পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । ] , -اس-اس-سمهساسیس eার অনেকে অনেক কবির প্রতি বিশেষ অম্বৰক্ত হইয় উঠেন, জগতের সৰ্ব্বত্রই ইহার তুরি ভূরি দৃষ্টান্ত মেলে, আমিও নিজেকে এই দলের মধ্যেই গণ্য করিয়া থাকি, ইহাদের সকলের বুদ্ধি ও ক্ষমতার যথেষ্ট নূ্যনতাও থাকিতে পারে কিন্তু ইহার কাহারো চেলানছেন। মতের সহিত না মিলিলেই যদি দ্বিজেন্দ্রবাবু অনুরাগকে অন্ধ অনুরাগ বা চেলাবৃত্ত্বি বলেন তবে অপর পক্ষে তাহার বিরাগকেই বা অন্ধবিরাগ বা নিন্দুকতা না বলিবে কেন ? এরূপ সংজ্ঞাপ্রয়োগ কি সুপ্রবুদ্ধতা ? কাব্যরচনার ক্ষমত্তাতেও ত সকলে দ্বিজেন্দ্রবাবুর সমান নহে—বস্তুত ইহাই ত তাঙ্গর কবিত্বের গৌরব--সেজন্ত কি তিনি অক্ষমদিগকে ক্ষম করিতে পারেন না ? রসবোধের ক্ষমতাতে ও দৈবের কৃপণতায় র্যাহারা তাঙ্গ অপেক্ষ নুন তাঙ্গাদিগকে গালি দে ওয়া কি বিচারকের যোগ্য ? আমার বিবেচনায় এরূপ চেষ্টায় প্রবৃত্ত হওয়ার চেয়ে বঙ্গসাহিত্যে তিনি যদি সুপ্রবুদ্ধ সমালোচনার দৃষ্টান্ত প্রচারে নিযুক্ত হন তবে তিনি যেমন কবি ও রসিকরূপে বঙ্গসাহিত্যের ঐশ্বৰ্য্য বুদ্ধি করিয়া দিয়াছেন তেমনি রসবিচারকরূপেও হয়ত, বাংল{ সাহিত্যের যে অভাব লইয়া আক্ষেপ করিয়াছেন, । তাহা পূরণ করিয়া যশস্বী হইতে পারবেন এবং “ভগ্নাংশের শতাংশের একাংশ”কে সম্পূর্ণতা রবীন্দ্রবাবুর বক্তব্য। Q og দ্বান করিয়া রসজ্ঞদের দলবৃদ্ধি ও বলবৃদ্ধি করিয়া তুলিবেন ; তখন, যাহারা নগুৰ্ণ্য তাহাদিগকে নগণ্য প্রমাণ করিবার" জন্ত র্তাহার মত গণ্য ব্যক্তির বঞ্জার্ক্সে অপব্যয় করিতে হইবে না। নগণ্যের দ্বারাই গণ্যের গণ্যতারক্ষা হইয়া . থাকে ; এবং গণ্যের নগণ্যের অবমাননা করেন না। শক্তস্ত ভূষণং ক্ষমা । e দ্বিজেন্দ্রবাবুর কোনো লেখা বা আচরণ সম্বন্ধে এমন কোনো মন্তব্য প্রকাশ যাহাতে তাহার বিরুদ্ধবাদ আছে আমার পক্ষে অপ্রিয় ; —আমি এ কাজটাকে যতখানি মুমার কৰ্ত্তব্য বলিয়া নিজেকে ভুলাইতেছি ইহা ঠিক ততটা বিশুদ্ধ কৰ্ত্তব্য নিশ্চয়ই নহে ;–নিশ্চয়ই আমার ব্যক্তিগত ক্ষোভের অধৈর্য্যও ইহার প্রচুর পরিমাণে আছে ;–নিজের দুৰ্ব্বলতা আঘাত লাগিলে আমাদের যে কৰ্ত্তব্যবুদ্ধি ঠাং অত্যন্ত তীব্র ও সজাগ হইয় উঠে তাঙ্গকে বিশ্বাস করা যায় না। কিন্তু দ্বিজেন্দ্র বাবু এ কথা মনে রাপিবেন এই ক্ষোভের দ্বারাতেও আমি তাহার বা তাহার বন্ধুদের সম্মনিহানি করিতে চাহি নাই—কোনো কারণেই তাহার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা "অস্বীকার করিতে পারিব না। ব্যক্তিগত ক্ষোভ চিরদিন থাকে না –কিন্তু আনন্দ তাহ অপেক্ষা প্রবল ও নিত্য ; সেই আনন্দেরই জয় হউক! ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । মধ্যে