পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্গৰিজেজু | 'ు সুরেন্দ্রনাথকে দয়াধর্থে দাতাকর্ণ বলিত, বলবিক্রমে ভীমাবতার বলিত । বাল্যকালেই রাজা সমরসিংহের নিকট যুদ্ধবার্তা শুনিতে ভাল বাদিত, শুনিতে শুনিতে বালকের মুখ গম্ভীর হই ত, নয়নদ্বয় তেজে অগ্নিবৎ প্রজ্জ্বলিভ হইত, শিশু সময়সিংহের খড়গ ধারণ করিত ও যুদ্ধে যাইব বলয় প্রতিজ্ঞা করি ত ; রাজা সমরসিংহ অশ্রুপূর্ণলোচনে বালককে চুম্বন করিতেন। বাল্যকালেই তাহাকে রাজা সমরসিংহ যুদ্ধক্ষেত্রে লইয়। যাইতেন। রাজা সৰ্ব্বদাই বলিতেন, ‘ পাঠানের যথার্থই বাঙ্গালাদিগকে ভীরু বলিয়া ভৎসনা করে, কিন্তু সেই বাঙ্গালীর মধ্যেও মধ্যে মধ্যে বীরপুরুষ জন্মগ্রহণ করিয়াছেন । সুরেন্দ্রনাথ আমি মরিলে তুই আমার তরবারি লইবি, তোর হস্তে এ থড্ৰেগর অপমান হইবে না।’ তাজি সে বালক , কোথায় ! বিধাতঃ এক্ষণে আর কে আছে যাহার মুখ চাহিয়া আমি সুরেন্দ্রনাথের বিচ্ছেদ সহ করিব।” צו বৃদ্ধ পুনরায় ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন । চন্দ্রশেখর শোকাৰ্ত্ত হইয়৷ জিজ্ঞাসা করিলেন,— “ সুরেন্দ্রনাথের কোন অমঙ্গল সমাচার শ্রবণ করিয়াছেন । ” নগেন্দ্রনাথ উত্তর করিলেন, “ তাহাঁ যদি শ্রবণ করিতাম, তাহা হইলে আর এতক্ষণ জীবিত থাকিতাম না, সেইক্ষণেই জীবন ত্যাগ করিতাম।” - চন্দ্র । * তবে এত চিন্তিত হইতেছেন কেন ? সুরেন্দ্রনাথ কিছুদিনের জন্য বিদেশে গিয়াছেন, ঈশ্বর-ইচ্ছার অবশ্যই কুশলে প্রত্যাবর্তন করিবেন ।” নগে । * আশীৰ্ব্বাদ করুন যেন তাহাই হয়। কিন্তু আমি কল্য রাত্রিযোগে অতিশয় কুস্বপ্ন দেখিয়াছি, সেই জন্যই ব্যাকুল হইয়াছি,-সেই জন্যই আপনার নিকট আসিয়াছি । বোধ হইল যেন ভীষণ সেনারাশির মধ্যে আমার পুত্রকে দেথিলাম, যেন যুদ্ধের ভীষণ কোলাহলে উন্মত্ত হইয়া আমার পুত্র শ্বেত অশ্বে আরোহণ করিয়া সাগর-তরঙ্গের ফেনচুড়ের ন্যার সেনা-ভরঙ্গের সর্বাগ্রে ধাবিত হইতেছে । আহা ! বৎস অল্প বয়স হইতেই যুদ্ধে যাইয়া যশোলাভ করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিত, কিন্তু এখনকার ভীষণ মোগল পাঠানদিগের যুদ্ধে যদি লিপ্ত হইয়া থাকে, তবে কি আর তাহাকে ফিরিয়া পাইব ? মুনিশ্রেষ্ঠ ! এ স্বপ্নের অর্থ করিয়া দেন, যদি কোন অমঙ্গল যটিয়া থাকে তবে আমি এইক্ষণেই প্রাণত্যাগ করিব।” • চন্দ্রশেথর বলিলেন, “শাস্ত হউন" বলিয়া ক্ষণেক ধ্যান করিতে লাগিলেন। কুটীরের সকলেই নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন । সরল প্রিয় সইয়ের