বৃঙ্গবিজেতা I 3.49 { দেখিয়| অমলার সন্দেহ গাঢ় হইল'। ধীরে ধীরে সরলাকে জিজ্ঞাসা করিল— “ দিনরাত্রি আর কাহার চিন্তা কর সই ?” সরল মুখ অবনত করিয়া রহিল,—অমলা নিশ্চয় জানিল, কোরকে কীট প্রবেশ করিয়াছে। অমলার মুখ গম্ভীর হইল,—পুনরায় জিজ্ঞাসা করিল— - - “ছি ! সইয়ের নিকট তুমি আবার কথা লুকাইতেছ,—তবে বুঝি আমাকে ভালবাস না ?” সর । “হা, সই, ভালবাসি।” অম । * তবে বল কোনূ পুরুষের চিত্ত দিনরাত্রি তোমার হৃদয়ে জাগরিত রহিয়াছে ?” সরলা আবার নিস্তব্ধ হইল । অমলার নিকট কখনও কোন কথা লুকায় নাই, লুকাইতে পারেও না, অথচ সে প্রিয় নামট মুখে আসিয়াও বহির্গত হইতেছে না । লজ্জায় সরলার মুখ রুদ্ধ হইয়াছে। " সরলার অস্তরে যে যাতনা হইতেছিল, অমলা তাহ বুঝিল । বুঝিয়া পুনরায় জিজ্ঞাসা করিল,—
- আচ্ছা, তাহাকে কি আমি চিনি ?” সরল অতি মৃদ্ধ অপরিস্ফুটস্বরে বলিল, “ ছ।” , * অমলা মুহূৰ্ত্তমাত্র চিত্ত করিয়া বলিল, “ তবে ইন্দ্রনাথ ?” এবার স্বরলাকে আর উত্তর করিতে হইল না । সে প্রির নামটী শুনিয়া সরল শিহরিয়া উঠিল । অমল বুঝিল, ঠিক অনুভব করিয়াছি ।
অমলা নিস্তব্ধ হইয়া ক্ষণেক চিত্ত করিতে লাগিল। পৃথিবীর মধ্যে এরূপ একজন লোক ছিল না, যাহাকে অমলা সরলা অপেক্ষা ভালবাসিত,-- সেই সরল। আজ অপায় প্রেমসাগরে ভাসিতেছে। সে সাগরের কি কুল আছে ? যদি থাকে, বালিকা কি সে কূল প্রাপ্ত হইতে পারিবে ? অমল। মনে মনে বলিল, “ বিধাতঃ, আমি আপনার জন্ত কোন ভিক্ষ চাহি না,— তুমি এই বালিকার প্রতি সদয় হও, আমার প্রাণের সইকে রক্ষা কর।” ক্ষণেক পর অমল চিন্তাবেগ সস্বরণ ও আপন নৈসর্গিক প্রফুল্লত। ' ধারণ করিয়া . সরলাকে সাস্তুনা করিতে লাগিল । বলিল—“ তা চিন্তা কি জন্ত ? শুনিয়াছি ইন্দ্রনাথ পশ্চিমে গিয়াছেন । তথা হইতে বোধ হয় শীঘ্রই আদিবেন। তোমার মাতাও বোধ হয় এ বিবাহে অসন্মত হইবেন ন}, তুরি ইন্দ্রনাথ একটু পাগলের মত হউক, ছেলে ভাল। তোমার মনের কথা ইন্দ্রনাথ জানেন ?” - . . "