দশম সংখ্যা । ] রবীন্দ্রবাবুর বক্তব্য। ( evరి গানে, সভাস্থলে ও মাসিকপত্রে, এবং যে ব্যঙ্গ ইতিপূৰ্ব্বে কদাচ কোনো ব্যক্তিবিশেষের মৰ্ম্মভেদ করিবার জন্ত নিক্ষিপ্ত হয় নাই সেই ব্যঙ্গে ও ভৎসনায় অশ্রান্তভাবে আমার লাঞ্ছনা করিতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত হন নাই। শাস্তির’ উদ্দেশু সংশোধন করা এবং সংশোধনের উপায় বেদন দেওয়া। দ্বিজেন্দ্রবাবুর দণ্ড বিধানে সেই বেদনা আমি ভোগ করি নাই এ কুপ জোর করিয়া বলিতে গেলে একপক্ষে নিথা গৰ্ব্ব করা হয় অপর পক্ষে দ্বিজেন্দ্রবাবুকে ক্ষুদ্র ব্যক্তি বলিয়া উপেক্ষা করিবার ভান করা হয় । কিন্তু বেদনার প্রয়োজন আছে। নিন্ণ ও অর্মাননার উপস্থিত উপলক্ষাটা যদি % অস্থাও হয় তবু মামুসের প্রচ্ছন্ন অহঙ্কার ও ত আছে, সেইখানে কুঠার পঢ়ক। এই ত আমাৰ কথা গেল । প্রবন্ধ সম্বন্ধে দুষ্ট একটি প্রশ্ন আছে । দ্বিজেন্দ্রবাবু এই রচনায় আমার কোনো একটি কলিতাকে ভাল বলিয়াছেন । কিন্তু সেইখানেই থামেন নাই। পূৰ্ব্বে তিনি আমার আর একটু কবিতার নিন্দ করিয়াছিলেন বলিয়া তাহাকে কেহ কেতু আমার দ্বেষক মনে করিয়াছেন, প্রবন্ধ শেষে কৈফিযুৎসহ দ্বিজেন্দ্রবাবু তাহার প্রতিবাদ করিয়াছেন । এ প্রতিবাদের কি কোনো প্রয়োজন ছিল ? সেশন জজ আসামীকে ফঁাসি দিয়া তাঙ্গর পরে निएब cप नबझ्डाकांबी नरश्न डांशश्रहे कि প্রমাণ দিতে চেষ্টা করেন ? আমার কোনে একটি লেখা তাহার ভাল লাগে নাই এবং আমার অন্ত একটা রচনা তাহার অন্যায় মনে হইয়াছে সে কথা প্রকাশ করিয়াছেন বুলিয়া কি তাহার কোনো জবাবদিহি থাকিতে পারে ? এখন এই আমি মাসিকপত্রে দ্বিজেন্দ্রবাবুর অনেকগুলি কাব্যগ্রন্থের সমালোচনা করিয়াছি। লেখার সেই সকল “অপ্রবুদ্ধ”উপভোষ্ট্রে অযথা স্তাবক বলিয়া অপবাদ দিয়াছেন । আমি তাহাতে কান দিই নাই। “ যেমন, যেখানে পীড়ার কারণ সেখানে নিলা স্বাভাবিক এবং কর্তব্য তেমনি যেখানে উপভোগ সেখানে স্তব যে আপনি আসে । যেগান হইতে আন্তরিক আনন্দ ভোগ করিয়াছি সেখানে সেই আনন্দটাকেই প্রথমে রাখিয়া এবং তাহাকেই সকলের বড় করিয়া দেখাইতে ইচ্ছা হয়—ক্রট ও অসস্পুর্ণতাকে তাহার পশ্চাতে ফেলিয়া রাখি। তাঙ্গর উল্লেখ করা যায় বটে কিন্তু তাহার উপরেই তীব্র আলোক সংহত করিলে বা তাঙ্গকে বিদ্রুপের দ্বারা বিকৃত করিলে নিজের আনন্দ সম্ভোগের প্রতি অবিচার করা হয়— বস্থত সেরূপ প্রবৃত্তি মানুষের স্বাভাবিক নহে। দ্বিজেন্দ্রবাবু বঙ্গসাহিত্যে যে একটি অপূৰ্ব্ব রূপ এবং বঙ্গভাষায় যে একটি নূতন প্রাণ আনিয়া দিয়াছেন–র্তাহার কাব্যের মধ্যে যে পৌরুষ এবং তাঙ্কার হাস্তের অভাস্তরে যে তেজ প্রকাশ পাইয়াছে—বিদ্রুপের চাপল্যের মধ্যেও সুগভীর সত্যকে রক্ষা করিয়া তিনি যে প্রতিভার পরিচয় দিয়া আসিয়াছেন তাহার আনন্দ আমি প্রথম হইতেই, যখন তিনি সাহিত্য সমাজে অপরিচিত [ཧྲེ་ཧཱ་ཁ তখন ಕ್ಲೌಡ್', অসঙ্কোচে প্রকাশ কধিয়া আসিয়াছি—তাহার কাব্যের কোনো নিলকেই অতিশয়রূপে উৎকর্ট করিয়া তুলিতে ইচ্ছাই হয় নাই—কারণ, তাহাতে সত্যের বাভিচার ঘটে। ইহাকে যদি স্তব বলে তবে তুহার জন্ত লজ্জিত হইবার কারণ নাই। "
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।