.७७२ * ਬਾੈ । (4, ఊ, $8)శ : প্রত্যেক দর্শন সম্বন্ধীয়ু বিচারের সময়ে, সেই সকল ধর্শনের, স্বত্রাকারের লিখন সময়ের নিৰ্দ্ধারণ করিতে যথাসম্ভব যত্ন করিব। অস্তিক ও নাস্তৃিক ভেদে দর্শন দুইপ্রকার। যাহা বেদাঙ্কগর্ত তাছু আস্তিক এবং যাহা বেদের অস্থগত নহে তাহা নাস্তিক দর্শননামে পরিচিত। বৈশেষিক, ছায়, সাংখ্য, পাতঞ্জল, পুৰ্ব্ব মীমাংসা, উত্তরমীমাংসা বা বেদান্ত এই ছয়ট আস্তিক দুর্শন নামে প্রসিদ্ধ। মাধবাচার্য্যের সৰ্ব্বদর্শন সংগ্রহে পূর্ণপ্রজ্ঞ, রামানুজ, নকুলীশ, পাশুপত, শৈব, প্রত্যভিজ্ঞ, রসেশ্বর ও পাণিনি এই কয়টা দর্শনেরও উল্লেখ দেখা যায়। কিন্তু উক্ত সপ্তবিধ দর্শন,পুৰ্ব্বোক্ত বৈশেষিকাদি দর্শনেরই অন্তর্গত। পূর্ণপ্রজ্ঞ ও রামানুজ দর্শন উত্তর মীমাংসা বা বেষ্কাস্তের দ্বৈত ও বিশিষ্টাদ্বৈত মত সংস্থাপক, স্বতরাং তাহ বেদান্ত দর্শনে পরিগণিত। নকুলীশ,পাশুপত,শৈব, প্রত্যভিজ্ঞ ওরসেশ্বর এই চারিটি মাহেশ্বর দর্শন নামে প্রসিদ্ধ। নকুলীশ পাশুপত ও শৈব দর্শন ঈশ্বর ও সৎকাৰ্য্যবাদী হুতরাং এই দুইটি পাতঞ্চল দর্শনের অন্তর্গত। প্রত্যভিজ্ঞ ও রসেশ্বর, জীবোরের একত্ববাদী, অতএব এ ছটকে বেদান্তের অদ্বৈতবাদের প্রস্থানান্তর বলাইসঙ্গত। . পাণিনি দর্শন শব্দশাস্ত্র নামে প্রসিদ্ধ হইলেও, অদ্বৈতবাদ, সমর্থনই, তাহার মুখ্য উদেশু, সুতরাং ইহাকে বোস্তের অন্তর্গত বলাই উচিত। পুর্ণপ্রজ্ঞ প্রভৃঙি উক্ত সাতটি দর্শন, আত্মতত্ত্ব ও বেঙ্গপ্রামাণ্য সম্বন্ধে বৈশেষিকাদি আস্তিক দর্শনের অবিরুদ্ধবাদী। যখন প্রধান বিষয়ে তাঁহাদের ঐকমত্য পরিলক্ষিত হইতেছে, তখন উক্ত সাতটিকে আস্তিক দর্শনে পরিগণিত করাই কর্তব্য। , নাস্তিক দর্শন আপাতত তিনশ্রেণীতে বিভক্ত চাৰ্ব্বাক, বৌদ্ধ ও জৈন। কিন্তু বিশেষ বিবেচনা করিলে তাছাও ছন্নভাগুেবিভক্ত বলিয়া প্রতীত হইবে । কারণ, সোঁত্রাত্তিক, বৈভাষিক, মাধ্যমিক ও যোগাচার ভেদে বৌদ্ধ দর্শন চারিভাগে বিভক্ত। সুতরাং চারি বৌদ্ধ এবং চাৰ্ব্বক ও জৈন সমুদয়ে নাস্তিক দর্শন ছয়প্রকার । g 喙 আস্তিক ও নাস্তিক প্রত্যেৰ দর্শনই ছয়ভাগে বিভক্ত। কিন্তু বহুকাল হইতে আমাদের দেশে “ষড়দর্শন” এই শব্দ আস্তিক দর্শনেই প্রযুক্ত - হইতেছে । "ষড়দর্শন” বলিলেই আমরা বৈশেষিকাদি জাস্তিক ষড়দর্শনই বুঝিয়া থাকি । নাস্তিক “ষড়দর্শন” বুঝাইবার জন্ত আমরা এই ষড়দর্শন শূন্ধের ব্যবহার করি না। আমাক বোধ হয় আস্তিক ও নাস্তিক উভয়েই স্ব স্ব মত প্রবর্তক দর্শনকে "ষড়দর্শন” এই সাধারণ আখ্যা প্রদান করিতেন। অদ্বৈত ব্রহ্মসিদ্ধি গ্রন্থে সদানন্দ উভয় দর্শমেই, ধড়দর্শন শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন । কিন্তু আমাদের দেশে নাস্তিক দর্শনের বিশেষ সমাদর ও প্রচলন না থাকায়, আস্তিক দর্শনই.এই “ধড়দর্শন” নাম প্রাপ্ত হইয়াছে. আস্তিক দর্শনের মতে,জাত্মা নিত্য, নিরবয়ব। তাহার উৎপত্তি । ও বিনাশ নাই। নাস্তিকদিগের মধ্যে আত্মার সম্বন্ধে অতিশয় মতভেদ দৃষ্ট হয়। জৈন মতে অয়ি সাবয়ব ও নিত্য। বৌদ্ধ মতে আত্মা নিরক্ব ও অনিত্য। অর্থাৎ তাহার উৎপত্তি ও বিনাশ আছে'। জৈন ও বৌদ্ধ উভয় দতেই श्रांज्रांब्र छब्रांरुद्र चैौकृष्ठ इहेबांग्छ । •किड চাৰ্ব্বাৰগণ-আত্মার পুধর্জন্ম স্বীকার করেন * না । তাছার বলেন যেমন, নানাবিধ দ্রব্য
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।