দ্বিতীয় সংখ্যা। ] . কবিতাসম্বন্ধে দুইচারিটি কথা । గిని - ফুটাইল এ বিপুল রহস্তের ক্রোড়ে সৌন্দর্য্যের উপাসনার চরমফল .আমরা অৰ্দ্ধরাত্রে মহারণ্যে মুকুলের মত ? কবির অতুলনীয় রচনা-নৈবেপ্তে”দেখিতে পাই। তবু ত প্রভাতে শির করিয়া উন্নত আজন্ম সাধনাদ্বারা ভাব ও ভাষার যে অমল যখনি নয়ন মেলি’ নিরখিকু ধরা কনককিরণগাথা" নীলাম্বর-পর, নিরথিতু সুখে-দুঃখে খচিত সংসার, তখন অজ্ঞাত এই রহস্ত অপার নিমেষেই মনে হোলো মাতৃবক্ষসম নিত স্তই পরিচিত একান্তষ্ট মম ! রূপহীন, জ্ঞানাতীত ভীষণ শকতি ধরেছে আমার কাছে জননীমুরভি । মৃত্যু ও অজ্ঞাত মোর ! অল্পজ তার তরে ক্ষণে ক্ষণে শিহরিয়া কঁাপিতেছি ডরে । ওরে মূঢ় জীবন সংসার কে করিয়া রেখেছিল এত আপনার জনমমুহূৰ্ত্ত হ'তে তোম্বার অজ্ঞাতে, তোমার ইচ্ছার পূৰ্ব্বে ? মৃত্যুর প্রভাতে সেই অচেনার মুখ হেরিবি আবার মুহূৰ্ত্তে চেনার মত ! 娜 豪 事 স্তন হ’তে তুলে নিলে কাদে শিশু ডরে মুহূর্তে আশ্বাস পায় গিয়ে স্তনাস্তরে !" * ধবল কুন্দণ্ডত্র উপকরণ কবি সংগ্ৰহ করিয়াছেন, হৃদয়শোণিতর্জিত সেই শ্রেষ্ঠ উপকরণ দ্বারা গঠিত “নৈবেদ্য” লইয়া তাহার' জীবননাথের সম্মুখে দাড়াইয়াছেন। এই পবিত্র দৃষ্ঠের সম্মুখে গড়াইয়া আমাদের বিদ্রোহোদ্ধত শির আপনি অবনত হইয়া আইসে। সন্ত্রমনমস্বরে বলিতে ইচ্ছা হয় – “ভক্ত করিছে প্রভুর চরণে জীবন সমর্পণ • ওরে দীন তুই জোড়কর করি কর্তাহ দরশন। ঐ যে আলোক পড়েছে তাহার উদার ললাটদেশে সেথা হ’তে তার একটি রশ্মি পড়ুক মাথায় এসে। . . শাস্ত কর রে মন ভক্ত করিছে প্রভুর চরণে জীবন সমর্পণ ।” কবির রচনার ভিতর দিয়া ইতিপূৰ্ব্বে সক্ষেপত যে ইতিহাস দেখাইতে অক্ষমপ্রয়াস করিয়াছি, রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং তাহার জীবনের সেই ইতিহাস এই অমর কবিতার মধ্যে স্পষ্টাক্ষরে বলিয়াছেন । তাহার জীবনস্বামীকে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন— মরণকে এত সহজভাবে, এত সুন্দরভাবে— / “নির্জন শয়নমাঝে কালি রাত্রিবেলা জীবনেরি পরিণতিরূপে ভারতবর্ষ বহুপুরাতন• ভাবিতেছিলাম আমি বসিয়া একেলা · যুগ হইতে দেখিয়া আদিতেছে। ইহাই ভারতবর্ষের বিশাল সাধনার শ্রেষ্ঠ ফলগুলির অন্যতম। কিন্তু হায়, আজ কতগুলি ভাগ্যবান ভারউসস্তান মরণকে এইভাবে দেখিতে সক্ষম হন ? গত জীবনের কত কথা । হেন ক্ষণে শুনিলাম, তুমি কহিতেছ মোর মনে – ওরে মত্ত, ওরে মুখ, ওঁরে আত্মভোল, রেখেছিলি আপনার সবখার খোলা, .
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।