পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BSEలో ব্যাপার। প্রীত্যহিক বলেই এত করুণ } কিছুকাল পূৰ্ব্বে পত্নীকে বড় কেহ কৰ্ম্মস্থানে নিয়ে যেতেন না। পূজার ছুটি পতিপত্নীর সাক্ষাতের একটি প্রধান সময় ছিল । সে সাক্ষাৎই বা কয়দিনের জন্ত ? সেই দশদিনব্যাপী সাক্ষাতের পর আবার সেই আসন্ন দীর্ঘ বিরহ। প্রশসমা পত্নী, প্রাণাধিক কন্যাকে আবার একবৎসরের জন্য ছেড়ে যাওয়ার করুণ গভীর ছবি, কৰি কি গাঢ় অসহ্য করুণভাবে চিত্রিত করেছেন। পড়তে পড়তে অশ্র সম্বরণ করা ছুঃসাধ্য। তার পরে বিদায় গ্রহণের পরে গাড়িতে যেতে যেতে কবির চিন্তা । কবি দুইদিকে শস্তক্ষেত্রদেখছেন, তরুশ্রেণী দেখছেন, শরতের ভরা গঙ্গা দেখছেন, আকাশে শুভ্ৰমেঘ-খণ্ড দেখছেন। সে সব চক্ষের সাম্নে ভাস্ছে মাত্র; র্তার মস্তিষ্কে, অমুভাবনায় স্থান পাচ্ছেনা। র্তার কাণে, প্রাণে, মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে, সেই এক কথা বাজছে—“যেতে নাহি দিব।” এখানে কবি প্রকৃতির একখানি পৃষ্ঠা খুলে দেখাচ্ছেন, জীবনের বা একটা tragedy—যে সংসারের নিয়ম মামুষের ইচ্ছ, আকাজ, শক্তি,—সব চরণে দলিত করে চলে যায়, ভ্ৰক্ষেপও করে না । বিশ্বময় প্রেমের উপর বিজয়ী মৃত্যুর একটা জাজ্জল্যমান ছবি পাই । কবি নিঙড়ে নিঙড়ে যেন এই তিক্তরসটা পাঠককে সেবন করিয়ে नेिUम्हन ! স্নৰীক্সবাৰু যদি আর কোন কবিতা না লিখতেন—কেবল এইটি,—এই “যেতে নাহি দিব” লিখতেন, তা হলেও তার কবি-প্রতিভা বঙ্গভাষায় চিরদিন জাজ্জ্বল্যমান থাকতো। এৰূপ তার অনেক কবিতা আছে। তাই দুঃখ बछल-नि । [ ৭ম বর্ষ, মাখ, ১৩১৪ হয়, যে তার চেলীগণ এই সব রত্ন ছেড়ে আবজর্জন ঘেঁটে বেড়াচ্ছেন। - মহুষ্য জীবনে অনেক tragedy আছে। যেমন বাপ কি মা ছেলের জন্ত এত করে, •ছেলে তার দশমাংশও প্রতিদান করে না । পিতা মাতার এই স্নেহদৌৰ্ব্বল্য একটা tragedy. মা ছেলের জন্ত এত চিন্তিত, কিন্তু মৃত্যুর পর একবার ফিরে এসে চেয়েও দেখে না । এ একটা tragedy, আজীবন সেবার প্রতিদানে নিৰ্ব্বাসন বা নিৰ্য্যাতন একটা tragedy. উদ্দেশু মহৎ, প্রতাপসিংহের মত প্রাণপণ উক্ষম, তথাপি ঘটনার আবর্তে পড়ে’ সে প্রাণপণ উদ্যমও তৃণখণ্ডের মত ডুবে যায়। – a artā grē tragedy. TETstx GWIR সঙ্গে সঙ্গে সারল্যের তিরোভাব আর এক tragedy. RfTRỊ efs মাহুষের কতগত, বিশ্বাসঘাতকতা, নির্দয়ত এ সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র tragedy. RfSTAR STR tragedyrS *Kí f=fst ef ff est eternal tragedy গুলি মধুরভাবে ব্যক্ত কৰ্ত্তে পারেন। আমি বলেছি যে অনেক tragedy বিশ্বে আছে। আবার অনেক tragedy আমরা কল্পনা কর্তে পারি। যেমন ধরুন Rossettiয় “Blessed Damosel” strą কবিতাটি। তার tragedy হচ্ছে এই যে মানুষের ইহ জীবনে যে সব মৃত্যু ঘটিত বিচ্ছেদ ঘটে তাতে সে এই বলে’ নিজেকে সাত্মনা করে, যে পর জীবনে তার সঙ্গে দেখা হবে। উক্ত কবিতাটি সেই আশার বারিপাত্র ভূতলে সজোরে নিক্ষেপ করে ভেঙ্গে ফেলে দেয় । * তবে জীবনে কি সবই tragedy —ন। a frt comedy wtts, farce wtrę i w