পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাদশ সংখ্যা । ] . নিত্যানন্দ সহ ঐচৈতন্তের প্রেমবিগলিত করুণমূৰ্ত্তি কবি সুন্দর অঙ্কিতু করিয়াছেন – ' দোহার নয়নে ঝুরে প্রেমানন্দ নীর। ' শুনিলে বিতের দোহে অমিয় শরীর। • ঐচৈতন্য মঙ্গল হইতে কতকগুলি মুন্দরপুদ ও শব্দচিত্র যথেচ্ছ উক্ত করিলাম :– করুণ অরুণ, কমলরস হুগন্ধি, বজর অন্তর, চলিতে না চলে পুদখানি, পৃথিবী সোহাগ, রস লাবণ্য, অরুণ কমল আঁখি করুণা জলে ভাসে, অমিয়া অধিক পরকাশ, মধুরিম হাস, ছিয়াশোন, ক্রিভূবন জনু মনরঙ্গে, আঁউলায় শরীরবন্ধ, কমললোচন, আলপিত আঁখি, অনিমিখ আখি, প্রেম পরবন্ধ, প্রাণ নিষেবন, কুরঙ্গ নয়নী চারুকুঞ্জর গামিনী, মরাল গমন সুঠাম, লীলারসময় তনু, তরল চাহনি, সরস নয়নি, কৌতুকরভসে, জগমনমোহিনী, তরল নয়ার্নবন্ধ, আত্ম নিবেদন, আনন্দ হিল্লোল, অবাধ করুণ, করুণাকিরণ, শশী রঞ্জিত রজনী, অরুণনয়ান, পুলকে আকুলতযু প্রেমে ডগমগি,বিহবল চেতন, যমুনাজলসুশীতল বায়, প্রেমপরবশ চিত, অনঙ্গনয়ন, কাতর বয়ান, বিরহ অনলশ্বাস, অঝর নয়ন, অমিয় মিশাল, হিয়া পরসাদ, মৌনী হয়ে রহে, সমুদ্র গম্ভীর, ভাবময় হৈলদেহ, হেমকিরনীয় পহু, ইত্যাদি। ইহা হইতে কবির শব্দচয়নক্ষমতা ও রচনা মাধুর্ঘ্য অনুভব করা যায়। “চৈতন্যমঙ্গলে” বহু শব্দস্বৈতের উদাহরণ পাওয়া যায়, কয়টা উদ্ধৃত করিলাম :- , “লহু লহু বোল, বেরিবেরি, গদগদ, আধ শাধ বোলু, চুলির চুলিয়, হলাহলি, কানাকানি, আনসানি, গরগর, ছলছল, ঢলঢল, লস লস আলসে, জয়জর, টলবল, ধৰূধকৃ, বানাযুন, ছয়স্থর, ধাওয়াধাই।* * * vල লোচনদাস । ك بيننا 零》 A. “ঐচৈতন্যমঙ্গলে কৃতকগুলি -4 ব্যবহৃত হইয়াছে, তাহার বানান ৪ গঠনে একটা প্রাচীন প্রাদেশিক ভাষার চিকু মুদ্রিত দেখা যায় – “বন্দেী, নিবের্দে, বাঢ়িল, খুঞি, হঙ, সৰ্ব্বথা, পাঞ, শুনিএ, নিকোঙ, ইথি, ইথে, সঙরণ, আউলায়, ধাএ, क्लिड जtथा, কগু, কোঙরে, ੇ, ঠাকুরাল, নিবড়িল, কথোদিন, হঞাছে, নিয়ড়, বহুরী, সোঙরণ, বৈল, তথি, কয়্য, বঙ্কিমনয়ান, বিনানিএগবাণী, কাকুবাণী, ফেলtঙ, দেও, বুরে, লেউটিলা প্রবন্ধ করিয়া কয়্য।” ইত্যাদি। কিন্তু ইহা অপেক্ষা ও • তাহার রচিত “ধামালী” ও পদাবলীতেই তাহার কবিত্ব ও প্রেমাভিষিক্ত হৃদয়ের সমধিক পরিচয় পাওয়া যায়। কবি যেন ভাবে ও প্রেমে তন্ময় হইয়া আত্মহারা হইয়াছেন। র্তাহার মনে হইয়াছে যে লীলাময়ের বিশ্বরূপ লীলামগুপে যেন কেবলমাত্র তিনি ও তাহার প্রাণেশ্বর ঐগৌরাঙ্গদেব। তিনি যেন চিরদাসী হইয়া" র্তাহারই চরণে মনপ্রাণ সমৰ্পণ করিয়া আছেড়া। তাই কখনও প্রিয়তমের রূপে মুগ্ধ, বিরহে আকুল, মিলনে আত্মহুরি, আবেগে উন্মত্ত,. অভিমানে অধীর ভূক্তিতে অর্জিও প্রেমে তন্ময় হইয়াছেন। মনবৃন্দাবনে এই মধুর রসধারা উচ্ছসিত হইয়া উঠিয়াছে। இ. அ. সৈ কবিত্ব কি সুন্দর " এই প্রেমপ্রবাহে, બફેં ভাবধারায়, কবিতার উৎস বলিয় তাহ ঐত মধুর। প্রেমের ভিতর দিয়া অসীমের ভব তাহার মনে ফুটিয়াছে বলিয়াই তাহা বিশ্ববিজয়িনী। বহুদিনের সাধনার ধন বলিয়া তাহা জামাদিগকে একেবারে অভিভূত করিয়া ফেলে।