3०२ বঙ্গবিজেতা।
- ইতিমধ্যে পশ্চাৎ হইতে একজন লোৰ্ক আসিয়া সরলার চক্ষু চাপিয়া ধরিয়া বলিল, “ কে বল দেখি ?” 輕
সয়ল সে স্বয় চিনিত, কিন্তু হঠাৎ মনে পড়িল না, একে একে আশ্রমবাসিনী সঙ্গিনীদিগের নাম করিতে লাগিল ।
- নিস্তারিণী ”—চক্ষু হইতে হস্ত উঠিল মা, “ মনোমোহিনী ”—তথাপি হস্ত উঠিল না, “ যোগেন্দ্রমোহিনী ”—তবু হইল না, * তার ”— * তোর মাথা,—আমাকে ইহার মধ্যেই ভুলেছিস্,--তবু এখনও বিবাহ হয় নাই, না জানি বিবাহের জল গায়ে লাগিলে কি হইবে "~~ ইত্যাদি বলিতে বলিতে সরলার প্রির সই অমল সন্মুখে আসিয়া দঁাড়াইল ।
সরলার বিস্ময়ের সীমা থাকিল না—“ মই ?" " এখানে ?” “ কবে অসিলে ?”—আর মুখ দিয়া কথা সরিল না । সরলার বিস্ময় ক্ষণকালস্থায়ীমাত্র,— অনেকদিন পরে দুঃখের সময় প্রাণের সইকে পাইয়া সরলার হৃদয় আনন্দে প্লাবিত হইল, সে অপার আনন্দ হৃদয়ে স্থান পাইল না, উখলিয়। পড়িতে লাগিল । বাষ্পপরিপূর্ণলোচনে সরলা অমলাকে আলিঙ্গন করিয়া তাহার বক্ষে আপন মুখ লুকাইল। অমলাও যখন অনেকদিন পরে সেই প্রেমপুত্তলীটকে হৃদয়ে স্থান দিল, তখন তাহার চক্ষু নিতান্ত শুষ্ক ছিল মা । ক্ষণেক পর অমল বলিল, “ এই দুই প্রহর রাত্রিতে এই অন্ধকারে এখানে বসিয়া আছ ? আমি যে তোমার জন্য আশ্রমে কত অন্বেষণ করিয়াছি বলিতে পারি মা ।” সর । " এখানে কমলার সহিত আসিয়াছি, কথায় কথায় রাত্রি অধিক হইয়াছে। সই তুমি আদ্য আসিলে ?” অম । “ ইঁ আমি আজই আসিয়াছি, তোমাকে দেখিবার জন্য কতদিন আসিব আসিব মনে করি, ত৷ ‘ বৃদ্ধস্বামী’ কি আমাকে ছাড়ে ? আজ কত করিয়া তবে আসিলাম। তুমি আশ্রমে নূতন নুতন বন্ধু পাইয়া তোমার পুরাতন সইকে ভুলে যাও নাই ত?” সর । “ না সই, আমি রাত্রিদিন তোমার কথাই চিত্ত করি, আর সেই ”—সরলা হঠাৎ নিস্তব্ধ হইয়া মুখ অবনত করিল। তীক্ষবুদ্ধি অমলার মনে সন্দেহ হইল,—লরলার মুখের দিকে স্থিরদৃষ্টি বরিয়া তাহার মান ও প্রফুল্লতাশূন্য মুখমণ্ডল ও কোটরপ্রবিষ্ট নয়ন দুইটা