ఫ్రీ ఆ a यश्रदिएछठी } সরল বিস্মিত হইল। অন্য কেহ হইলে ভাবিত কমল মিথ্যা কথা কহিতেছে। কিন্তু সরলার মনে সে ভাব উদয় হয় নাই। র্যাহাকে জ্যেষ্ঠার মত ভাল বাসিত, তিনি যে মিথ্যা কথা কহিতেছেন, এরূপ বিশ্বাস সরলার হৃদয়ে কখন উদয় হয় নাই ; অথচ জীবনের সমস্ত কথা ভুলিয়া গিয়াছেন, ইহাও বিশ্বাস করা সহজ নহে ; সরল। সত্য সত্যই ভাবিলেন কমলার জীবন কোন মন্ত্রজালে জড়িত, হতভাগিণী কোন ভীষণ শাপে অভিশপ্ত । __ . __ কমলা ক্ষণিক পর বলিতে লাগিলেন, “আমার কেবল এইমাত্র স্মরণ আছে যে, কিছুদিন সংজ্ঞাশুন্য হইয়াছিলাম, হৃদয়ে অতিশয় বেদন বোধ করিয়াছিলাম, যাতনায় অস্থির হইয়াছিলাম। সেই পীড়ার সময় স্বপ্নে একটী দেবমূৰ্ত্তি দেখিতাম। বোধ হইত যেন অপরিসীম নীল আকাশের মধ্যে চন্দ্র করোজ্জল একটী ক্ষুদ্র অতি শুভ্র মেঘখণ্ডে সেই দেবমুৰ্ত্তি বসিয়া রহিয়াছেন। একবার বোধ করিতাম, তিনি ইন্দ্রদেব, কিন্তু তাহার গলায় যজ্ঞোপবীত, হস্তে নৌকার দাড়, সেই দাড় দিয়া যেন সেই মেঘখ নিকে গগনসাগরের মধ্যে সঞ্চালন করিতেছেন। মহাদেবের হস্তে ত্রিশূল থাকে, নারায়ণের হস্তে শঙ্খচক্ৰগদাপদ্ম থাকে, দাড় কোন দেবের হস্তে থাকে আমি জানি ন! –আশ্রমবাসী কেহ আমাকে বলিতে পারেন না। যাহা হউক, সেই ভীষণ পীড়া হইতে যখন আমি আরোগ্য লাভ করিলাম, লোকে বলিল, আমি বিধবা হুইয়াছি । কিন্তু তখন আর পূৰ্ব্বকথা কিছুমাত্র মনে ছিল না,—স্বামীর কথা কিছুমাত্র মনে ছিল না, বৈধব্য-যাতনাও কিছুমাত্র বোধ করি নাই ।” সরল অধিকতম বিস্মিত হইল,—সে অপরূপ কথা শুনিয়া যেন কিছু ভয়েরও সঞ্চার হইল। আশ্রমবাসিগণ উপহাস করিয়া কমলাকে “ বনদেবী * বলিত, তাহার কথাবার্তা শুনিয়া সরলার যেন যথার্থই বোধ হইতে লাগিল, তিনি মানুষী নহেন, কোন দেবী হইবেন । অতিশয় শোকে যে স্মরণশক্তি এতদুর বিনাশ হয়, তাহ সরল অনুভব করিক্তে পারিত না । ক্ষণেক পর সরল পুনরায় জিজ্ঞাসা করিল—
- তাহার পর এ আশ্রমে আসিলে কি প্রকারে ?”—কমল উত্তর করিলেন, “ যখন আমি ঘোরতর পীড়া সহ্য করিতেছিলাম, তখন সকল লোকেই স্থির করিয়াছিল যে, আমি আর বঁাচিব না। পিতা চন্দ্রশেখর সেই সময়ে তীর্থপৰ্য্যটন করিতে করিতে সেই স্থানে উপস্থিত হয়েন । পিতার দয়ার শরীর, তিনিই আমাকে যত্ব করিতে লাগিলেন । সে স্থানে আমার জ্ঞাতি