পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা। পৌণ্ড বৰ্দ্ধন। ఖీ কীৰ্ত্তিকের মন্দিরই যে করতেীয়া মাহীষ্ম্যোক্ত স্কন্দদেবের মনিীয় তাহাতে সন্দেহ 689 ছিল ; সুতরাং দূরত্ব নিবন্ধন পৌণ্ডবৰ্ধনবাসী 哆 কাহারো জয়াদিত্যের আগমন জানিবার সুবিধা করিবার কি আছে ? ' ' "ন গোবিলায়োর্থধ্যে গুপ্ত বারাণসীপুরী । उद्द्वंद्वांश्१ गitख१ नग्ब्रlननंद्मनिंfi उट्व९ ॥" . পূৰ্ব্বে উল্লিখিত ’ হইয়াছে স্কন্দ ও গোবিন্দের স্থান দুইটি অশ্বখ বৃক্ষ দ্বারা অদ্যাপিও চিহ্নিত হইয়া আছে । 穩 লঘুভারতে লিখিত আছে যে, মানসিংহ কামরূপ হইতে প্রত্যাবৃত্ত হইবার সময় স্কন্দ ও গোবিন্দ তীর্থ দর্শন করিয়া যান। কথিত আছে তিনি মহাস্থানোক্ত অনেক লুপ্ত তীর্থ আবিষ্কার করিয়াছিলেন । “সাহ সুলতানের সমকালীয় মুসলমানগণ দ্বারা যাবতীয় দেবদেবীগণ বিনষ্ট হওয়ায়— এইক্ষণ পৌষনারায়ণী যোগে ঐ সকল দেবদেবীর আসন অতি ক্লেশে যাত্রীগণ নির্ণয় করিয়া লইয়া পুজাদি করিয়া থাকে।” ৮। রাজতরঙ্গিণীতে লিখিত আছে যে, —জয়াদিত্য গঙ্গাতীরে সৈন্যগণকে বিদায় দিয়া ছদ্মবুেশে পেও বৰ্দ্ধন নগরে উপস্থিত হন। এই জয়াদিত্যের পৌণ্ডবৰ্দ্ধন আগমন বার্তা পৌণ্ডবৰ্দ্ধন নগরীর কেহই জানিতে পারে নাই। পরিশেষে জয়াদিত্যের নামাঙ্কিত পতিত কেয়ুর দৃষ্ট সকলেই কাশ্মিরাধিপের আগমন বার্তা জানিতে পারিয়াছিলেন। গঙ্গানদী যদি পেও বৰ্দ্ধনের নিকটবর্তী, ইত, তাহ হইলে অপর একজন রাজার সৈন্ত সমস্ত রাজধানীর এত নিকটে আসিল ও বিদায় ইয়া গেল, অথচ নগরবাসী কেহই জানিলন, रैरों९ कि नखद ? ইহাতে বরং ইহাই প্রতিপন্ন "ণ্ডে পৌণ্ডবৰ্ধন নগর গঙ্গাতীর হইতে দূরে হয় নাই। 3. গঙ্গা নাকি পূৰ্ব্বে মালদহ পাণ্ডুয়ার অতি নিকট দিয়া প্রবাহিত হইত। - সুতরাং ইহা হইতেও বুঝা যায় যে পৌণ্ডবৰ্দ্ধন গঙ্গার অতি নিকটস্থ পাণ্ডুয়ায় না, হইয়া, কিছু দূরে স্থিত মহাস্থানই হওয়া সুসঙ্গত। ৯ । তারপর মহাস্থান যে পরগণার অন্তৰ্গত সে পরগণাটর নাম “শীলবর্ষ”, চলিত কথায় “শেলবর্ষ’ বলে। করতোয় মাছাত্ম্যের ‘শলাদ্বীপ’ই বর্তমানে শীলবর্ষ নামে অভিহিত হইতেছে, তাহাতে সন্দেহ নাই। শীলাবর্ষ নামটতে “পেণ্ডে কোটি শিলাদ্বীপে” ইত্যাদি করতোয় মাহাঝ্যোক্ত শ্লোকটী মনে করিয়া দেয় । ১০ । কোন অপরিজ্ঞাত বা সমভূমি প্রাস্তরে আমরা পৌণ্ডবৰ্ধনের স্থান নির্দেশ করিতেছি না; পূৰ্ব্বোক্ত প্রমাণগুলি ব্যতীত মহাস্থানে যে সকল ধবংসাবশেষ এখনও বর্তমান আছে, তাহা দেখিলেই বিশ্বাস হইবে যে, মহাস্থান কি প্রাচীতত্ত্বে, কি বিশালতায়, কি সমৃদ্ধিতে কিরূপ অলঙ্কৃত ছিল । মুহাস্থানের সেই পাহাড় সদৃশ উচ্চ বিশাল গড়, ৫৬ মাইল ব্যাপী অসুংখ্য অট্টালিকার - ভগ্নস্ত,প, গড়বেষ্টিত পরিখা এবং নগর' বেষ্টনীবৎ উচ্চ ৮মাইল দীর্ঘ জাঙ্গাল (সচরাচর লোকে ইহাকে, ভীমের জাঙ্গাল বলে) এই সকল দেখিয়া,স্বতঃই মনে এই প্রশ্ন উদিত হয়, হায় । ইহা কতকালের কোন বিশাল রমণীয় নগরীর ধ্বংসাবশেষ ; না জানিইচ্ছা কতই সৌন্দর্য্যের আগার ছিল।