বঙ্গবিজেতা ৷ à 3 4 মস্থা । *প্রথম কারণ অামার ব্রতভক্ষ কখনই করিব না ; কিন্তু তাহা অপেক্ষাও গুরুতর কারণ আছে ।” শিখ । “ সে কি ?” মহা । " পরের নিকট অনুগ্রহ গ্ৰহণ করা আমার স্বামীর রীতি ছিল না । তিনি অপরকে অনুগ্রহ বিতরণ করিতেন, কাহারও নিকট গ্রহণ করিতেন না । তাহার বিধবা নিরাশ্রয় হইয়াও সেই রীতি পালন করিবে । শিখ । “আমি আপনার কথা বুঝিতেছি না, স্পষ্ট করিয়া বলুন ।” মহা । “আমি নিরাশ্রয় বিধবা,—নগেন্দ্রনাথ আমার প্রতি অনুগ্রহ করিয়া, দয়া প্রকাশ করিয়৷ তামার কন্যার সহিত আপন পুত্রের বিবাহ দিবেন, ইহা অামি মরিলেও সহ্য করিব না । লোকে তামার কনার প্রতি তাঙ্গুলি নিদর্শন করিয়া বলিবে, ইহার মাতা স্থত। কাটিয়া খাইত, নগেন্দ্রনাথ অনুগ্রহ করিয়া ইহার সহিত আপন পুত্রের বিবাহ দিয়াছেন। আমি মরিলেও একথা সহ্য করিব না। শিখণ্ডিবাহন ! মানিনী মৃত্যুভয় করে - না, কিন্তু পরের নিকট দয়া বা অনুগ্রহ গ্রহণ করিতে ভয় করে ।” শিখণ্ডিবtহন অবাকৃ হইয়া রহিলেন, বলিলেন—“ তবে আপনি আমাকে নগেন্দ্রনাথের নিকট প্রতিজ্ঞাপালনের প্রস্তাব করিতে বলিলেন কেন ?” মহ৷ ৷ ” এ অবস্থার উনি প্রতিজ্ঞাপালনে সম্মত তাছেন কি ন৷ দেখিবার জন্য,--আমি সম্মত নহি ।” এই কথোপকথন অন্তি অপরিস্ফুটস্বরে হইতেছিল, সুতরাং আর কেহই শুনিতে পায় নাই । নগেন্দ্রনাথ আবার তাপন দুঃখকথা বলিতে লাগিলেন । বৃদ্ধের কথা শীঘ্ৰ শেষ হর না ; বিশেষ, দুঃখের কথা পরকে জানাইলে মনের দুঃথ কিছু শান্ত হর । • নগেন্দ্রনাথের সামান্য দুঃখ নহে, যখন আপন অবস্থা চিত্তা করিতে লাগিলেন, তখন চারিদিক্ শুন্য দেখিতে লাগিলেন, সংসার শূন্য দেখিতে ' লাগিলেন । স্ত্রী নাই, পরিবার নাই, পুল্ল নাই, কন্যা নাই, জগৎসংসার অন্ধকার ; বৃদ্ধ পুনঃ পুনঃ আপন দুঃখকথা বলিতে লাগিলেন, পুনঃ পুনঃ রোদন করিতে লাগিলেন । . অবশেষে চন্দ্রশেখর মলিলেন, "মহাশয়! আপনার মত জ্ঞানবান ব্যক্তি যদি দুঃখশোকে সংজ্ঞাশ্বন্ত হইবে, তবে অপর লোক কি করিবেঃ
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।