(!Xab" বঙ্গদশন৷৷ [ ৭ম বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৪.' করিয়া যাহার বর্ণজ্ঞান লাভ করিতেছে, তাহারা বাক্যকে মাণিক্য বলিয়া মানিয়া লইয়া, কায়মনোবাক্যে বাক্যব্যয় করিতে ব্যাপৃত হইয়াছে।" সম্প্রতি অম্মদেশে ইহার জন্তই বাক্য এত অতিমাত্রায় ফেণাইয়া উঠিয়া" পাত্র ছাপাইয়া উছলিয়া পড়িতেছে। তাহার অবখাভাবী পরিণাম—অনৈক্য—সৰ্ব্বত্র অকুতোভয়ে অপ্রতিহতপ্রভাবে অবলীলাক্রমে আত্মঘোষণার ব্যাপৃত হইয়াছে। সকল স্থানে—সকল কার্য্যে —সকল সংবাদপত্রে—সকল সভামগুপে—সেই জন্ত অনৈক্যের এরূপ প্রান্থভাব উপস্থিত। সভায় এবং সংবাদপত্রে একটি নুতন বাক্যের প্রাচুর্ভাব হইয়াছে। সেদিন একখানি বাঙালী-পরিচালিত ইংরাজী সংবাদপত্রে তাতাই পাঠ . করিতেছিলাম। পাঠ সমাপ্ত হইতে না হইতেই বন্ধু বলিয়া উঠিলেন,—“তা বটেইত। মতের অনৈক্য থাকে থাকুক ; আইস আমরা কার্য্যের ঐক্য সুসংস্থাপিত করি।” কথাট সহসা মানিয়া লইতে পারিলাম না বলিয়া,— এতটুকু সামান্ত কারণেই—বন্ধুবিচ্ছেদ ঘটয়া গিয়াছে ! 源 এক ব্যক্তি আস্তিক, আর এক ব্যক্তি নাস্তিক। একজন আর একজনকে ডাকিয়া কলি,—“মতের অনৈক্য থাকে থাকুক, আইস অমর কাৰ্য্যের ঐক্য সংস্থাপিত করি।—উভয়ে মিলিয়া ঈশ্বরোপাসনায় প্রবৃত্ত হই।” এরূপ ক্ষেত্রে তাহদের মধ্যে কাৰ্য্যের ঐক্য দেখিহে পাইলে বলিতে হইবে— একজন কার্য্যের ভাণ করিতেছে! নচেৎ মতের অনৈক্য স্থির রাপিয়ু, উভয়ে মিলিয়া কাৰ্য্যের ঐক্য সংস্থাপিত করিতে পারিত না । 唱 ইহাতে সংশয়াপন্ন হই, সত্যনির্ণরের জন্ত हैऊिर्शनै খুলিয়া, অধিক সংশয়ে আক্রান্ত हहैয়াছি। ইতিহাসে লিখিত আছে,—মতুে ঐক্য থাকিলেও, সকল সময়ে কার্য্যেকুAীর্ক্য “দেখিতে পাওয়া যায় না ;—মতের ঐক্য না থাকিলে, কখনও কার্য্যের ঐক্য মুস্তব हर्हेड 够 পারে না! তখন সংশয় আরও প্রবল হইয়া. ऎछंल् । * ইংলও একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ। এত ক্ষুদ্র যে তাহার অধিবাসিবর্গকে গ্রাসাচ্ছাদনের জন্ত ও বহু বিদেশের উপর নির্ভর করিতে হয়। সে দেশের লোক ইহা বুঝিতে পারিয়া, বিদেশে শক্তিবিস্তারের জন্ত এবং শক্তি রক্ষার জঙ্গ বদ্ধপরিকর হইয়া রহিয়াছে। ইহার জন্ত তাহারা মুগুদান করিতেও প্রস্তুত । এরূপ মতের এবং কার্য্যের ঐক্য ইতিহাসে দুৰ্ল্লভ। তথাপি তাহার যুগুন দিগ্বিজয়ে বহির্গত হইয়াছিল, তখন মতের ঐক্য থাকিলেও, কায্যের ঐক্য দেখিতে পাওয়া যায় নাই । কেহ জলপথে—কেহ স্থলপথে, কেহ ধৰ্ম্মপথে—কেহ অধৰ্ম্মপথে, কেহ বাণিজ্যে— কেহ বা পরস্বাপহরণে, ইষ্টসিদ্ধির আয়োজন করিয়াছিল। কালক্রমে ভারতরাজ্য করতলগত হইলে, কেহ বলিল—ভারতবর্ষকে শিক্ষায় সমুন্নত্ত্ব করিয়া পতিতোদ্ধারের পুণ্যব্রত উদুযাপিত করিয়াই রুতার্থ হইব ; কেহ বলিল,— তাহাকে তরবারিবলে- চিরপদানত রাখিয়া শাৰ্দ্দ লশক্তির পরিচয় প্রদান করিব। যেখানে এরূপ মতের অনৈক্য, সেখানে কার্যের ঐক্য সংস্থাপিত হইতে পারিতেছে না । ভারতবর্ষ একটি বৃহৎ দেশ। এত বৃহৎ যে তাহার অধিবাসিবর্গকে কখনও কোন কিছুর জন্তই বিদেশের উপর নির্ভর করিতে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।