ৰাদশ সংখ্যাY ] বড়দর্শী। , ৬২৯ कृ`अशुबन जाप्इ कि ना? ऋ* रना ििदशशुकाब जरुष्टबृश झुश अडिश*** হইয়াছে ইচ্ছাকৃত কাৰ্য মাত্রই, প্রয়োজনা-” পথ প্রদর্শন করাইয়াছেন। এবং তদ্বারা ভিলাষ সমুদ্ভূত সুতরাং দর্শনশাস্ত্র কর্থন ও প্রবণে, বক্তা শ্রোতা উভয়েরই প্রয়োজন আছে, ইহ অবশুই স্বীকার করিতে হইবে। তাই হইলে, ইহা দেখা উচিত; যে উক্ত বক্তা ও শ্ৰোতা উভয়ের মধ্যে, কাহার কি প্রকার প্রয়োজন অভিলতি ? * * কারুণিক মনুষ্যগণ সৰ্ব্বদা পরের দুঃখে, দুখানুভব করিয়া থাকেন। যখনই তাহার, মনে করিত্যুে পারেন, যে অন্তের দুঃখ বা দুঃখকারণ উপস্থিত হইয়াছে, তখনই সেই দুঃখ বা তৎকারণের, বিনাশোপায় সম্পাদনে প্রবৃত্ত হইয়া, স্বীয় দুঃখ প্রতীকারের চেষ্টা করিয়া থাকেন । এই জগতে আমরা চর্তুবিধ মনুষ্য দেখিতে পাই। কতক অজ্ঞান, কতক সন্দি, ফঁতক ভ্রান্ত ও কতক যথার্থ জ্ঞানী। যাহার যে বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান নাই তাহাকে সে বিষয়ে অজ্ঞান, যাহার যে বিষয়ে সংশয় আছে তাহাকে সে বিষয়ে সন্দুিগু, যিনি এক বস্তুকে তাহার বিপরীত ভাবে অর্থাৎ অন্ত বস্তু বলিয়া জানেন, তাহাকে সে বিষয়ে ভ্রান্ত, ভ্রমনিশ্চয়পূর্ণ, বা বিপর্যন্ত, এবং যিনি যে বিষয় প্রকৃতরূপে বিশেষভাবে জানেন, তাহাকে সে বিষয়ে যথার্থ জানী বা নিশ্চিতমতি বলা যায়। যাহারা যথার্থ জ্ঞানী তাহার উপদেশের পাত্র নহেন। প্রথমোক্ত ত্ৰিবিধ লোকই উপদেশের যোগ্য। কারণ তাহারা স্ব স্ব অজানাদি, প্রভাবে কর্তব্য পথ লুট হইবা খ সাগরে নিমগ্ন হইতে পারেন। আমাদের কারণিক-মহর্ষিগণ স্বসিৰাপ্তিত বিষয় উপদেশ দ্বার, উক্ত অজানাদি & আত্মমুখ এবং পরদুঃখজনিত নিজ নিজ কষ্ট • নিবারণে সমর্থ হইয়াছেন। সুতরাং দর্শনশাস্ত্র প্রণয়নের স্বতঃ প্রয়োজন, শল্পকর্তৃগণের স্বছঃখ নিবৃত্তি বা স্বমুখ সম্পাদন। এবং শ্রোতৃবর্গের দর্শনশাস্ত্র শ্রবণের স্বতঃ প্রয়োজন অজ্ঞানাদি জনিত স্ব স্ব দুঃখনিবৃত্তি' বা মুখসম্পাদন। এইক্ষণে ইহা সিদ্ধান্তিত হইল যে দর্শনশাস্ত্র কথনও শ্রবণের স্বতঃ প্রয়োজন, বা চরম ফল, দুঃখ নিবৃত্তি বা সুখ । দর্শনশাস্ত্র শ্রবণে কিরূপে আমাদের দুঃখ নিবৃত্তি বা মুখের কারণ হইতে পারে ? যুক্তি প্রদর্শন পূৰ্ব্বক এইক্ষণে এই বিষয়ের সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করা উচিত। তাহ না করিলে ‘দর্শনশাস্ত্রশ্ৰবণ সুখাদির কারণ” এই কথার উপর সাধারণের বিশ্বাস হইতে পারে না। বিশ্বাস না হইলে কেহই তাহ শুনিতেও প্রবৃত্ত হইবে না। সুতরাং শাস্ত্রশ্ৰবণের প্রয়োজন আছে, এই কথাতে সাধারণের বিশ্বাস উৎপাদনার্থ, যুক্তি প্রদর্শন আবশ্বক। অজ্ঞান, সংশয় ও মিথ্যাজ্ঞান আমাদের দুঃখের কারণ দর্শনশাস্ত্র শ্রবণ করিলে, তদীয় যুক্তি প্রভৃতি দ্বারা, আমাদের অঞ্জাত, সন্ধি ও বিপৰ্যন্ত অর্থাৎ মিথ্যাভাবে জ্ঞাত বিষয়ৈ যথার্থ জ্ঞান উৎপন্ন হয়, এবং তাহহইলেই আমাদের হুঃখকারণ অজ্ঞানাদি বিদুরিত হইয় পড়ে সুতরাং তখন কারণ ন থাকায় হুঃখ হইতে পারে না। বিশেষত ক্লোন কোন স্থলে যথার্থ জ্ঞান হইলে আমাদের মুখও হইয়া থাকে। দর্শনশাস্ত্র শ্রবণ করিলে, আমাদের অজ্ঞানাদিজনিত দুঃখ নিবারণ, বা
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।