বঙ্গবিজেতা । سان يخ রোদন করিবে এরূপ সময়ও কত অল্প ; হতভাগার দুঃখকথা কে শ্রবণ করিবে? ধনীগণ ধনমদে মত্ত, বিলাসীগণ বিলাসে সংজ্ঞাহীন, কুল-মৰ্য্যাদাগৰ্ব্বী লোক ন}চদিগের সহিত কথা কহেন না,–জগতে সকলেই ধনমানলাভাদি নিজ নিজ অভিপ্রায়ে ব্যতিব্যস্ত । দুঃখীলোক কাহার কাছে রোদন করিবে, হন্তভাগার দুঃখকখ। কে শ্রবণ করিবে ? তিন জনে যাইতে য{ঠতে পথে মহাশ্বে তার সহিত দেখা হইল। তিনি নদীতীরে শিবপ্রতিম। পূজা করিয়া আশ্রমাভিমুখে যাইতেছিলেন । কমলাকে কিছুদূর হইতে দেখিয়া বণিলেন— “ কে ও কমল ? এস ম আশ্রমে যাই ; এই অন্ধকারে ঝড়ের সময় কি তোমার বনে বনে বিচরণ করিবার উপযুক্ত সময় ? অার ও দুইটী বালক কে ?” কমলা উত্তর করিলেন, “ ও দুইট নিরশ্রয় বালক নৌকা লইয়। যাইতেছিল, এরূপ সময়ে ঝড় উঠিল, সুতরাং আজ আমাদের আশ্রমে অতিথি হইবে । ” BB S S BBB S BBBB BBB BB BBS BB BB BB BBB BBB S BB BBBB BBBB BBB BBB BBB BBSBBS BB BSBB D তুমি আপনি যেমন বনদেবী তাহাকেও তাই করিলে । বাছ। রুদ্রপুরে অমলাকে যেমন ভালবাসিত এখানে তোমাকে সেই রূপই ভালবাসে । কিন্তু এখনও অমলাকে ভুলে নাই, তাহার জন্য দিনরাত্রি র্কাদে। এ জগতে বিপদ কালে কয় জন বন্ধু হয় ? যাহারা হয় তাহাদিগকে কি কেহ কখন ভুলিতে পারে?” সরলার দিব রাত্রি ক্ৰন্দনের অন্য কারণ ছিল, তাহ কমলা জানিতেন, তথাপি মহাশ্বেতার সম্মুখে তাহা বলিলেন না। তিনি উত্তর করিলেন,— “ ইঁ, সরল এক্ষণও অমলাকে বড় ভালবাসে, তামলার সঙ্গে আশ্রমভিমুখে গিয়াছে।” “ তার বনদেবীর বুঝি এক্ষণও আশ্রমাভিমুখে যাইবার সময় হয় নাই, এখণও বনে বনে বিচরণ করিতেছেন,"—এই বলিয়। শিখণ্ডিবাহন সম্মুখে আসিলেন । কমল কিঞ্চিৎ লজ্জিত হইলেন ; বলিলেন, “ শিখণ্ডিবাহন ! তুমি এই রাত্রিতে আশ্রম হইতে কোথায় যাইতেছ ?” শিথ । “ পিতা চন্দ্রশেখর আমাকে আপনার অন্বেষণে পঠাইয়। দিমাছিলেন, সেইজন্য আমি বন ডিমুখে যাইতেছিলাম, বনদেবীকে
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।