& बन्नमर्थनं । [৭ বৰ্ষ জ্যৈষ্ঠ ১৩১৪ ভারতসাম্রাজ্যসংস্থাপনের মূলনীতি, কাইব ৰণ করিবার সরল স্বাভাবিক উদারনীতির তাহার পথপ্রদর্শক। তিনি সে কথা অনেকবার বলিয়া গিয়াছেন। এ বিষয়ে ক্লাইব • প্রথম পথপ্রদর্শক না হইলেও বিশেষ বিজ্ঞ ব্যক্তি বলিয়া প্রশংসালাভের দাবি করিতে পারেন। প্রথম পথপ্রদর্শক ভাস্কো-ডা-গামা । তিনি কোচিনরাজের পক্ষ ধরিয়া কালিকটের সৰ্ব্বনাশসাধনের চেষ্টা করেন। পরবর্তী ইউরোপীয়গণ সকলেই গামার প্রাচ্যনীতির উপাসক। ক্লাইবও সেই নীতির অনুসরণে স্বাস্ত্রাজ্যসংস্থাপনে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন। ইংরাজদিগের মধ্যে এ বিষয়ে ক্লাইবকেই পথ প্রদর্শক বলিতে হয়। এই নীতি যতদিন ভারত সাম্রাজ্যশাসনের মূলনীতি বলিয়া অমুস্থত হইবে, ততদিন ইহার পথপ্রদর্শক বলিয়া ক্লাইব প্রস্তরমুর্বির দাবি করিতে পারেন। যে সকল রাজপ্রতিনিধি ক্লাইবের প্রদর্শিত পুরাতন পথে ভারতশাসন করিয়া গিয়াছেন, তাহারা সকলেই প্রস্তরমূর্তিতে ভারতরাজ ধানীর নাগরিকশোভা সংবৰ্দ্ধিত করিতেছেন। লড রিপন তাহ করেন নাই বলিয়া, প্রস্তরমূৰ্ত্তি রাখিয়া যাইতে পারেন নাই। শিষ্যগণ যাহা লাভ করিয়াছেন, ক্লাইব তাহা পাইবার জন্য দাবি করিলে, অসঙ্গত হয় না। ক্লাইবের পক্ষে লর্ড কর্জন লেই দাবি উত্থাপিত করায়, তাহ সৰ্ব্বাংশেই সুসঙ্গত হইয়াছে। সত্যই ত মুসঙ্গত কথা —সকলেরই আছে,–লর্ড কর্জনের8, হইতেছে —ক্লাইবের হইবে না কেন ? ভারতবর্ষের কথা স্বতন্ত্র । এখানে সমস্তই শোভা পায় এখানে ইতিহাসের মর্যাদারক্ষার জন্য আগ্রহ নাই,-সত্যেক সন্মানরক্ষার জন্য ব্যাকুলত নাই-রাজভক্তি আক প্রাধান্য নাই—এখানে সমস্তই শোভা পায়। কেবল তাহাই নয় ;–এখানে এই সকল বিষয়ে অর্থভিক্ষা করিলে, ভিক্ষার ঝুলি পূর্ণ হইতে বিলম্ব ঘটে না , হেষ্টিংস - মহারাজ নন্দকুমারকে ফঁাসিকাষ্ঠে ঝুলাইয়া স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করিলে, ইংরাজের ন্যায়নিষ্ঠ তাছ সহ করিতে পারে নাই ;–হেষ্টিংসকে অভিযুক্ত করিয়া, সাধারণ অপরাধীর ন্যায় ধৰ্ম্মাধিকরণের সম্মুখীন করিয়াছিল। কিন্তু সেই হেষ্টিংসের পক্ষসমর্থন করার যখন প্রয়োজন হইয়া উঠিল, তখন নন্দকুমারের বংশধরই হেষ্টিংসের প্রশংসাপত্রে নিজনাম সুহস্তে লিথিয়া দিয়া হেষ্টিংসের পক্ষসমর্থন করিয়াছিলেন । সুতরাং ক্লাইবের প্রস্তরমূর্তিসংস্থাপনের জন্য চাদ চাহিলে, ভারতবর্ষে চাঁদাদাতার অভাব হইবে না। যাহারা চাদ দিবেন, তাহাদের নাম লোকসমাজে অপরিজ্ঞাত নাই। * "ভারতবর্ষের কথু যাহাই হউক, ইংলণ্ডের কথা স্বতন্ত্র। সেখানে এখনও ন্যায়ের মর্য্যাদা বিলুপ্ত হয় নাই। ভারতপ্রত্যাগত "অ্যাংলোইণ্ডিয়ান্ ভিন্ন ইংলণ্ডের জনসাধারণ অর্থদান করিতে জ্বল্পত হইবে না। আর এতকাল পরে, ইংলণ্ডে ক্লাইবের এক প্রস্তরমূৰ্ত্তি সংস্থাপিত হইলেই বা ক্ষতি কি ? লোকে তাহার উদ্দেশু লইয়া চিরদিনই তর্কবিতর্ক করিবে,—চিরদিনই বিলুপ্তপ্রায় পুরাতন কলঙ্ককথা নবীনতালাত করিবে । এখন ভারতবর্ষেও ইংলণ্ডের পুরাতন বন্ধন শিথিল হইয় পড়িতেছে। এখন উদারনীতির নূতন বন্ধন প্রতিষ্ঠিত – হইবার প্রয়োজন । এখন আর তরবারি দেখাইয়া ভক্তি-আকর্ষণের
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।