७S ३ ॥ কঠোর বৈরাগ্য, অতুলকরণ ও সৰ্ব্বোপরি র্তাহার বিরাট মহিমার মহা চিত্রগুলি লোচন দাসের সুপূৰ্ব্ব তুলিকাম্পর্শে, অতুলচিত্রাঙ্কনী প্রতিভায় এবং কুবিত্ব ও কল্পনার সুন্দর বর্ণভায় উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছে। আর শ্রীচৈতন্ত দেবের জীবন চিত্রের সঙ্গে সঙ্গে শচীদেবীর স্নেহবৎসল মাতৃহৃদয়, দেবী বিষ্ণুপ্রিয়ার বিরহ মথিত সকরুণমূৰ্ত্তিখানি, তাহার পরিচরগণের ভক্তিবিহ্বল আত্মহারা ভাব ও সৰ্ব্বোপরি এ সকলের অন্তরালে লোচনের সকরুণ দীন ভক্তি রসার্জ কবিহুদয় কি সুন্দর ফুটিয়া উঠিয়াছে! সেই জন্তই চৈতন্ত মঙ্গল, চৈতন্ত চরিতামৃত কিম্বা শ্রীচৈতন্ত ভাগবৎ হয় নাই। লোচনদাস বলিতেছেন পৃথিবী সোহাগ শ্ৰীচৈতন্তের মুধচন্দ্ৰ দেখিয়া :-- & “মধুময় কমলে যেন ষটপদ ভ্রমরাবুলে যেন চন্দ্র চকোরের মেলি !" • “বনের হাথিয়া যেন বনদাবানলে পুড়ি e . অমিয় সাগরে দিল বাপ ।” ংসার তাপপীড়িত জনগণ সে মুখচন্দ্র দেখিয়া এমনি হরষিত হইল । “প্রতি অঙ্গে অমিয়া সঞ্চরে রাশিরাশি। নিরধিতে নয়নে হৃদয়ে কেনে বাসি।” • বুঝি তাহার “প্রতি অঙ্গরস রাশি মূমি অখণ্ড” সে “রসময়ু তন্ত্রী দেখিয়া “ন্যানে লাগিল সভার অমিয়া অঞ্জন।” তাই e “অবেকত অাধ আধ লহু লহু°বোলে। • • চাদের সায়রে যেন অমিয়া উথলে ॥” শ্রীচৈতন্তের তরুণ মলিন মুখ দেখিয়া তিনি বলিয়াছেন :– . . “মুবরণ পদ্ম যেন আতপে মৈলান । মধুনিকলীয় যেন বদনের ঘাম ॥" বঙ্গদর্শন । সমস্ত কবিতা রেপ চৈতন্তদলৰ { ৭ম বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৪ সেইরূপ লোচন দাম এক একটি অতি সহর্ন কথায় বা একটা মাত্র পদে কবি স্বল্পর এক একটী চিত্র অঙ্কিত করিয়াছেন – স্বালক দেখিয়া হিয়া रूबä रुि वानि।” “গঢ়ল কেমনে বিধি ধৈরজ ধরিয়া।” “হরিণ নয়ানীগণ গৌরাঙ্গ দেখিয়া।” বলিতে না পারে সে ধরিতে পারে হিয়া ॥” “স্বর্ণ দর্পণ করে যেন পূর্ণচন্দ্র। হেরি লোক নিজ হিয়া না হয় স্বতন্ত্র।” “ডর নাহি হিয়ায় মোর যে বলু সে বলুলৈাকে । হেন মন কৰিছে গোরা ੇ। রাপি বুকে৷” “সে রূপ দেপিতে কারু না লেউঠে আঁথি ॥” “অঙ্গের বাতাসে সব কঁপিয়ে শরীর ॥” দু’টা কথায় শচীদেবীর স্নেহবৎসল মাতৃझम्न.थानि भूम्नि डेर्लिंग्राप्झ ! • . “সকল পাশরি এক তোয় মুগ চাহি ।” “তোমা না দেখিলে মোর সকলি অরণ্য ।” “জল বিস্তু যেন মীন না ধরে পরাণ । তোমা বিনা আমার তেমতি সমাধান ॥ বিষ্ণু প্রিয়া বলিতেছেন র্যার :-° শিরীষ কুসুম যেন মুকোমল চরণ,.. ' পরশিতে ডর লাগে হাথে । তিনি কি কুরিয়া পদব্ৰজে সন্ন্যাস গ্রহণ " করিয়া দেশ দেশাস্তরে বিচরণ করিবেন। এবং যাহার “অমিয় পসারে যেন অঙ্গের মাধুরী” “অমিয়া সিঞ্চিল মুখ দেখিতে দেখিতে" এবং “দেখিতে শীতল হয় হৃদয় নয়ন" তার বিরহ তিনি কি করিয়া সহ"করিবেন—সমস্ত সংসার যে তার বিরহে বিষময় বোধ হয় – জুমিয়া অধিক প্ৰভু তোর যত গুণ । • এখনে সকল সেই ভৈগেল আগুন "
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।