কবিতাসম্বন্ধে দুইচারিটি কথা । * অদ্য আপনাদের নিকট কবিতাসম্বন্ধে কয়েকটি 尊 কথা নিবেদন করিতে সাহসী হইতেছি। আমার দুঃসাহস, সন্দেহ নাই—কারণ, বক্ষ্যমাণবিষয়-সম্বন্ধে বলিবার অধিকার যথার্থ কাব্যৰসগ্ৰাহী ভিন্ন আৰু কাহাৰও হইতে পারে না । যথার্থ কাব্যরসসম্ভোগ 'আলার কেবলभोज खेलाब नििर्डक नौशश्नमग्न गाक्लिब পক্ষেই সস্তবে । আমি অযোগ্য হইলে ও আপনাদের সহৃদয়তা এবং সহিষ্ণুতায় আশ্বস্ত হইয়া দুইচারিটি কথা নিবেদন করিতে উদ্যত হইয়াছি। আশা আছে, আমার ক্রটি মার্জন করিয়া প্রবন্ধের কথিত বিষয়টিকে আঁমি যেভাবে বলিতে চেষ্টা করিব;আপনার আপনাদের সহানুভূতি দিয়া সেইভাবে গ্রহণ করিবেন। হয় ত আমার অযোগ্যতাবশত আমার বক্তব্য ভালরূপে বুঝাইতে সক্ষম হইব না, সেই ভয়ে এ কথা বলিতেছি । কবিতাসম্বন্ধে আমি কি বিষয়ে • বলিতে চাই,তাহার একটা আভাস এস্থলে দেওয়া আবগুক মনে করিতেছি । আমি ভাষা, ছন্ম, অলঙ্কার ইত্যাদি যাহা লইয়া কবিতার বিশ্ববিমোহিনী মূৰ্ত্তি গঠিত হয়, সে বিষয়ে আলোচনা করিব না । কবিতার প্রাণস্বরূপ যে অন্তরতম ভাব—যালু সৰ্ব্বদেশের সর্ববকালের যথার্থ কবিদিগের রচনায় মানৰভাষার দারিদ্র্যবন্ধন ছিন্ন করি আপনার শুভ্ৰ জ্যোতিতে আপনি বিভাসিত হইয়া উঠে, যাহা বিশ্বের পুরাতন সত্যগুলিকে প্রত্যহ নবীন নবীন মূৰ্ত্তিতে মানবনয়নের সম্মুখে ধারণ করিয়া প্রকৃতির সহিত মানবহৃদয়ের অচ্ছেদ্য নিবিড়সম্বন্ধ প্রত্যক্ষ করাষ্টয়া দেয়—সেই অন্তরতম ভাব আমার পঠিত কোন কেৰু কবির রচনায় আমি কি ভাবে উপলব্ধি করিয়াছি, তাহারই সম্বন্ধে এই প্রবন্ধে আলোচনা · করিব । go যাহার নাম করিতে হইলে দীর্ঘ ভূমিকার আশ্ৰয় লক্টতে হয় না, সেই বাংলার কবি শ্রদ্ধাস্পদ বীন্দ্রনাথের রচনা অবলম্বন করিয়া পূৰ্ব্বোক্ত বিষয়ের অবতারণা করিব। তাহার কাব্যগ্রন্থাবলীর ১৩১০ সালে যে নূতন সংস্করণ • প্রকাশিত হইয়াছে, সম্পাদক ৮মোহিতচন্দ্র র্সেন মহাশয় ਣੀਾਂ ভূমিকায় একস্থলে লিথিয়াছেন -“যে কবিতা অনিৰ্ব্বচনীয়তায় সঙ্গীতের যত সদৃশ, এবং যে কবিতায় পাঠক মানবজীবনের প্রসার যত অধিক অনুভব করেন, তাহা- শ্রেষ্ঠ” । পুনশ্চ— “যিনি জীবনের একটি সামান্ততম সত্যকে 55 .পরিস্ফুট ও সুন্দর করিয়া তুলিতে পারেন, তিনি কবি,–কিন্তু উচ্চতর কবি, তিনি, যাহার কবিতায় সমগ্র মানবজীবনের সুগম্ভীর বিজয়গীতি শ্রদ্ধত হয়” । অতি সত্য কথা ! রবীন্দ্রনাথ শুদ্ধ কবি নহেন, তিনি শ্রেষ্ঠকবি।
- ভাগলপুর শাখা সাহিত্যপরিষদে গন্ত জগ্রহায়ণমালে পঠিত । ཨཱརྨ་ পন্ধিৰস্থিত ।
8