খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মরাজ্যের নিয়ন্তু আজ সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের প্রধান উদ্যোগী হইয়া সুবিচার ও স্বাধীনতার পক্ষতাচরণ করিতেছেন। কিন্তু যাহাদিগের কার্য্যকরী শক্তি আছে, তাহারা এই কল্পনাকে মুঢ়তারই অঙ্গ বলিয়া উপেক্ষা করিলেন এবং এ কল্পনা সিদ্ধ হইলে বিধৰ্ম্মীTদিগের পথে এখন যে সমস্ত প্রতিবন্ধক আছে তাহা কিছুই যে থাকিবে না তাহা ও তাহীদের বুঝিতে বাকী রহিল না। ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় প্রতিবন্ধক গুলি অপসরণ করা গোড়া ধাৰ্ম্মিকের চক্ষে বড়ই ভয়াবহ বলিয়া প্রতিভাত হইল। কিন্তু কল্পনারাজ্যে যাহারা বাস করেন সাংসারিক বিষয়ে তাহাদিগের আস্থা কিছু কম দেখা যায়। গিয়োবাটিরও সেই দশা । কাযেই তিনি এ সমস্ত ব্যাপারে বিচলিত হইলেন না । ভাগ্যক্রমে এই সময়ে নবম পায়স ( Pious IX ) পোপত্বে প্রতিষ্ঠিত হইলেন এবং তাহারই প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে গিয়োবাটির সৌভাগ্যস্বৰ্য্য উদিত হইল। গিয়োবাৰ্ট যে উৎসাহে অনুপ্রাণিত হইয়াছিলেন, পায়সও তাহাতেই উদ্বোধিত হন—তিনিও গিয়োবার্টির স্বপ্ন দেখিয়াছিলেন এবং মনে মনে তঁহারই কল্পনায় তন্ময় হইয়াছিলেন। পায়স দেখিলেন তাহার অধীনে খুীয় ধৰ্ম্ম ইতালীয় সমাজ ও রাজনীতি পরিশুদ্ধ করিল এবং সমগ্র খৃষ্টীয় জগতের শাসনভার পুনরায় যাজক সম্প্রদায়ের হতে সূপিত হইল। সারাংশে ইহানের बजनर्वब॥ [ ৭ম বর্ষ, মাঘ ১৩১৪ মতদ্বৈধ ছিল না, তথাপি সকল বিষয়ে দুইজনে একমত হইতে পারেন নাই। গিয়োবাৰ্ট ভাবিলেন প্রজাগণকে তাহদের স্বত্ব কিছু কিছু দিতে হইবে এবং তাছা ক্ষমতাশালী স্বেচ্ছাচারীর অনুগ্রহের উপর নির্ভর করে। পায়স দেখিলেন যে যাজকগণকে ঐহিক সমাজের নিকটতর সম্বন্ধে না আনিলে ঐ সম্প্রদায়ের ক্ষমতা বলবতী হইবে না এবং উহাদের প্রতি জাতীয় ভক্তিও বৃদ্ধি হইবে না। ইতালীর এই সময়ের ইতিহাস পাঠে আমরা অবগত হই যে উ হার দুইজনেই ঘোর ভ্রমে , পতিত হইয়াছিলেন, কেন না ইহাদের কার্য্য প্রণালীর ফল বিচিত্র রকমের হইয়াছিল। ইহাদের সঙ্গে সঙ্গে ইতালীয় জাতিও ভ্রমে পড়িলেন । র্তাহারা ভাবিলেন যে এক সংস্কারলিপ্ত, ধৰ্ম্মরাজ এবং সাধারণ স্বাধীনতার এত বড় এক সমর্থনকারীর একত্রে আবির্ভাব বড়ই আশ্চর্য্যের বিষয়। র্তাহারা মনে করিলেন যে এই দুই জনের মধ্যে মতের পার্থক্য কিছুই নাই। সত্য কথা বলিতে গেলে এই ভ্রম কিন্তু ইতালীয়- জাতির স্বাধীনতার পথ অনেকাংশে পরিষ্কার করিয়া দেয়। পাস যদিও পরে পিছু ছটিয়াছিলেন কিন্তু জাতির মধ্যে যে সকল আশা প্রদীপ্ত হইয়াছিল তাহ আর নিভিল না—আশা বলবতী হইল এবং উদার নৈতিক দলের কাৰ্য্যও অগ্রসর হইতে লাগিল। এই সকল কারণগুলিই গিয়োবার্টির মতকে:.বিকশিত করিয়া তুলে । তাহার প্রধানতম অভিপ্রার তিনি ইতালীয় জাতিকে ভাল কবি বুঝাইলেন। তিনি বলিলেন যে ভূগোলের ৰুি দিয়া বিচার করিলে ইতালীতে বিপদে