রবীন্দ্রবাবুর বক্তব্য। =حسیه " یا "همه محت বঙ্গদর্শনসম্পাদক মহাশয় দ্বিজেন্দ্রবাবুর প্রবন্ধটি সম্বন্ধে আমার কি বলিবার আছে sানিবার জন্য তাহ প্রকাশ করিবার আগেই আমার কাছে পাঠাইলা দিয়াছেন। আমার কোনো বিশেষ কবিতা ভাল কি মন্দ, তাহা সুবোধ কি হৰ্ব্বোধ, সে সম্বন্ধে যদি বা আমার লিবাৱণকছু থাকে তাহ ন বললেও চলে ভাল কবিতা না লিখিতে পারাকে ঠিক অপরাধ বলিয়া ধরা যায় না। শক্তির অভাব প্রকাশ হইয়া পড়িলে মানুষের লজ্জা বোধ হয় বটে কিন্তু সেই অভাবকে কেহ কলঙ্ক বলিতে পারেন না । তা ছাড়া শক্তির অভাবে যে ক্রটি ঘটে তাহার সকলের চেয়ে বড় শাস্তি নিষ্ফলতা—কোনোন্সাহিত্য বিচারকের কড়া কলমে তাহার চেয়ে বেশি দণ্ড কোনো লেখককে - দিতে পারে না। কালের সেই চূড়ান্ত রায় একদিন বাহির হইবেই—ইতিমধ্যে যে ক্রটি ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ নহে যাহাতে কেবলমাত্র অক্ষমতা প্রকাশ পায় তাহার জন্য কৈফিয়তের চেষ্টা করা অনাবশুক । তবে দ্বিজেন্দ্রবাবুর প্রবন্ধের শেষভাগে তিনি আমার প্রতি যে কলঙ্ক আরোপ করিয়া ছেন তাহ সামান্ত নহে। কারণ সেটা কবিত্ব शऐब्रां नद्र, छब्रिज आहेग्रां । আমার “আত্মজীবনী” প্রবন্ধে আমি অলৌকিক শক্তির প্রেরণা দাবী করি দম্ভ হইয়াছে। এবং সেই কারণে তিনি আমার দর্পহরণ করা কর্তব্য মনে করিয়াছেন । আমি যাহা বলিতে চেষ্টা করি, সকল ক্ষেত্রে তাহ যে স্পষ্ট করিয়া ব্যক্ত করিতে পারি না দ্বিজেন্দ্রবাবু তাহ আমার কাব্য সমালোচনা উপলক্ষ্যে পূৰ্ব্বেই বলিয়াছেন। আমার সেই বুদ্ধি ও বাণীর জড়িমা আমার গল্প প্রবন্ধেও নিশ্চয় প্রকাশ পাইয়া থাকে নছিলে দ্বিজেন্দ্রবাবু আমার আত্মজীবনী পড়িয়া এমন ভুল বুঝিলেন কেন ? কারণ আমি মনে জানি, অহঙ্কার প্রকাশ করিবার অভিপ্রায় আমার ছিল না। বহুদিন হইল জৰ্ম্মন কবিশ্রেষ্ঠ গ্যয়টের কোনো রচনার ইংরেজি তর্জমাতে একটা কথা পড়িয়াছিলাম ; যতদুর মনে পড়ে, তাহার ভাবখানা এই যে, বাগানের মধ্যে যে শক্তি গোলাপ হইয়া ফোটে সেই একই শক্তি মানুষের মনে ও বাক্যে কাব্য হইয়া প্রকাশ পায় । , 端 এই বিশ্বশক্তিকে নিজের জীবনের মধ্যে ও রচনার মধ্যে অনুভব করা অহঙ্কার লহে । বরঞ্চ অ্যুরের ঠিক উলটা। কেন না, এই বিশ্বশক্তি কোনো ব্যক্তিবিশেষের বিশেষ সম্পত্তি নহে— তাহা সকলের মধ্যেই কাজ করিতেছে। তাই যদি হয় তবে এত বড় একটা অত্যন্ত সাধারণ কথাকে বিশেষভাবে বলিতে বলা প্রকাশ করিয়াছি দ্বিজেক্তবাবুর এইরূপ ধারণা কেন ?
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।