বঙ্গবিজেত{ } 3 > 敬 “ যখন আমার সুরেন্দ্রনাথের বয়ঃক্রম দ্বাদশ বর্ষ, তখন আমি সপুত্রে রাজ- সমরসিংহের সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছিলাম ! আপনি জানেন রাজা সমরসিংহ আমাকে কনিষ্ঠ ভ্রাতার মত ভালবাসিতেন ; আমাকে অতিশয় সম্মানপুরঃসর আলিঙ্গন করিতেন । আমরা দুইজনে কথা কহিতেছি আমাদের পাশ্বে সুরেন্দ্রনাথ তার সমরসিংহের একটী দুহিতা ক্রীড়া করিতেছিল। ক্রীড়াচ্ছলে সেই দুহিতা একটা পুষ্পমাল্য লইয়া সুরেন্দ্রনাথের BBB BBBB BBS BBBS BBBB KBBBS BB BBBBSBBB এই কাৰ্য্যটা দেখিয আনন্দ তাহার চক্ষুতে জল আসিল । আমাকে বলিলেন, ‘ নগেন্দ্রনাথ, অনেক রাজপুত্রের সহিত আমার এই কন্যার সম্বন্ধ হইতেছে ; কিন্তু কুন্ত যাহাকে আপনি বরণ করিয়াছে তাহারই সহিত আমি উহার বিবাহ দিব ! তোমার পুত্ৰেয় সহিত আমার একমাত্র দুহিতার বিবাহ হইবে। আমার আনন্দের পরিসীমা রহিল না । বঙ্গচূড়ামণি রাজা সমরসিংহ আপনি একমাত্র দুহিতাকে যে এই অকিঞ্চিৎকর • জমীদারের পুত্রের হস্তে অৰ্পণ করিকেন, তাহ আমার স্বপ্নেরও অগোচর } সেইদিনই আমরা শপথ করিয়া অঙ্গীকারে বদ্ধ হইলাম,—সে শপথ আমি ভঙ্গ করিয়াছি ।” মহাশ্বেত অব গুণ্ঠনের ভিতর হইতে তীক্ষ সকোপ কটাক্ষপাত করিতেছিলেন, তাহার শরীর কণ্টকিত হইতেছিল । তিনি নগেন্দ্রনাথের মুখে এই কথা শুনিবার জন্যই সেদিন আসিয়া তথায় বসিয়াছিলেন । নগেন্দ্রনাথ আবার বলিতে লাগিলেন,– “আমি সে তাঙ্গীকার ভঙ্গ করিয়াছি । সমরসিংহের মৃত্যুর পর আমি নিরাশ্রয় বিধবার কন্যার সহিষ্ঠ আমার পুত্রের বিবাহ দিতে অসম্মত হইলাম । তখন আমি অন্য সমৃদ্ধিশালিনী পাত্রী স্থির করিতে লাগিলাম। অবশেযে এক উপযুক্ত পাত্রী পাইলাম। কিন্তু যদিও আমি অঙ্গীকারভঙ্গে তৎপর হইরাছিলাম, আমার ধৰ্ম্মপরায়ণ পুত্র তাহাতে অসম্মত হইল । একদিন আমাকে বলিল, “পিতা, তুমি আপনার কোন কথায় অবাধ্য হইতে পারি না, কিন্তু একটী বিষয়ে আমাকে ক্ষমা করিবেন, আপনি রাজা সমৱসিংহের নিকট যে অঙ্গীকার ” করিয়াছিলেন তাহা ভঙ্গ করিতে দিব না ? এই যথার্থ কথায় আমি রুষ্ট হইলাম, তৎক্ষণাৎ নুন্তন পত্রীর সহিত বিবাহের দিন স্থিয় করিলাম, বলপূৰ্ব্বক তাহার সহিত সুরেন্দ্রনাথের বিবাহ দিবার উপক্রম করিলাম। কিন্তু তুমির পুত্রের কথাই রহিল ধৰ্ম্মের জয় হইল,-আমার পুত্ৰ গোপনে গৃহত্যাগ করিয়া পলায়ন করিল,—বাছাকে সেই অবধি আর দেখি নাই ।”
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।