\ురిe আদর্শন l , ৭ম বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৪ বিমল হমেদ হওয়ার সম্বন্ধে, যে সকল যুক্তি, দার্শনিকগণ কর্তৃক বর্ণিত হইয়াছে, भूङि* নিরূপণে তাহার বিশেষ আলোচনা করা যাইবে। এস্থলে তাহার বিস্তৃত বর্ণনা না করিয়া দর্শন শাস্ত্রের উৎপত্তি সম্বন্ধে কয়েকটি কথা বলাই আবশুক বোধ হয়। • আমাদের দেশে সম্প্রতি' যে সকল দর্শন শাস্ত্রগ্রন্থ প্রচলিত আঁছে, তাহার মত সকল বহু সহস্র বর্ষ পূৰ্ব্বে, সংক্ষিপ্ত ভাবে প্রকাশিত হইয়াছিল। প্রথমতই সে সমস্ত স্বত্রাকারে লিখিত হয় নাই। সে সমুদয়ের বিচার প্রণালী অত্যন্ত বিস্তৃত হইয়া পড়িলে, কণাদ প্রভৃতি মহর্ষিগণ তাহা স্বত্রাকারে গ্রথিত করিয়া শিষ্যবৰ্গকে শিক্ষা দিতে আরম্ভ করেন । যিনি যে দর্শনের মত সুত্রাকারে প্রকাশিত করিয়াছেন তিনিই সেই দর্শনের কর্তা বলিয় পরিচিত হইয়াছেন। আমাদের দেশে যে সমস্ত শাস্ত্র প্রচলিত আছে তন্মধ্যে দর্শনশাস্ত্র যুক্তিপ্রধান। যুক্তিত্বারা পদার্থ প্রতিপাদন করাই দর্শনশাস্ত্রের প্রধান লক্ষ্য। যে বিষয় যুক্তিসিদ্ধ নহে তাঙ্গ দার্শনিকগণ স্বীকার করেন না । বাহা জগতের তৃত্ব নির্ণয় আমাদের দর্শন শাস্ত্রের মুখ্য উদ্দেশু নহে। অন্তর্জগত্তৰ অৰ্থাৎ স্নাত্মতত্ত্ব নির্ণয় করাই তাহার মুখ্য উদ্দেশু। তাহার কারণ লম্ভবত এইরূপ হইতে পারে যে, দর্শন শাস্ত্রের রচনা সময়ে আমাদের দেশীয় সাধারণ লোকরাও বাহ জগৎ বা জড় জগত্তম্ব সম্বন্ধীয় সিদ্ধান্ত বিশেষ ভাবে অবগত ছিলেন। তাহদের ঐ সকল বিষয় জানিবার জন্ত তখন কোনরূপ সন্দেহই হইত না। অসন্ধি বিয়ে আমাদের শাস্ত্রকারগণ কুখনও কোনও উপবেশ প্রদান করেন না। যে বিষয় সৰ্ব্বজন cन' छछ' প্রসিদ্ধ, সেবিদ তাহার কোনরূপু উপ:ে প্রদান করিতে,ইচ্ছুক নহেন। বিশেষত সে সময়ে বাহ জগত্তৰ সাধারণ্যে বিশেষভাবে .পরিস্ফুট থাকিলেও, তারা অনন্ত মুখ বা অসীম দুঃখ নিবৃত্তির কোনরূপ সম্ভাবনা নাই,এই বিবেচনা কৰিয়া অসীম মুখ বা দুঃখ নিবৃত্তির উদ্দেশে তাহারা আত্মতত্ত্ব নির্ণয়ে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। আজকাল অনেকুেই বলিয়া থাকেন যে আমাদের দেশে জড় বিজ্ঞা নের চর্চা ছিল না, কিন্তু এই সিদ্ধান্ত ভ্ৰমপূর্ণ বলিয়াই আমার মনে হয়। কারণ যে দেশে অন্তর্জগত্তত্ত্ব সম্বন্ধে অতুলনীয় যুক্তি ও যোগশাস্ত্র প্রসিদ্ধ নানাবিধু কৌশলাদি এক সময়ে উদ্ভাবিত হইয়াছিল, সে দেশের লোক জড় জগত্তত্ত্ব নির্ণয়ে অসমর্থ ছিলেন ইহা বিশ্বাস করা যুক্তিসঙ্গত বলিয়া মনে হয় না। সংসার চক্রে গতি অনুসারে উন্নতির পর অবনতি এবং তৎপরে উন্নতি ও পুনঃ অবনতি। আমাদের দেশে জড়বিজ্ঞান উন্নতির চরম সীমায় আরোহণ করিয়া এইক্ষণ অবনতির মুখে পতিত হইয়াছে। কালে তাহার পুনঃ উল্লতি হওয়া বিচিত্র নহে। ফল কথা আমাদের আর্য্য মহর্ষিগণ জড়বিজ্ঞানকে ক্ষণিক মুখের কারণ বলিয়ু বিশেষ প্রতির চক্ষে দেখিতেন না। র্তাঙ্গর অধ্যাক্টবিজ্ঞানকে অতিশয় প্রতিপূর্ণ নেত্রে অবলোকন করিতেন। সম্ভবত সে জন্যই আধ্যাত্মিক তত্বের আলোচনাসময়ে, জড়বিজ্ঞানের চর্চ একবারে বিলুপ্ত হইয়াছিল। এবং সেই বিলোপবশতু অস্থাপি আমাদের দেশ জড় বিজ্ঞানানভিজ্ঞ ভাবে সময় যাপন করিতেছেন। অতএব আমার অধ্যাবিশি। ब्रन•भहर्षित्र' अफूखिोठन , चनछिख यििन
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।