g بيراً না । যতদিন পর্য্যন্ত দরিদ্র কৃষকদিগকে কল- কারখানায় নিয়োগ করিয়া তাহাদের অবস্থার উন্নতি করা না যায়, ততদিন তাহাদিগকে তাহাদের কাৰ্য্যের সময়ে অল্পস্বদে টাকা ধার দেওয়ার ব্যবস্থা কল্প উচিত। তাহাদিগকে প্রতি টাকায় অনুন এক আন স্বদে টাকা কৰ্ছ করিতে হয়। তাহারা অতি কষ্টে কোনপ্রকারে সুদ পরিশোধ করে, কিন্তু আসলের টাকা আর কিছুতেই শোধ হয় না প্রত্যেক গ্রামে কৃষিসমিতি স্থাপন করিয়া প্রজা • দিগকে অল্পমুদে টাকা ও বীজ বিতরণের ব্যবস্থা করা কর্তব্য। ২ পাটের সহিত ম্যালেরিয়ার কি সম্বন্ধ । পাটচাষের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগ এই যে, পাটের চাষে ম্যালেরিয়ায় দেশ ডুবিয়া যাইতেছে। পাটচাষের সহিত ম্যালেরিয়ার ঘনিষ্ঠতা আছে, কি না, তৎসম্বন্ধে অমুসন্ধান করিলে দেখা যায় যে, যে যে স্থলে পাট জন্মে, তাহার সকলস্থানে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব নাই। মৈমনসিংজেলার মধ্যে লামালপুর ও সরিষাবাড়ীতে, ঢাকার মধ্যে, বিক্রমপুরে, ফরিদপুরমধ্যে শিবচর ও পালং থানায়, ত্রিপুরার মধ্যে চাঁদপুরে সর্বাপেক্ষ অধিক পাটজন্মে, কিন্তু এই সকল স্থানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দৃষ্ট হয় না। রংপুরের মধ্যে গাইবান্ধীয় সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক পাট জন্মে, কিন্তু গাইবান্ধা ব্যতীত রংপুরের অষ্টান্ত স্থান ম্যালেরিয়ায় আচ্ছন্ন ৷ আসাম ম্যালেরিয়ার স্থায়ী আবাস। আসামের মধ্যে একমাত্র গোয়ালপাড়া-জেলাতেই অধিক পাট জন্মে, কিন্তু সেখানেও ম্যালেরিয়ার প্রস্থিতাৰ নাই। আমি . গোৱালপাড়ায় কখন যাই নাই, তবে পুৰ্ব্বদ ও আসাম গৰমেন্টের बन्नमर्जन। [ఖా శిశ, కాశీ, ల8 क्लशिंदिङां८*ांब बङ्घर्षैौ जङ्कांग्रैौ छहेि८ब्रड़ेब রার বাহাদুর ভূপালচক্ৰ ৰন্থ মহাশয় আমাকে বলিয়াছেন যে, গোয়ালপাড়া অতি স্বাস্থ্যকর স্থান । দ্বিতীয়ত যে যে স্থলে পাট জন্মে না, তাহারও বহুস্থল ম্যালেরিয়ায় আচ্ছন্ন। রাঢ়দেশে পাট জন্মে না, কিন্তু তথায় ম্যালেরিয়ার খুব প্রাচুর্ভাব। শাহাবাদজৈলায় খালের নিকটবৰ্ত্তী স্থানে এখন ম্যালেরিয়া প্রবেশ করিয়াছে। সেখানে কিন্তু পাটের হাওয়া পৰ্য্যন্ত পৌছে না। মতিহারিজেলার টেরাইয়েও (পাহাড়ের তলা) পাটের হাওয়া পৌঁছে না, কিন্তু এস্থানও ম্যালেরিয়ায় আচ্ছন্ন। এইরূপ অবস্থায় পাটের স্বন্ধে ম্যালেরিয়ার দোষা-- রোপ করা সঙ্গত হইতে পারে না । যে স্থলে জলনিকাশের ব্যবস্থা নাই কিংবা যে স্থল জঙ্গলাদিতে আচ্ছন্ন থাকায় তথাকার ভূমি শীঘ্র ঙ্ক হয় না, সেই সেই স্থলেই সাধারণত ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। রেলওয়ে এবং জলসেচনের খাল প্রস্তুত করায় অনেকস্থলের জলনিকাশের স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ হওয়ায় তখীয় এখন ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব হইয়াছে বলিয়া অনুমান করা যায়। ৪-৫ বৎসর পুৰ্ব্বে কলিকাতার লোক বৰ্দ্ধমানে স্বাস্থ্যলাভ করিতে যাইত। এক্ষণে ম্যালেরিয়ার ভয়ে বর্তমানে । কৈছ পদার্পণ করিতে চায় না । তবে ইহা অবগুই স্বীকার করি যে, পাট-পচানোয়ু কোন কোন স্থানের পানীয়জল অব্যবহার্ষ্য হয় । তজ্জন্ত পেটের পীড়া, অগ্নিমন্দ্যি প্রভৃতি রোগ জন্মিতে . পারে। এরূপস্থলে পুষ্কबिगै व इन ,भनन कबिंबा गानीव्रजनन ব্যবস্থা করা যাইতে পারে। মূলকথা, অগ্রে অল্পচিস্তার ব্যবস্থা, পরে স্বাস্থ্যলাভ i
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।